April 26, 2024, 3:21 pm

লড়াই করেও বাংলাদেশের কাছে হোয়াইটওয়াশ আমিরাত

যমুনা নিউজ বিডিঃ দুই ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজে ২-০ তে বাংলাদেশের কাছে হোয়াইটওয়াশ হয়েছে স্বাগতিক আরব আমিরাত। সিরিজের দ্বিতীয় ও শেষ টি-টোয়েন্টিতে আমিরাতকে ১৭০ রানের টার্গেট দেয় সফরকারীরা। জবাবে দুর্দান্ত লড়তে থাকা আমিরাত নির্ধারিত ওভারে ৫ উইকেট হারিয়ে থামে ১৩৭ রানে। এতে ৩২ রানের জয় পায় বাংলাদেশ। এর আগে প্রথম ম্যাচে ৭ রানে হারায় আমিরাতকে। এর আগে টস হেরে আগে ব্যাটিং করে বাংলাদেশ। আরব আমিরাতের বিপক্ষে নির্ধারিত ২০ ওভার পাঁচ উইকেটে ১৬৯ রান করেছে নুরুল হাসান সোহানের দল। দলের কোনো ব্যাটার হাফ সেঞ্চুরি না করলেও ব্যাট হাতে রান করার চেষ্টা করেছে টাইগাররা। জবাবে ২০ ওভারে পাঁচ উইকেটে ১৩৭ রানে থামে আরব আমিরাত।

চ্যালেঞ্জিং লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে শুরুটা ভালো হয়নি স্বাগতিকদের। ইনিংসের তৃতীয় ওভারেই প্রথম উইকেটের দেখা পেয়েছে বাংলাদেশ। ১০ বলে ৫ রান করা ওপেনার চেরাগ সুরিকে বিদায় করেছেন নাসুম আহমেদ। নাসুমকে উড়িয়ে মারতে গিয়ে শূন্যে ক্যাচ তোলেন চেরাগ। নাসুম নিজেই তা তালুবন্দি করেন। পাওয়ার প্লের মধ্যে মোহাম্মদ ওয়াসিমকেও বিদায় করে টাইগাররা। ষষ্ঠ ওভারে তাসকিন আহমেদের দুর্দান্ত ডেলিভারিতে লেগ বিফোর উইকেটের শিকার হন ওয়াসিম। ফেরার আগে করেন ১৬ বলে ১৮ রান। পাওয়ার প্লে’তে আরব আমিরাত তোলে দুই উইকেটে ২৮ রান। সপ্তম ওভারে বল হাতে নেন মোসাদ্দেক। টানা দুই বলে আরিয়ান লাকরা (৪) এবং ভৃত্য অরবিন্দকে (২) ফেরান তিনি। তৃতীয় বলে মোসাদ্দেককে উড়িয়ে মারতে গিয়ে লেগ সাইডে বৃত্তের একটু বাইরেই মোহাম্মদ সাইফউদ্দিনকে ক্যাচ দেন লাকরা। পরের বলেই অরবিন্দকে বোল্ড করেন মোসাদ্দেক। ২৯ রানে চার উইকেট হারানো আরব আমিরাতকে পথ দেখাতে শুরু করেন অধিনায়ক চুদাঙ্গাপইল রিজওয়ান এবং বাসিল হামিদ। যদিও বাংলাদেশের শক্ত বোলিংয়ের সামনে সেভাবে আগ্রাসী হয়ে উঠতে পারেননি তারা।

