April 23, 2024, 2:32 pm

রাত ৮টার পরও কোথাও খোলা কোথাও বন্ধ

যমুনা নিউজ বিডিঃ বিদ্যুৎ ও জ্বালানি সাশ্রয়ে মুদি দোকান, শপিংমল-মার্কেট ও কাঁচাবাজার রাত ৮টার পর বন্ধ রাখার ঘোষণা দেয় সরকার। গতকাল প্রথমদিনে সরকারি সেই নির্দেশনা মানতে দেখা যায়নি অধিকাংশ ব্যবসায়ীদের।

নগরীর ৯০ শতাংশ শপিংমল-মার্কেট ও কাঁচাবাজার খোলা ছিল। এছাড়া কয়েকটি শপিংমলের মূলগেট অর্ধেক টেনে নিরাপাত্তা প্রহরীকে অবাধে ক্রেতাদের প্রবেশ করতে দিতে দেখা যায়। অপরদিকে অধিকাংশ দোকানের সাটার অর্ধেক খোলা ছিল। অর্ধেক সাটার রেখেই পণ্য বিক্রি করেন বিক্রেতারা।

গতকাল রাত ৯টার দিকে সরেজমিনে দেখা গেছে, নগরীর নিউমার্কেট বিপণী বিতান, রিয়াজুদ্দিন বাজার, তামাকুমণ্ডি লেইন, জহুর হকার্স মার্কেট এবং টেরি বাজারের অধিকাংশ দোকানই খোলা। গুটিকয়েক ব্যবসায়ীকে সরকারি নির্দেশনা মানতে দেখা গেছে।

জহুর হকার্স মার্কেটের ব্যবসায়ী সোহেল আহমেদ বলেন, আমরা সরকারি সিদ্ধান্ত অবশ্যই মানতে বাধ্য। রাত ৮টার আগে থেকে মার্কেটে ক্রেতা আসা কমে গেছে। কারণ গত কয়েকদিন ধরে মিডিয়াতে রাত ৮টার পর দোকান বন্ধের প্রচারণা চলছিল। আসলে ঢাকা থেকে আমার কিছু মাল আসবে, তাই আপাতত দোকান খোলা রেখেছি। অপর বিক্রেতা সেলিম উদ্দিন বলেন, শুনেছি, আমাদের নেতারা সরকারের কাছে ঈদুল আযহার আগে পর্যন্ত রাত ১০টা পর্যন্ত মার্কেট খোলা রাখার আবেদন জানিয়েছেন। সেটির সিদ্ধান্ত আমরা এখনো জানতে পারিনি। অনেকে দোকান খোলা রেখেছে, তাই আমিও রেখেছি।

টেরিবাজারের বিক্রেতা মোরশেদ হোসেন বলেন, দোকান বন্ধ করে দিয়েছিলাম, একটু জরুরি প্রয়োজনে আবার খুলেছি। এখন বৃষ্টি বাদলের দিন, এমনিতেই ক্রেতা নাই। দোকান খোলা রেখে লাভও নাই। টেরিবাজারে আসা ক্রেতা আরিফা সুলতানা বলেন, শুনেছি রাত ৮টার মার্কেটের দোকানপাট বন্ধ থাকবে। এদিকে অন্য একটা কাজে যাচ্ছিলাম, মার্কেট খোলা দেখে এসেছি।

জানতে চাইলে জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট প্লাবন কুমার বিশ্বাস দৈনিক আজাদীকে বলেন, সরকারি নির্দেশনা না মানার কোনো সুযোগ নেই। কেউ সরকারি নির্দেশনা না মানলে আমরা তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেবো।

উল্লেখ্য, গত ১৬ জুন প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের মহাপরিচালক (প্রশাসন) মো. আহসান কিবরিয়া সিদ্দিক স্বাক্ষরিত চিঠিতে বলা হয়েছে, বিশ্বব্যাপী জ্বালানির অব্যাহত মূল্যবৃদ্ধিজনিত বিদ্যমান পরিস্থিতিতে বিদ্যুৎ ও জ্বালানি সাশ্রয়ের জন্য প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিতে প্রধানমন্ত্রী নির্দেশনা দিয়েছেন। ওই চিঠিতে আরও বলা হয়, বাংলাদেশ শ্রম আইন, ২০০৬-এর ১১৪ ধারার বিধান কঠোরভাবে পালনের জন্য সারা দেশে রাত ৮টার পর দোকান, শপিংমল, মার্কেট, বিপণিবিতান, কাঁচাবাজার খোলা না রাখার বিষয়টি যথাযথভাবে নিশ্চিত করার প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য নির্দেশক্রমে অনুরোধ করা হলো।

নিউজটি শেয়ার করুন

© All rights reserved © jamunanewsbd.com
Design, Developed & Hosted BY ALL IT BD