September 24, 2023, 4:12 am
ষ্টাফ রিপোর্টারঃ নানা আয়োনের মধ্য দিয়ে বগুড়া মাটিডালি উচ্চ বিদ্যলয়ের এসএসসি ২০০২ ব্যাচের ঈদ পূনর্মিলনী অনুষ্ঠিত হয়েছে।
প্রতিষ্ঠানের এসএসসি ২০০২ ব্যাচের প্রাক্তন শিক্ষার্থীদের আয়োজনে গতকাল শুক্রবার মমইন ইকো পার্কে সকাল থেকে দিনব্যাপি এই অনুষ্ঠানে ক্রীড়া প্রতিযোগিতা, মেধাবী শিক্ষার্থীদের শিক্ষা উপকরণ ও খাবার বিতরণ করা হয়।
এছাড়াও বিভিন্ন প্রতিযোগিতার পুরস্কার বিতরণ, নাচ, গান, কবিতা আবৃতি, স্মতি চারণ, পরিচিতি পর্ব, মধ্যহ্নভোজ, র্যাফেল ড্র ও আলোচনা সভা করা হয়।
এসএসসি ২০০২ ব্যাচের শিক্ষার্থী ও সাংবাদিক আবু সাঈদ এবং সাখওয়াত হোসেন সৈকতের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন বাংলাদেশ জুয়েলার্স মালিক সমিতি বগুড়া জেলা শাখার যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক তাজ উদ্দিন আহম্মেদ সুমন। বিশেষ অতিথি ছিলেন শিমু বেকারীর স্বত্ত্বাধিকারী এ্যাডভোকেট ইমদাদুল হক ইমদাদ, জেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক রেজাউল করিম রিয়াদ। এসময় উপস্থিত ছিলেন সমাজসেবক স্বাধীন, জালাল, স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতা সোহাগসহ প্রমুখ।
অনুষ্ঠানে দীর্ঘদিন পর বন্ধুদের পেয়ে উচ্ছ্বাসে চোখ মুখ যেন চকচক করছিল সকল বন্ধুদের। জড়িয়ে ধরে আলিঙ্গন করে অনেকেই। ২১ বছর পর সহপাঠীদেরকে কাছে পেয়ে সবাই আবেগ আপ্লুত হয়ে পরে। সবাই পুরনো দিনের স্মৃতি মনে করে আড্ডায় মিলিত হন, যার যার মতো করে সবার সঙ্গে স্মৃতি চারণ করেন। খোঁজ নেন পরিবার-পরিজনের। অনেকের চেহারা চেনা চেনা লাগলেও পরিচয় জেনেই নিশ্চিত হন তিনিই সেই স্কুল বন্ধু। এভাবে পুরো হলরুম যেন এক মিলনমেলায় পরিণত হয়। যেখানে এই সাবেক শিক্ষার্থীরা শৈশবের উৎসবে মেতে ওঠেন।
শুধু তাই নয় স্কুল-কলেজ জীবনের হারিয়ে যাওয়া বাঁধভাঙা বন্ধুত্বের এক একটা পরিচ্ছেদকে আরেকবার ঝালিয়ে নেয়ার সুযোগ মেলে এই আয়োজনে। বন্ধুত্বের সীমানা ছাড়িয়ে যায় সব শিক্ষার্থী।
অনুষ্ঠানে আয়োজকদের মধ্যে এসএসসি ২০০২ ব্যাচের শিক্ষার্থী ও সাংবাদিক আবু সাঈদ এবং সাখওয়াত হোসেন সৈকত জানান, আমরা এসএসসির সকল বন্ধুরা মিলে দেশের অনুন্নত জনগোষ্ঠীর জন্য কিছু করতে চাই। পাশাপাশি পরবর্তী প্রজন্মের মৌলিক চাহিদা পূরণে সন্তানদের ভবিষ্যৎ বিনির্মাণে বন্ধুদের অবস্থান থেকে পরবর্তী প্রজন্ম পর্যন্ত একটি সেতুবন্ধন তৈরীর লক্ষ্যে বন্ধুদের মিলন মেলার আয়োজন করছি। ভবিষ্যতে সব বন্ধু মিলে আর্থিক ভাবে পিছিয়ে পড়া বন্ধুদের সহায়তা, মেধাবী সন্তানদের পড়াশোনায় সহায়তা, বন্ধুদের যেকোনো বিপদে ও আনন্দে পাশে থাকা ও রাষ্টীয় কোন দূর্যোগে মানবিক কর্মকাণ্ডে মানুষের পাশে থাকবো।
শেষে প্রধান অতিথিসহ অন্যান্য অতিথিবৃন্দ মেধাবী শিক্ষার্থীদের হাতে শিক্ষা উপকরণ ও খাবার তুলে দেন। এরপর সন্ধ্যায় এক মনোজ্ঞা সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়।