May 30, 2023, 10:12 am
নওগাঁ প্রতিনিধিঃ নওগাঁর মান্দা উপজেলায় ঐতিহ্যবাহী কুসুম্বা মসজিদের সঙ্গে একটি বিশাল দিঘি রয়েছে। অনন্য স্থাপত্যশৈলীর দৃষ্টিনন্দন মসজিদ এবং দিঘি শুধু নওগাঁয় নয়, বাংলাদেশের প্রাচীন স্থাপনাগুলোর মধ্যে অন্যতম। প্রতিনিয়ত দূর-দূরান্ত থেকে প্রচুর পর্যটক আসেন নওগাঁর ঐতিহ্য কুসুম্বা মসজিদ ও দিঘি দেখতে।
৫০০ বছরের পুরনো ঐতিহ্যবাহী কুসুম্বা দিঘি
৫০০ বছরের পুরনো ঐতিহ্যবাহী কুসুম্বা দিঘি
মান্দা উপজেলার কুসুম্বা গ্রামে দিঘিটি অবস্থিত। দিঘিটির প্রবেশমুখে বসানো ফলকে দিঘি ও মসজিদটির নির্মাণকাল লেখা রয়েছে হিজরি ৯৬৬ সাল (১৫৫৮-১৫৬৯ খ্রিস্টাব্দ)। সুলতান গিয়াস উদ্দিন বাহাদুর শাহের রাজত্বকালে সুলতান সোলায়মান এটি নির্মাণ করেছিলেন। এরপর ২০১৭ সালে মসজিদের চতুর্দিকে ও পূর্বপাশে অবস্থিত দিঘির পাড়ে ফুলের বাগান নির্মাণ ও আলোকসজ্জার কাজ করা হয়।
স্থানীয়দের মধ্যে কথিত আছে, এক রাতের মধ্যে জিনেরা মসজিদ এবং দিঘি তৈরি করেছিলেন। এ কারণে দিঘিটিতে মনের আশা পূর্ণ করতে দূরান্ত থেকে দর্শনার্থীরা আসেন নানান ধরনের মানত করতে।
কুসুম্বা শাহী মসজিদের পেশ ইমাম হাজেফ মওলানা মো. ওবাইদুল হক জানান, কালো পাথরে নির্মিত এ মসজিদ এবং প্রায় ৭৭ বিঘা আয়তনের দিঘি প্রায় ৫০০ বছরের পুরনো। দিঘিটিতে বর্তমানে মাছ চাষ করা হয়। এর দৈর্ঘ্য এক হাজার ২৫০ ফুট ও প্রস্থ ৯০০ ফুট। দিঘিটি সুগভীর ও এর জলরাশি স্বচ্ছ। এদিকে মসজিদে যাওয়ার প্রায় ৫০০ ফুট আগে রাস্তার ডানপাশে বাক্স আকৃতির একটি কালো পাথর আছে। সরকারি পৃষ্ঠপোষকতায় দিঘিটি প্রতি বছর লিজ দেওয়া হয় প্রায় কোটি টাকার ওপরে, যা পুরোটাই সরকারি কোষাগারে জমা হয়।
তিনি আরও জানান, প্রাচীন ঐতিহ্যের নিদর্শন হওয়ায় দেশ-বিদেশ থেকে দর্শনার্থীরা দিঘিটি দেখতে আসেন। পর্যটকদের জন্য ইতোমধ্যে একটি বিশ্রাম ঘর নির্মাণ করা হয়েছে। এ ছাড়া সংস্কার এবং দৈনন্দিন পরিমার্জন যথাযথ সময়ে করা হয়ে থাকে। পর্যটকদের কাছে আরও আকর্ষণীয় করে তুলতে উপজেলা প্রশাসনকে ইতোমধ্যে ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশ প্রদান করা হয়েছে।