April 24, 2024, 1:14 am

অবশেষে জয় পেল বাংলাদেশ

যমুনা নিউজ বিডিঃ জিম্বাবুয়ে এবারের সফরের শুরুতেই তিন ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজ ২-১ ব্যবধানে হারে বাংলাদেশ।

এরপর তিন ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজের প্রথম দুই খেলায় ৩০৩ ও ২৯০ রান করেও হার এড়াতে পারেনি টাইগাররা।

বুধবার সিরিজের শেষ ম্যাচে হোয়াইটওয়াশ এড়াতে নেমে আফিফ হোসেন (৮০*) ও এনামুল হক বিজয়ের (৭৬) জোড়া ফিফটিতে ভর করে ৯ উইকেটে ২৫৬ রান করে বাংলাদেশ।

টার্গেট তাড়া করতে নেমে ইনিংসের প্রথম ওভার থেকেই উইকেট হারাতে থাকে স্বাগতিক জিম্বাবুয়ে। নিয়মিত বিরতিতে উইকেট পতনের কারণে শেষ পর্যন্ত ৩২.২ ওভারে ১৫১ রানে অলআউট হয় জিম্বাবুয়ে। ১০৫ রানের জয় পায় বাংলাদেশ।

বাংলাদেশ দলের হয়ে ৫.২ ওভারে ১৭ রানে ৪ উইকেট নেন কাটার মাস্টার মোস্তাফিজুর রহমান। এছাড়া দুটি করে উইকেট নেন এবাদত হোসেন ও তাইজুল ইসলাম। একটি করে উইকেট নেন হাসান মাহমুদ ও মেহেদি হাসান মিরাজ।

বুধবার হারারে স্পোর্টস ক্লাব মাঠে টস হেরে আগে ব্যাটিংয়ে নেমে উদ্বোধনী জুটিতে ৪১ রান করেন দুই ওপেনার তামিম ইকবাল ও এনামুল হক বিজয়।

এরপর মাত্র ৬ রানের ব্যবধানে বাংলাদেশ হারায় ওপেনার তামিম ইকবাল, তিনে ব্যাটিংয়ে নামা নাজমুল হোসেন শান্ত ও চারে ব্যাটিংয়ে নামা সাবেক অধিনায়ক মুশফিকুর রহিমকে।

প্রথম দুই ওয়ানডেতে ৬২ ও ৫০ রান করা বাংলাদেশ দলের অধিনায়ক তামিম ভুল বুঝাবুঝির কারণে রান আউট হয়ে ফেরার আগে ৩০ বলে করেন ১৯ রান। শান্ত-মুশফিকরাতো রানের খাতা খোলার সুযোগই পাননি।

চতুর্থ উইকেটে মাহমুদউল্লাহ রিয়াদের সঙ্গে ৯০ বলে ৭০ রানের জুটি গড়ে ফেরেন ওপেনার এনামুল হক বিজয়। আগের দুই ম্যাচে ৭৩ ও ২০ রানে আউট হওয়া বিজয় এদিন ফেরেন ৭১ বলে ৬টি চার আর ৪টি ছক্কায় ৭৬ রান করে।

বিজয় আউট হওয়ার পর আফিফ হোসেনের সঙ্গে ৫৭ বলে ৪৯ রানের জুটি গড়ে আউট হন রিয়াদ। আগের দুই ম্যাচে ২০* ও ৮০* রানে অপরাজিত থাকা মাহমুদউল্লাহ এদিন টেস্টের আদলে ব্যাটিং করে ৬৯ বলে ৩৯ রান করেন।

এরপর আফিফের সঙ্গে ৪৭ বলে ৩৩ রানের জুটি গড়ে আউট হন অলরাউন্ডার মেহেদি হাসান মিরাজ। তিনি ফেরেন ২৪ বলে দুই চারে ১৪ রান করে। আগের ম্যাচেও সুবিধা করতে পারেননি মিরাজ। ফেরেন ১৫ রানে। দুই ম্যাচে তার সংগ্রহ মাত্র ২৯ রান। প্রথম ম্যাচে ব্যাটিংয়ের সুযোগ পাননি।

মিরাজ আউট হওয়ার পর আসা-যাওয়ার মিছিলে অংশ নেন তাইজুল ইসলাম, হাসান মাহমুদ ও মোস্তাফিজুর রহমানরা।

২৪.৪ ওভারে দলীয় ১২৪/৪ রানের সময় ব্যাটিংয়ে নেমে ইনিংসের শেষ বল পর্যন্ত খেলেন আফিফ। তার ৮১ বলের ৬টি চার আর দুটি ছক্কায় সাজানো ৮৫ রানের লড়াকু ইনিংসের সুবাদে বাংলাদেশ ৯ উইকেটে ২৫৬ রান তুলতে সক্ষম হয়।

টার্গেট তাড়া করতে নেমে ইনিংসের প্রথম দুই ওভারে ২ ওপেনারের উইকেট হারায় জিম্বাবুয়ে। হাসান মাহমুদের গতির শিকার হয়ে ফেরেন ওপেনার তাকুদজোয়ানাশে কাইতানো। ইনিংসের দ্বিতীয় ওভারে বোলিংয়ে এসে অন্য ওপেনার তাদিওয়ানাশে মারুমানিকে সাজঘরে ফেরান মেহেদি হাসান মিরাজ।

জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে অভিষেকে নিজের দ্বিতীয় আর ইনিংসের ষষ্ঠ ওভারে বোলিংয়ে এসে ৩ রানে ওয়েসলি মাধেভেরে ও সিকান্দার রাজাকে পরপর দুই বলে আউট করেন পেসার এবাদত হোসেন।

এরপর জিম্বাবুয়ে শিবিরে জোড়া আঘাত হানেন বাঁহাতি স্পিনার তাইজুল ইসলাম। তিনি ইনোসেন্ট কায়াকে এলবিডব্লিউ অর টনি মুনিয়োঙ্গাকে স্ট্যাম্পিং করান।

এরপর জিম্বাবুয়ে শিবির টানা চারটি আঘাত হানেন পেসার মোস্তাফিজুর রহমান। তার শিকার হয়ে একে একে সাজঘরে ফেরেন লুক জঙ্গুয়ে, ক্লাইভ মাদান্দে, ব্র্যাডলি এভান্স ও ভিক্টর নিয়াউচি।

জিম্বাবুয়ে শিবিরে শেষ পেরেকটি মারেন মোস্তাফিজ। তার আগে শেষ উইকেটে দুই পেসার রিচার্ড এনগারাভা ও ভিক্টর নিয়াউচি ৫৮ বলে জিম্বাবুয়ের হয়ে ৬৮ রানের রেকর্ড জুটি গড়েন।

এর আগে ২০১০ সালে আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে শিঙ্গিরাই মাসাকাদজা ও ইয়ান নিকলস ৬০ রানের জুটি গড়ে ছিলেন।

নিউজটি শেয়ার করুন

© All rights reserved © jamunanewsbd.com
Design, Developed & Hosted BY ALL IT BD