July 26, 2024, 11:29 pm

পাইলস্ ও অর্শ রোগের উপশম পাথরকুচিতে

যমুনা নিউজ বিডি: পাথরকুচি একটি গুল্ম জাতীয় ঔষধি উদ্ভিদ। যেসব ঔষধি গাছ প্রাচীন কাল থেকে চিকিৎসার ক্ষেত্রে ব্যবহার হয়ে আসছে তার মধ্য পাথরকুচি অন্যতম। এর বাংলা নাম- কফ পাতা, পাটিয়াপুরি, সংস্কৃত ভাষায় পাষানভেদে। পাথরকুচির ইংরেজি নাম Stone Chip। আর বৈজ্ঞানিক নাম Bryophillum,Bryophyllum।

পাথরকুচির আদিনিবাস মাদাগাস্কার। এই গাছটি আমাদের দেশের সর্বত্রই একটি সুপরিচিত গাছ। এই গাছ সাধারণত এক থেকে দুই ফুট উঁচু হয়। চিকিৎসা বিজ্ঞানীদের মতে, পাথরকুচি পাতা কিডনি, উচ্চ রক্তচাপসহ বিভিন্ন রোগের বিশেষ উপকারে আসে।

পাথরকুচি গাছের পাতা সাধারণত মাংসল ও মসৃণ হয়। পাতার আকৃতি অনেকটা ডিমের মতো। পাতার চারপাশে আছে ছোট ছোট গোল খাঁজ। এই খাঁজ থেকে নতুন চারার জন্ম হয়। অনেক সময় গাছের বয়স হলে সেই গাছের খাঁজ থেকে চারা গজায়।

পাথরকুচি পাতা মাটিতে ফেলে রাখলেই অনায়াসে চারা পাওয়া যায়। নাতিশীতোষ্ণ অঞ্চলের কাঁকুরে মাটিতে সহজেই জন্মে। তবে ভেজা, স্যাঁতসেঁতে জায়গায় দ্রুত বাড়ে। তবে গাছে রয়েছে Daigremontianin ও Bufadienolides নামক রাসায়নিক উপাদান, যা শিশুদের জন্য ক্ষতি হতে পারে। রোগ প্রতিরোধে পাথরকুচি অতুলনীয়।

পাথরকুচি পাতার ওষুধি গুণাগুণ :

১. পাথরকুচি পাতা কিডনি এবং গলগণ্ডের পাথর অপসারণ করতে সাহায্য করে।
২. দু-চামচ পাথর কুচি পাতার রস, আধা কাপ গরম পানিতে মিশিয়ে দুবেলা খেলে জ্বালাপোড়া উপশম হয়।
৩. লিভারের যেকোনো সমস্যা থেকে রক্ষা করতে তাজা পাথরকুচি পাতা ও এর জুস অনেক উপকারী।
৪. পাথরকুচির পাতা উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখে।
৫. পাথরকুচি পাতার রসের সাথে গোল মরিচ মিশিয়ে পান করলে পাইলস্ ও অর্শ রোগ থেকে মুক্তি পাওয়া যায়।
৬. ত্বক ভালো রাখতে পাথরকুচি পাতায় অনেক উপকারী। কারণ পাথর কুচির পাতায় প্রচুর পরিমাণে পানি থাকে। তাই যারা ত্বক সম্বন্ধে সচেতন, তারা পাথরকুচি পাতা বেটে ত্বকে লাগাতে পারেন। ব্রণ ও ফুসকুড়ি জাতীয় সমস্যাও দূর হয়ে যাবে।
৭. মৃগী রোগাক্রান্ত সময়ে পাথর কুচির পাতার রস ২-১০ ফোঁটা করে মুখে দিতে হবে। একটু পেটে গেলেই রোগের উপশম হবে।
৮. শিশুর পেটব্যথা হলে, ৩০-৬০ ফোঁটা পাথর কুচির পাতার রস পেটে মালিশ করলে ব্যথার উপশম হয়।

নিউজটি শেয়ার করুন

© All rights reserved © jamunanewsbd.com
Design, Developed & Hosted BY ALL IT BD