March 29, 2024, 12:45 pm

তালশাঁস কেন খাবেন?

যমুনা নিউজ বিডিঃ গ্রীষ্মের অন্যতম একটি আরামদায়ক ফল হচ্ছে কাঁচা তাল অর্থাৎ তালের শাঁস। এশিয়ার দেশেগুলোতে গরমে কাঁচা তালের শাঁস খুবই জনপ্রিয় একটি খাবার হিসেবে পরিচিত। আর বাংলাদেশে এখন বাণিজ্যিকভাবে তালের শাঁস বিক্রি করে স্বাবলম্বী হচ্ছেন অনেকে। তাল শাঁস খেতে অনেকটা নারকেলের মতই, তবে শক্ত নয়, তুলতুলে। কেবল খেতেই সুস্বাদু নয়, এর রয়েছে অবিশ্বাস্য পুষ্টিগুণ ও স্বাস্থ্য উপকারিতা। ১) তালের শাঁসে থাকা জলীয় অংশ শরীরে  পানিশূণ্যতা দূর করতে সাহায্য। এবং সেইসঙ্গে শরীর পানির অভাব দূর করে।

২) তালে শাঁসে রয়েছে ভিটামিন সি ও বি কমপ্লেক্স যা শরীরের জন্য বিশেষভাবে উপকারি।   ৩) তালে শাঁসে রয়েছে ভিটামিন এ, যা দৃষ্টিশক্তিকে প্রখর করতে সাহায্য করে। ৪) তালে শাঁসে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে অ্যান্টি অক্সিডেন্ট, যা শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়িয়ে দিতে সাহায্য করে। ৫) অনেক সময়ে অ্যাসিডিটির ফলে বমিভাব হয় এবং খাবার বিস্বাদ লাগে। কচি তালের শাঁস এই বমিভাব দূর করতে সাহায্য করে। সেইসঙ্গে খাবারে অরুচিভাব কাটিয়ে উঠতে সাহায্য করে। ৬) কচি তালের শাঁস লিভারের সমস্যা দূর করতে সাহায্য করে। ৭) আপনার যদি অ্যানিমিয়া বা রক্তস্বল্পতা থেকে থাকে, তাহলে তা দূর করতে খান কচি তালের শাঁস। ৮) তালের শাঁসে থাকা ক্যালসিয়াম হাড়ের গঠনে বিশেষ ভূমিকা পালন করে। ৯) ত্বককে সুন্দর, উজ্জ্বল ও দীপ্তিময় করে তুলতে নিয়ম করে খান তালের শাঁস। মিষ্টি স্বাদের মোহনীয় গন্ধে ভরা প্রতি ১০০ গ্রাম তালের শাঁসে রয়েছে ৮৭ কিলোক্যালরি। ৮ মিলিগ্রাম ক্যালসিয়াম, জলীয় অংশ ৮৭.৬ গ্রাম, আমিষ .৮ গ্রাম, ফ্যাট .১ গ্রাম, কার্বোহাইড্রেটস ১০.৯ গ্রাম, খাদ্যআঁশ ১ গ্রাম, ক্যালসিয়াম ২৭ মিলিগ্রাম, ফসফরাস ৩০ মিলিগ্রাম, লৌহ ১ মিলিগ্রাম, থায়ামিন .০৪ গ্রাম, রিবোফাভিন .০২ মিলিগ্রাম, নিয়াসিন .৩ মিলিগ্রাম, ভিটামিন সি ৫ মিলিগ্রাম। এসব উপাদান আপনার শরীরকে নানা রোগ থেকে রক্ষা করাসহ রোগ প্রতিরোধে সহায়তা করে।

নিউজটি শেয়ার করুন

© All rights reserved © jamunanewsbd.com
Design, Developed & Hosted BY ALL IT BD