April 19, 2024, 12:09 am

বগুড়ার গোকুলে আওয়ামীলীগের সম্মেলনে দুই গ্রুপের বিবাদ চেয়ারম্যান জিয়াসহ আহত

শফিকুল ইসলামঃ প্রতিদ্বন্দ্বী দুই গ্রুপের সংঘর্ষের কারণে বগুড়া সদর উপজেলার গোকুল ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সন্মেলন ভুন্ডল হয়ে গেছে। সম্মেলন চলাকালে দুই গ্রুপের সদস্যদের মাঝে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া, চেয়ার ও গাড়ি ভাংচুরের ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনায় গোকুল ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান জিয়াউর রহমান জিয়া সহ কমপক্ষে ৫ জন আহত হয়েছেন। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে না আসায় উপস্থিত আওয়ামীলীগের জেলা নেতৃবৃন্দ গোকুল ইউনিয়ন কমিটি ঘোষনা না করেই চলে যান। এ ঘটনা নিয়ে বর্তমানে গোকুল ইউনিয়নে টান টান উত্তেজনা বিরাজ করছে। ঘটনাটি ঘটেছে ২০ মে শুক্রবার বিকালে।
সম্মেলনে উপস্থিত কয়েকজন আওয়ামীলীগ কর্মী জানান, সন্মেলন চলাকালে হঠাৎ বেশ কয়েকজন উশৃংখল যুবক সম্মেলনের মাঝে হট্টগোল শুরু করে। এক পর্যায়ে তা সংঘর্ষে রূপ নেয়। সম্মেলনের কর্মীরা দুই ভাগে বিভক্ত হয়ে পড়ে এবং উভয়ের মাঝে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া শুরু হয়। এ সময় কয়েকজন যুবক হাতে লাঠি ও লোহার রড নিয়ে গোকুল ইউনিয়ন পরিষদে অবস্থানরত চেয়ারম্যান জিয়াউর রহমান জিয়াকে ধাওয়া করে এবং তাঁর মাথায় আঘাত করে হত্যার চেষ্টা করে। পুলিশের সহযোগিতায় তিনি প্রাণে বেঁচে যান। পরে চেয়ারম্যানকে গুরুতর আহত অবস্থায় উদ্ধার করে বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
পূর্ব ঘোষিত সময় অনুসারে শুক্রবার বগুড়া সদর উপজেলার গোকুল ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের আহবায়ক ও সাবেক ইউপি সদস্য আলী রেজা তোতনের সভাপতিত্বে গোকুল তমিরুন্নেছা বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে সম্মেলন শুরু হয়। বিশেষ অতিথি জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক রাগেবুল আহসান রিপুর বক্তব্যের পর যখন অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মজিবুর রহমান মজনুর বক্তব্যের ঘোষনা আসে ঠিক তখনই আওয়ামী লীগের দুই গ্রুপের মধ্যে শুরু হয় চেয়ার ছোড়াছুড়ি ও ভাংচুর। এরপরই উভয় গ্রুপের মধ্যে শুরু হয় ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া। পরিস্থিতি কিছুটা নিয়ন্ত্রণে আসার পর প্রধান অতিথি সংক্ষিপ্ত বক্তব্য রেখে কমিটি ঘোষনা না করেই সম্মেলন স্থল ত্যাগ করেন।
এ বিষয়ে ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের আহবায়ক আলী রোজা তোতন বলেন, দলীয় নিয়ম শৃংখলা মেনেই আমরা সন্মেলন আহবান করি। সন্মলন চলাকালে সাবেক ইউপি সদস্য জাকির হোসেন এর নেতৃত্বে একদল উশৃংখল যুবক সভা ভুন্ডলের চেষ্টা করলে উপস্থিত আওয়ামীলীগের নেতা কর্মীরা তা প্রতিহত করে। তাদের হাতে আমাদের ২/৩ জন কর্মী আহত হয়। এ বিষয়ে ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক প্রার্থী সাবেক ইউপি সদস্য জাকির হোসেন বলেন, আমরা সম্মেলনের বিপক্ষে নই। আমাদের দাবী ছিল প্রতিটি ওয়ার্ডে সম্মেলন করে ইউনিয়নের সম্মেলন করা। কিন্ত তা না করে একটি স্বার্থান্বেষী মহল জেলা আওয়ামী লীগ নেতৃবৃন্দের ভুল বুঝিয়ে সম্মেলনের আয়োজন করে পকেট কমিটি ঘোষনার চেষ্টা করছিল। এর প্রতিবাদ করায় কয়েকজন সন্ত্রাসীরা পূর্ব শত্রুতার জেরে ইউনিয়ন পরিষদে গিয়ে আমার বড় ভাই ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান জিয়াউর রহমান জিয়াকে হত্যার চেষ্টা চালায়। এ ব্যাপারে আমার ভাই সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নিবেন। এ রির্পোট লেখা পর্যন্ত চেয়ারম্যান জিয়াউর রহমান জিয়া’র পরিবারের পক্ষ থেকে থানায় মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছিল।

নিউজটি শেয়ার করুন

© All rights reserved © jamunanewsbd.com
Design, Developed & Hosted BY ALL IT BD