October 13, 2024, 2:29 am
মাদারীপুরের কালকিনিতে সামান্য বাতাসেই উড়ে গেল আশ্রয়ণ প্রকল্পের ৬টি ঘরের টিন। এতে ক্ষোভ বিরাজ করছে স্থানীয়দের মাঝে। স্থানীয়দের দাবি, দায়সারাভাবে কাজ করায় এবং নিম্নমানের নির্মাণসামগ্রী ব্যবহার করার কারণেই সামান্য বাতাসে এ অবস্থা হয়েছে। নবনির্মিত এসব ঘরের এমন অবস্থায় উপকারভোগীদের মধ্যে আতঙ্ক বিরাজ করছে। জানা গেছে, এই ঘর নির্মাণকাজ গত মাসেই শেষ হয়েছে। নির্মাণের এক মাসের মাথায় ঘরে চাল উড়ে যাওয়ায় ক্ষুব্ধ নাগরিক সমাজও। গতকাল ভোরে বৃষ্টির সঙ্গে সামান্য বাতাস হয়। বাতাসে আশপাশের কোথাও কোনো ক্ষয়ক্ষতি না হলেও কালকিনি পৌরসভার ২নং ওয়ার্ডের চরঠেঙ্গামারা এলাকার আশ্রয়ণ প্রকল্পের কয়েকটি ঘরের বারান্দাসহ ছাউনির টিন উড়ে যায়। বিভিন্ন দেয়ালেও ফাটল ধরেছে। ঘর ভেঙে পড়ায় আতঙ্ক বিরাজ করছে উপকারভোগীদের মধ্যে।
স্থানীয় বাসিন্দা মো. সামচু বলেন, নিম্নমানের সামগ্রী দিয়ে ঘর তৈরির কারণেই চাল উড়ে গেছে। স্থানীয় বাসিন্দা হাসমত আলী জানান, ভোরে বৃষ্টি হয়েছে। সঙ্গে সামান্য বাতাস। এতে এলাকায় তেমন কোনো ক্ষতি হয়নি।
স্থানীয়দের ভাষ্যমতে এলাকায় অন্য কোনো ঘরের কোনো ক্ষতি না হলেও আশ্রয়ণের ঘরের চাল উড়ে গেছে। মাদারীপুর উন্নয়ন সংগ্রাম পরিষদের সভাপতি মাসুদ পারভেজ বলেন, সরকার গৃহহীনদের বসবাসের জন্য ঘর নির্মাণ করেছে। এটা ভালো কাজ। কিন্তু কিছু দুর্নীতিবাজ কর্মকর্তাদের কারণে নির্মাণের এক মাসে মধ্যেই ঘরে চাল উড়ে গেছে। দেয়ালেও ফাটল ধরেছে বলে শুনেছি। বিষয়টি তদন্ত করে অনিয়মের সঙ্গে জতিদের বিচারের আওতায় আনার দাবি জানাই। এ ব্যাপারে কালকিনি উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা মোস্তফা কামাল বলেন, ঝড়ে চাল উড়ে যেতেই পারে। এখনো ঘরে কেউ ওঠেনি। চাল ঠিক করে দেয়া হবে। কাজে গাফিলতি আছে কিনা এমন প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, ঝড়ে ক্ষতি হতেই পারে। আমিতো এখনো শুনিনি। এ ব্যাপারে কালকিনি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা পিংকী সাহার সরকারি নম্বরে একাধিক বার ফোন দিলেও তিনি ফোন রিসিভ করেননি। মাদারীপুর জেলা প্রশাসক ড. রহিমা খাতুন বলেন, ঝড়ের কারণে ৪টি ঘর ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। সেগুলো সকালেই মেরামত করে দেয়া হয়েছে। নিম্নমানের সামগ্রী দিয়ে নির্মাণ করেছে কিনা প্রশ্নে তিনি বলেন, খোলা স্থানের ঘর হওয়ার কারণে এমন হয়েছে।