June 4, 2023, 8:30 am
মমিন রশীদ শাইনঃ কনকনে ঠান্ডায় বগুড়ায় জনজীবন বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে। জেলার অনেক এলাকায় গত দুই দিন ধরে সূর্যের দেখা মেলেনি বললেই চলে। বিকেলে থেকে বাড়তে থাকে হিমেল হাওয়া। রাতে ঘন কুয়াশার চাদরে ঢেকে যায় চারিদিক। বইতে থাকে হিমেল হাওয়া। কনকনে ঠান্ডায় জনজীবনে নেমে এসেছে ভোগান্তি। অতিরিক্ত শীতে শ্রমজীবী মানুষ কাজে বের হতে না পাড়ায় অতি কষ্টে মানবেতর জীবন যাপন করছে তারা।
বগুড়া আবহাওয়া অফিসের উচ্চ পর্যবেক্ষক সৈয়দ গোলাম কিবরিয়া বলেন, বৃহস্পতিবার সকাল ৯টায় জেলায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় ১১ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
শুক্রবার সকালে অনেক বেলা পর্যন্ত রাস্তায় গাড়ীর হেড লাইট জ্বালিয়ে চলাচল করতে দেখা গেছে। ট্রাক ড্রাইভার সামসুল ইসলাম বলেন, মধ্যরাত থেকে সকাল পর্যন্ত ঘন কুয়াশার চাদরে ঢাকা থাকে চারদিক। ফলে এসময় হেড লাইট জ্বালিয়ে যানবাহন চলাচল করতে হয়।এমনকি সকাল ১০টায় হেড লাইট জ্বালিয়ে গাড়ী চালাতে হচ্ছে। ফলে সড়কে ঘটছে অনাকাঙ্খিত দুর্ঘটনা। ঘন কুয়াশার কারনে সব সময় ভয়ে ভয়ে গাড়ী চালাতে হয়।
বগুড়া মোটর শ্রমিক ইউনিয়নের সাধারন সম্পাদক সৈয়দ কবির আহম্মেদ মিঠু বলেন, ঘন কুয়াশা ও কন কনে ঠান্ডায় সব ধরনের যানবাহন চলাচল বিঘ্নিত হচ্ছে। ফলে রাস্তায় যানবাহন তুলনামুলক কম। হেড লাইট জ্বালিয়ে চলতে হচ্ছে মহাসড়কের যানবাহন গুলো।
শীতের তীব্রতা বাড়ার কারণে সব থেকে বেশি বিপাকে পড়েছেন নদী তীরবর্তী অঞ্চলের শিশু ও বয়োবৃদ্ধরা। শীতে ঠান্ডাজনিত বিভিন্ন প্রকার অসুখের প্রভাবও বেড়েছে।