May 2, 2024, 10:55 pm

News Headline :
অপতথ্য ও অর্ধসত্যের মাঝে মুক্ত গণমাধ্যমের চ্যালেঞ্জ পূর্বাচলে অর্ধেকের বেশি প্লট বিক্রি করে দিয়েছেন প্রবাসীরা যাত্রাবাড়ীতে পরিবহনে চাঁদাবাজি, গ্রেফতার ১১ নতুন প্রজন্মকে মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় গড়ে তুলতে হবে: মুক্তিযুদ্ধমন্ত্রী দীর্ঘ তাপপ্রবাহের পর অবশেষে রাজধানীতে স্বস্তির বৃষ্টি উপজেলা নির্বাচন সুষ্ঠু করার লক্ষ্যে কাজ করতে মন্ত্রী-এমপিদের নির্দেশ প্রধানমন্ত্রীর গাজায় বিধ্বস্ত বাড়ি-ঘর পুনর্নির্মাণে সময় লাগতে পারে ৮০ বছর রোহিঙ্গাদের প্রত্যাবাসনে সহযোগিতা করবে থাইল্যান্ড : প্রধানমন্ত্রী মার্কিন ও ব্রিটিশ কর্মকর্তাদের ওপর ইরানের নিষেধাজ্ঞা বেতন-ভাতার দাবিতে দিনকালের সাংবাদিকদের মানববন্ধন

মুলাদীতে নৌকার প্রার্থী বদলের গুঞ্জন, আওয়ামী লীগে হতাশ

মুলাদী প্রতিনিধি: দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বরিশাল-৩ (মুলাদী-বাবুগঞ্জ) আসনে নৌকার প্রার্থী বদলের গুঞ্জন শোনা যাচ্ছে। গত ৩০ নভেম্বর বিকেল পৌনে ৪টায় প্রার্থীদের মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার শেষ দিনে ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি রাশেদ খান মেননের পক্ষে নেতা-কর্মীদের মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার পরপরই শুরু হয় গুঞ্জন।

এ নিয়ে আওয়ামী লীগের অনেক নেতা-কর্মীর মধ্যে হতাশা দেখা দিয়েছে। ২২ বছর পর আওয়ামী লীগের কোনো নেতা নৌকা প্রতীক নিয়ে নির্বাচন করায় নেতা-কর্মীদের মাঝে যে উচ্ছ্বাস দেখা দিয়েছিল, তা অনেকটা ভাটা পড়েছে।

মহাজোটের কারণে ২০০৮ সালে নৌকা প্রতীকের প্রার্থী আফজালুল করিম মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার পর তা প্রত্যাহার করতে বাধ্য হয়েছিলেন। ওই নির্বাচনে আওয়ামী লীগ জাতীয় পার্টির প্রার্থীকে আসন ছেড়ে দিলে গোলাম কিবরিয়া টিপু লাঙ্গল প্রতীকে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীদের মধ্যে সেই পুরোনো শঙ্কা দেখা দিয়েছে।

দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার পর মুলাদী ও বাবুগঞ্জের আওয়ামী লীগের ১০ জন নেতা বরিশাল-৩ আসনে নৌকার মনোনয়ন চান। আওয়ামী লীগের মনোনয়ন বোর্ড গত ২৬ নভেম্বর বাবুগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি সরদার মো. খালেদ হোসেন স্বপনকে মনোনয়ন দেয়। তিনি ৩০ নভেম্বর মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন।

এর আগে ২০০১ সালে জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বরিশাল-৩ আসনে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন পেয়েছিলেন আফজালুল করিম। ওই নির্বাচনে তাঁকে পরাজিত করে জয় পান বিএনপির প্রার্থী মোশাররফ হোসেন মংগু। ২০০৮, ২০১৪ ও ২০১৮ সালে এই আসনে কোনো প্রার্থী দেয়নি আওয়ামী লীগ।

মুলাদী পৌর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আলমগীর হোসেন সুমন বলেন, ২০০৮ সালে আওয়ামী লীগ জোটের শরিক জাতীয় পার্টিকে আসন ছেড়ে দিয়েছিল। ২০১৪ সালে জোটকে আসন ছেড়ে দেওয়ায় এমপি হয়েছেন ওয়ার্কার্স পার্টির শেখ মো. টিপু সুলতান। ২০১৮ সালে আবারও ছাড় দেওয়ায় জাতীয় পার্টির গোলাম কিবরিয়া টিপু এমপি হন। বারবার জোটের শরিকদের আসন ছেড়ে দেওয়ায় এই দুই উপজেলায় তেমন কোনো উন্নয়ন হয়নি। তৃণমূল নেতা-কর্মীরাও অবহেলিত। এবার আওয়ামী লীগের প্রার্থী দেওয়ায় নেতা-কর্মীরা উজ্জীবিত হয়েছিলেন। এর মধ্যে ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি রাশেদ খান মেনন মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ায় আবার আসনটি জোটের হাতে চলে যাওয়ার শঙ্কা তৈরি হয়েছে।

এ ব্যাপারে উপজেলা ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি এম এ গফুর মোল্লা বলেন, ‘ওয়ার্কার্স পার্টি আওয়ামী লীগের নেতৃত্বাধীন জোটের সঙ্গে নৌকা প্রতীক নিয়ে নির্বাচনের জন্য নির্বাচন কমিশনে চিঠি দিয়েছে। জোটের নেতৃত্ব দিচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। জোটের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী রাশেদ খান মেনন নৌকা প্রতীক পেলে সবাই তাঁর পক্ষে কাজ করবেন।’

দলীয় মনোনয়ন পাওয়া আওয়ামী লীগের প্রার্থী সরদার মো. খালেদ হোসেন স্বপন বলেন, ‘দলের সভাপতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা মনোনয়ন দিয়ে নৌকা প্রতীক দিয়েছেন। তাঁর নির্দেশনা ও সিদ্ধান্ত মোতাবেক কাজ করব।’

নিউজটি শেয়ার করুন

© All rights reserved © jamunanewsbd.com
Design, Developed & Hosted BY ALL IT BD