April 29, 2024, 2:47 pm

সিলেটে জৈন্তাপুর উপজেলায় ৭ কোটি টাকার সরিষা বিক্রির সম্ভাবনা

সিলেট প্রতিনিধি: সিলেটে সরিষার বাম্পার ফলনে কৃষকের মুখে হাসি ফুটেছে। চলতি মৌসুমে সরিষা উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রাও পূরণ হয়েছে।

জেলার জৈন্তাপুর উপজেলায় সরিষার আবাদ বেশি হয়ে থাকে। এ মৌসুমে জৈন্তাপুরেই প্রায় ৭ কোটি ২০ লাখ টাকার সরিষা বিক্রি করা সম্ভব হবে আশাবাদী উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতর।

জৈন্তাপুর উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের তথ্যমতে, চলতি মৌসুমে উপজেলার ছয়টি ইউনিয়নে মোট ৭৫০ হেক্টর জমিতে সরিষার আবাদ করা হয়েছে। এ উপজেলায় তিন হাজার ৪২০ জন কৃষক সরিষা আবাদ করেছেন। কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের পক্ষ থেকে সরিষা প্রদর্শনী চাষ করেছেন ৬৫ জন কৃষক।

চলতি বছরে সরিষার উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে প্রায় ৮শ’ মেট্রিক টন। প্রতিকেজি সরিষা বীজ গড়ে নব্বই টাকা করে বিক্রি হচ্ছে এখন। সেই হিসেবে চলতি মৌসুমে পুরো উপজেলায় সাত কোটি ২০ লাখ টাকার সরিষা বিক্রি করা সম্ভব হবে বলে জানায় উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতর।

উপজেলার দরবস্ত ইউনিয়নের ডাইয়া গ্রামের কৃষক মো. ফয়জুল্লাহ জানান, গত কার্তিক মাসের মাঝামাঝি সময়ে তিনি ১৭ বিঘা জমিতে সরিষার আবাদ করেছেন। মাঘ মাসের মাঝামাঝি পুরো ফসল তিনি বাজারজাত করতে সক্ষম হবেন।

তিনি জানান, কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতর থেকে প্রণোদনার আওতায় সার বীজ পেয়ে এ বছর তার উৎপাদন খরচ মোট ৩৫ হাজার টাকা। ১৭ বিঘায় দুই মেট্রিক টন সরিষা উৎপাদন হবে বলে আশা করছেন, যার বাজারমূল্য প্রায় এক লাখ ৮০ হাজার টাকা।

উপজেলার দরবস্ত টেংরা গ্রামের আরেক কৃষক মতিউর রহমান বলেন, চলতি মৌসুমে অন্যান্য শাক সবজির পাশাপাশি ২০ বিঘা জমিতে সরিষার আবাদ করেছি। এতে মোট ব্যয় হয়েছে ৫০ হাজার টাকা। ২০ বিঘা জমি থেকে আড়াই মেট্রিক টন সরিষা উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে, যার বাজারমূল্য প্রায় দুই লাখ ২৫ হাজার টকা।

উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা সোহেব আহমদ বলেন, এ বছর দরবস্ত ইউনিয়নে ৪৭০ বিঘা জমিতে সরিষা চাষ হয়েছে। রবি শস্যের পাশাপাশি সরিষা চাষিদের মাঠ পর্যায়ে আমাদের তদারকি, নিয়মিত পরিদর্শন, পরামর্শ ও সার্বিক সহযোগিতা প্রদান করে আসছি। সরিষা উঠে গেলে ঐ জমি আউশ ধানের জন্য প্রস্তুত করা হবে।

জৈন্তাপুর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা শামীমা আক্তার বলেন, চলতি মৌসুমে আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় সরিষার বাম্পার ফলন হয়েছে। উপজেলায় চলতি মৌসুমে প্রায় ২৬শ’ কৃষককে প্রণোদনা দেওয়া হয়েছে। এছাড়া উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের পক্ষ থেকে নিয়মিত মাঠ পরিদর্শন করে কৃষকদের পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। সাধারণত কার্তিক মাসের মাঝামাঝি থেকে ৮৫ দিনের মধ্যে সরিষার বীজ বিক্রির জন্য প্রস্তুত করা হয়।

নিউজটি শেয়ার করুন

© All rights reserved © jamunanewsbd.com
Design, Developed & Hosted BY ALL IT BD