May 18, 2024, 12:29 pm
ষ্টাফ রিপোর্টার: বগুড়া শহরের মালতিনগরে বসত বাড়িতে বিস্ফোরণের ঘটনায় আহত তাসনিম বুশরা (১৪) মারা গেছেন। আজ শনিবার রাত সাড়ে ৮টায় ঢাকার শেখ হাসিনা বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় বুশরা মারা যান। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বুশরার মামা রাশেদুল রিপন।
রিপন বলেন, সেদিন বিস্ফোরণে আমার ভাগ্নি দগ্ধ এবং দেয়াল চাপায় গুরুতর আহত হন। তাকে প্রথমে বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের বার্ন ইউনিটে ভর্তি করা হয়। অবস্থার অবনিত হওয়ায় ওই রাতেই তাকে উন্নত চিকিৎসার শেখ হাসিনা বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। পরদিন তার অপারেশন করা হয়।কিন্তু সে শংকামুক্ত ছিলো না। আজ রাত সাড়ে ৮টায় সে আমাদের ছেড়ে চলে গেলো। এর আগে, গত ২৮ এপ্রিল রোববার রাত ৯টায় মালতিনগর দক্ষিণপাড়া এলাকায় রেজাউল ইসলামের বাড়িতে বিকট শব্দে বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে। এতে বসতবাড়ির টিনের ছাউনি উড়ে যায় এবং বাড়ির সামনের দুটি ঘরের ইটের দেয়াল ধসে পড়ে। বিস্ফোরণের সময় বাড়ির মালিক রেজাউলের মেয়ে সুমাইয়া আক্তার, ভাতিজি জিম ও প্রতিবেশী তাসনিম বুশরা আহত হন। ঐ বাড়ির মালিক রেজাউলের মা রেজিয়া ও তার ছোট ভাই রাশেদুল দীর্ঘদিন ধরে পটকা তৈরি করে বাজারজাত করে আসছিলেন। ঘটনার রাতেই পুলিশ বাড়ির মালিক রেজাউলকে আটক করে থানায় নিয়ে যায়।
পরে সোমবার পুুলিশ বাদী হয়ে একজনের নাম উল্লেখসহ অসংখ্য অজ্ঞাত ব্যক্তিকে আসামী করে মামলা করে। পরে সোমবার রেজাউলকে গ্রেপ্তার দেখিয়ে আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে প্রেরণ করে। ঘটনার পর থেকে রেজাউলের মা রেজিয়া বেগম ও ভাই রাশেদুল ইসলাম পলাতক রয়েছেন। ঘটনার পর দির সোমবার রাতে ঢাকা থেকে বোম্ব ডিসপোজাল ইউনিটের আট সদস্যদের একটি টিম ঢাকা থেকে এসে ঘটনাস্থল থেকে বিস্ফোরক আলামত সংগ্রহ করেছেন। মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই তরিকুল ইসলাম জানান, বুশরার মৃত্যুর বিষয়টি জানা নেই। তবে শুরু থেকেই তার শারীরিক অবস্থা শঙ্কার মধ্যে ছিল। এ বিষয়ে খোঁজ নিয়ে পরবর্তী ব্যবস্থা নেয়া হবে।