মাঝের ওভারগুলো পার করেন এই দুজনই। তাদের ব্যাটে ১৫.৫ ওভারে একশ রান পার করে আরব আমিরাত। দলের খাতায় ৯০ রানও যোগ হয়। যদিও তাতে কেবল পরাজয়ের ব্যবধানই কমেছে। এর আগে প্রথম ম্যাচের মতো আজও পেনিংয়ে নামেন মেহেদী হাসান মিরাজ ও সাব্বির রহমান। দুইজনের শুরুটাও ছিল বেস আগ্রাসী। প্রথম ওভারে দুই বাউন্ডারির সাহায্যে৯ রান নেয় তারা। দ্বিতীয় ওভারে অবশ্য বাংলাদেশের লাগাম টেনে ধরেন আরব আমিরাতের বোলার আরিয়ান লাকরা। তৃতীয় ওভারে প্রথম ছক্কার দেখা পায় বাংলাদেশ। ফ্রি হিটে সাবির আলীকে উড়িয়ে মারেন সাব্বির। ওভারটি থেকে টাইগারদের রানের খাতায় যোগ হয় আরও ১৪ রান। তবে চতুর্থ ওভারেই ফিরে যান সাব্বির। লাকরার বলে লেগ বিফোর উইকেটের শিকার হয়ে ফিরে যান তিনি। এ দিন ৯ বলে একটি চার ও একটি ছক্কায় ১২ রান করেন তিনি। সাব্বিরের বিদায়ের পর স্বাগতিক বোলারদের ওপর চড়াও হন লিটন দাস ও মিরাজ। দুটি বাউন্ডারিতে পঞ্চম ওভারে বাংলাদেশ নেয় ১১ রান। ইনিংসের ষষ্ঠ ওভারে ৯ রান নিয়ে পাওয়ার প্লে শেষ করেন মিরাজ-লিটন। পাওয়ার প্লে’তে বাংলাদেশ নেয় ৪৮ রান।

ইনিংসের নবম ওভারে ফিরে যান লিটন। আয়ান আফজাল খানের বলে বৃত্তের মধ্যেই ক্যাচ আউট হয়ে ফিরে যান তিনি। এর আগে সপ্তম ও অষ্টম ওভারেও দুটি বাউন্ডারি মারেন তিনি। ২০ বলে করা তার ২৫ রানের ইনিংসে ছিল মোট চারটি চারের মার। লিটন ফেরার পর দ্রুত গতিতে রান তোলার চেষ্টায় থাকেন আগের ম্যাচে বড় হাফসেঞ্চুরি পাওয়া আফিফ। দশম ওভারে দুটি বাউন্ডারিও মারেন তিনি। দশ ওভারে বাংলাদেশ তোলে দুই উইকেটে ৮৩ রান। কিন্তু ১১ তম ওভারে ফিরে যান আফিফ। এই ম্যাচে করেন ১০ বলে দুটি চার ও একটি ছক্কায় ১৮ রান। এরপর মিরাজের সঙ্গে জুটি বাধেন মোসাদ্দেক হোসেন।  ১৫তম ওভারে দুটি বাউন্ডারি মারেন ওপেনার মিরাজ। সেই ওভারেই অবশ্য বিদায় নিতে হয় তাকে। এতে আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টিতে প্রথম হাফ সেঞ্চুরিটি এই ম্যাচে পাওয়া হলো না মিরাজের। সাবির আলীর বলে লেগ বিফোর উইকেটের শিকার হওয়ার আগে ৩৭ বলে ৪৬ রান করেন তিনি। ইনিংসে ছিল পাঁচটি চারের মার। ১৫ ওভারে বাংলাদেশ তোলে চার উইকেটে ১২৬ রান। দলীয় ১৭ ওভারের মধ্যে ফিরে যান মোসাদ্দেকও। যাওয়ার আগে দুটি চার ও একটি ছক্কায় ২২ বলে ২৭ রান করেন তিনি। শেষদিকে ১৩ বলে অপরাজিত ২১ রান করেন ইয়াসির আলী চৌধুরী রাব্বি। নুরুল হাসান সোহান করেন ১০ বলে অপরাজিত ১৯ রান।

সংক্ষিপ্ত স্কোর- বাংলাদেশ- ১৬৯/৫ (২০ ওভার) (মিরাজ ৪৬, মোসাদ্দেক ২৭, লিটন ২৫; আয়ান ২/৩৩)।
সংযুক্ত আরব আমিরাত- ১৩৭/৫ (২০ ওভার) (রিজওয়ান ৫১*, হামিদ ৪২; মোসাদ্দেক ২/৮)।
ফলাফল : বাংলাদেশ ৩২ রানে জয়ী

নিউজটি শেয়ার করুন

© All rights reserved © jamunanewsbd.com
Design, Developed & Hosted BY ALL IT BD