March 19, 2024, 11:22 am

সারাদেশ রাজশাহী বিভাগের কারাগারগুলোতে ধারণক্ষমতার ৩ গুণ বন্দী

রাজশাহী প্রতিনিধি: রাজশাহী বিভাগের কারাগারগুলোতে বন্দীদের চাপ বেড়েছে। এই বিভাগের আট জেলার কারাগারগুলোতে ধারণক্ষমতার তিন গুণ বন্দী রয়েছে। আট জেলার মধ্যে রাজশাহী কেন্দ্রীয় কারাগারে বন্দী রয়েছে সবচেয়ে বেশি। এখানে ধারণক্ষমতার চার গুণ বেশি বন্দী রয়েছে।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, রাজশাহী বিভাগের আট জেলায় বন্দী-ধারণক্ষমতা চার হাজার ১৪৪ জন। কিন্তু বর্তমানে বন্দীর সংখ্যা সাড়ে ১৩ হাজার জন। বেড়েছে নারী বন্দীর সংখ্যাও। বন্দীর সংখ্যা বেড়ে যাওয়ায় তাদের সুযোগ-সুবিধা অব্যাহত রাখতে বেশ বেগ পেতে হচ্ছে কারা কর্তৃপক্ষকে।

নির্ভরযোগ্য কারা সূত্রে জানা যায়, বিভাগের ৮ জেলার মধ্যে রাজশাহী কেন্দ্রীয় কারাগারে ধারণক্ষমতা সবচেয়ে বেশি, ১ হাজার ৪৬০ জন। এই কারাগারে বর্তমান বন্দীর সংখ্যা সাড়ে ৩ হাজার জন। কিছু দিন আগেও এই কারাগারে বন্দীর সংখ্যা ছিল ৩ হাজারের নিচে। এছাড়া রাজশাহী কেন্দ্রীয় কারাগারে ৪১ জনের বিপরীতে বন্দী নারীর সংখ্যা ১৮৫, যা ধারণক্ষমতার প্রায় সাড়ে ৪ গুণ।

নাটোর জেলা কারাগারে ২০০ জন ধারণক্ষমতার বিপরীতে বন্দী রয়েছেন ১ হাজার ৮০ জন। নওগাঁ জেলা কারাগারে ধারণক্ষমতা ৫৫০ জন। কিন্তু এখানে বন্দী রয়েছেন ১ হাজার ৬০০ জন। জয়পুরহাট জেলা কারাগারে ১২৭ জন ধারণক্ষমতার বিপরীতে বন্দীর সংখ্যা ৭১৯ জন। বগুড়া জেলা কারাগারে ধারণক্ষমতা ৭৮৫ জনের বিপরীতে বন্দীর সংখ্যা ২ হাজার ২৬৭ জন। পাবনা কারাগারে ধারণ ক্ষমতা ৫৭১ জনের বিপরীতে বন্দী রয়েছেন ১ হাজার ৪০৯ জন। সিরাজগঞ্জ জেলা কারাগারে ধারণক্ষমতা ৬০০ জনের বিপরীতে বন্দী আছেন দেড় হাজারের বেশি। চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলা কারাগারে ৫৮৬ জনের ধারণক্ষমতার বিপরীতে বন্দীর সংখ্যা ১ হাজারের বেশি।

সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা জানান, কারাগারে আবাসন সমস্যা প্রকট। ফলে বন্দীদের রাখতে হচ্ছে ঠাসাঠাসি ও গাদাগাদি করে। বন্দীদের আবাসন, খাওয়া-দাওয়ার পরিবেশ দেওয়া যাচ্ছে না। গোসলের ব্যবস্থা ও শৌচাগারের সংখ্যাও পর্যাপ্ত নয়।

সুশাসনের জন্য নাগরিক (সুজন) রাজশাহী জেলার সভাপতি আহমেদ সফিউদ্দিন বলেন, কয়েদিদের বিরুদ্ধে কোনো রকম নিপীড়নমূলক ব্যবস্থা বা তাদের কষ্টে রাখা যাবে না। এটা মানবিক বিষয়। জনসংখ্যা বেড়েছে, সে তুলনায় কারাগার বাড়েনি। অপরাধ করলে যেমন আটক রাখা রাষ্ট্রের কাজ, তেমনি বন্দিদের জন্য মানবিক পরিবেশ নিশ্চিত করাও রাষ্ট্রেরই দায়িত্ব।

রাজশাহী কেন্দ্রীয় কারাগারের অন্যতম পরিদর্শক সিভিল সার্জন ডা. আবু সাঈদ মো. ফারুক বলেন, ‘আমি গত কয়েকদিনের মধ্যে কারাগার পরিদর্শনে যাইনি। এজন্য সর্বশেষ পরিস্থিতি জানা নেই। তবে আমাদের চারজন চিকিৎসক সেখানে আছেন। তারা কাজ করছেন।’

রাজশাহী বিভাগের কারা উপমহাপরিদর্শক কামাল হোসেন বলেন, ‘আগে থেকেই কারাগারগুলোতে ধারণক্ষমতার তুলনায় বন্দী বেশি। সম্প্রতি বন্দীর সংখ্যা কিছুটা বেড়েছে। তবে এটি আমরা অস্বাভাবিক মনে করছি না।’

নিউজটি শেয়ার করুন

© All rights reserved © jamunanewsbd.com
Design, Developed & Hosted BY ALL IT BD