October 11, 2024, 5:04 am
যমুনা নিউজ বিডিঃ রাজবাড়ীতে প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষায় জালিয়াত চক্রের ১৩ সদস্যকে আটক করেছে ডিবি পুলিশ। শুক্রবার (২০মে) বেলা ১১টা থেকে ১২টা পর্যন্ত রাজবাড়ীতে শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। পরীক্ষা চলাকালীন শহরের নতুন বাজারের একটি বাসা থেকে চক্রটিকে আটক করে পুলিশ। শুক্রবার (২০ মে) সন্ধ্যায় সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে সাংবাদিকদের বিষয়টি জানায় ডিবি পুলিশ।
আটক ব্যক্তিরা হলেন, পটুয়াখালীর মির্জাগঞ্জ উপজেলার প্রাথমিক বিদ্যালয়ের রিসোর্স সেন্টারের প্রশিক্ষক মাঈনুল ইসলাম হাওলাদার (৪২)। রাজবাড়ীর কালুখালী উপজেলার খামারবাড়ির ইব্রাহিম হোসেন (৩৪), একই উপজেলার ছোট কলকলিয়া গ্রামের সাগর আহমেদ (২৮), শিকজান গ্রামের বিজয় বালা (৩২), সংগ্রামপুর গ্রামের রেজাউল করিম (৩০), কালিকাপুর গ্রামের মনসুর মণ্ডল (৪০), মালিয়াট গ্রামের রহমান হাসান রনি (৩৬), ফরিদা বেগম (২৮), রাজবাড়ী সদর উপজেলার চরনারায়নপুর গ্রামের আবু ছালমান (৩০), ভবানীপুর গ্রামের মিজানুর রহমান (৪৩), রাজবাড়ীর পাংশা উপজেলার রুবেল মাহমুদ (৩৫), ঝালকাঠির কাঠালিয়া উপজেলার তালগাছিয়া গ্রামের হারুন সরদার (৪৪) এবং আওড়াবাড়িয়া গ্রামের মাঈনুল ইসলাম। আটক ব্যক্তিদের কাছ থেকে ২০টি মুঠোফোন, দুটি মাস্টারকার্ড সাদৃশ্য ডিভাইস (সিমসহ), দুটি ইয়ার ফোন, আড়ি পাতা ডিভাইসের ছোট ব্যাটারি ছয়টি, পুরাতন একটি মডেম, ১০ হাজার টাকা, হাতে লেখা পরীক্ষার প্রশ্নের উত্তর, পরীক্ষার্থীর প্রবেশ পত্রের ফটোকপি, বিভিন্ন গাইড বই, সোনালী ব্যাংকের একটি ভিসা ডেবিট কার্ড, ইউনিয়ন ব্যাংক লিমিটেডের একটি ডেবিট কার্ড এবং দুটি স্যামসাং পাওয়ার ব্যাংক উদ্ধার করা হয়। জড়িত থাকার কথা স্বীকার করেছেন মাঈনুল হাওলাদার। তিনি বলেন, আমি এবারই প্রথম এ কাজের সঙ্গে জড়িত হয়েছি। তিনজনকে উত্তর সরবরাহ করা হয়ে ছিল। আগে কখনো করা হয়নি। রাজবাড়ী গোয়েন্দা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) প্রাণবন্ধু চন্দ্র বিশ্বাস বলেন, গোপন তথ্যের মাধ্যমে পরীক্ষা চলাকালীন সময়ে আমরা প্রতারক চক্রের সন্ধান পাই। এরপর শহরের দক্ষিণভবানীপুর গ্রামের মিজানুরের বাড়িতে অভিযান পরিচালনা করা হয়। সেখান থেকে ১৩ জনকে আটক করা হয়। এদের মধ্যে সরকারি কর্মকর্তা, ব্যাংক কর্মকর্তা, শিক্ষক, পরীক্ষার্থী রয়েছে। এ সময় আটক ব্যক্তিদের তল্লাশি চালিয়ে জালিয়াতি চক্রে ব্যবহৃত বিভিন্ন উপকরণ উদ্ধার করা হয়।