December 2, 2023, 8:40 am
যমুনা নিউজ বিডিঃ টাঙ্গাইলের মধুপুর উপজেলায় স্ত্রীকে কুপিয়ে হত্যার অভিযোগে স্বামী, সতীন ও সন্তানসহ বেশ কয়েকজনকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করেছে পুলিশ। মঙ্গলবার সকালে উপজেলার গোলাবাড়ী ইউনিয়নের লোকদেও গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
নিহত নারীর নাম শেফালী বেগম (৪৫)। তিনি লোকদেও গ্রামের গোলাপ হোসেনের স্ত্রী। মধুপুর থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) মুরাদ হাসান বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
পুলিশ ও স্থানীয়রা জানায়, গোলাপ হোসেন বিভিন্ন এলাকায় ১০-১২টি বিয়ে করেছেন। বর্তমানে প্রথম স্ত্রী হাসনা বেগম (৪৮) ও পঞ্চম স্ত্রী শেফালী বেগম রয়েছে। এক সপ্তাহ আগে গোলাপ হোসেন পারিবারিক কলহের জের ধরে প্রথম স্ত্রী হাসনা বেগমকে তালাক দেন। পরে স্থানীয় মাতবরদের উপস্থিতিতে সালিশ বৈঠকে প্রথম স্ত্রীর সকল পাওনা পরিশোধ করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
বৈঠকের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী প্রথম স্ত্রী হাসনা বেগমের একটি ঘর পাঁচ হাজার টাকা দাম ঠিক করে শেফালী বেগম কিনতে চান। এতে প্রথম স্ত্রী হাসনা বেগম রাজি না হওয়ায় সোমবার সন্ধ্যায় দুই সতীনের মধ্যে বাকবিতণ্ডা হয়। একপর্যায়ে বড় সতীন হাসনা বেগমকে অপর সতীন শেফালী বেগম দেখে নেওয়ার হুমকি দেন। পরে হাসনা বেগম ও তার ছেলে হাসান (২৫) বাড়ি থেকে বেড়িয়ে গিয়ে প্রতিবেশীর বাড়িতে রাত কাটান।
মঙ্গলবার সকালে হাসনা বেগমের ছেলে হাসান তার বাবা গোলাপ হোসেনকে বাড়িতে ডাকতে গেলে শেফালী বেগমের ক্ষতবিক্ষত লাশের পাশে রক্তাক্ত অবস্থায় বসে থাকতে দেখতে পান। বিষয়টি জানাজানি হওয়ার পর স্থানীয়রা থানায় খবর দিলে পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে লাশ উদ্ধার করে।
গোলাবাড়ী ইউপি চেয়ারম্যান গোলাম মোস্তফা বাবলু জানান, গোলাপ হোসেন ১০-১২টি বিয়ে করেছেন। এলাকায় বিয়ে পাগল বলে গোলাপ হোসেনের পরিচিতি রয়েছে। তিনি খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে যান। বর্তমানে শেফালীর লাশ পুলিশ হেফাজতে রয়েছে।
মধুপুর থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) মুরাদ হাসান জানান, ঘটনাস্থল থেকে লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। ময়নাতদন্তের পর লাশ স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করা হবে। এ ঘটনায় স্বামী গোলাপ হোসেন, বড় সতীন হাসনা বেগম ও তার ছেলে হাসানসহ কয়েকজনকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে।