April 26, 2024, 8:47 pm

ডলার সংকট:ফ্লাইট গুটিয়ে নিচ্ছে বিদেশি এয়ারলাইন্সগুলো

ডলার সংকটে এবার ফ্লাইট গুটিয়ে নিচ্ছে বিদেশি এয়ারলাইন্সগুলো। এ সংকটের কারণে টিকিট বিক্রির আয় নিজ দেশে পাঠাতে পারছে না তারা। এতে টিকিটপ্রতি ১৫ থেকে ২০ শতাংশ লোকসান হচ্ছে। ডলার না থাকায় এয়ারক্রাফটের জ্বালানি ক্রয়েও হিমশিম খাচ্ছে তারা। তেল কেনার মূল্য পরিশোধে ডলার বাধ্যতামূলক হওয়ায় সংকট আরও তীব্র হয়েছে। টিকিট বিক্রির ২ হাজার ২০০ কোটি টাকার বেশি অর্থ আটকে আছে। গত বছরের মার্চ থেকে এই তহবিল পাঠানো যাচ্ছে না সংশ্লিষ্ট দেশগুলোয়। নিরুপায় বাংলাদেশ ব্যাংকসহ সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়। বিদ্যমান পরিস্থিতিতে ফ্লাইট কাটছাঁট শুরু করেছে বেশির ভাগ এয়ারলাইন্স। এমনকি দুটি এয়ারলাইন্স ফ্লাইট পরিচালনা স্থগিতেরও চিন্তাভাবনা করছে। টার্কিশ এয়ারলাইন্স আগে বাংলাদেশ থেকে সপ্তাহে ১৪টি ফ্লাইট পরিচালনা করলেও এখন করছে মাত্র ৭টি। সিঙ্গাপুর এয়ারলাইন্স সপ্তাহে ১০টির জায়গায় এখন চালাচ্ছে ৭টি। মালিন্দো ও ক্যাথে প্যাসেফিক আগে সপ্তাহে ৫টি ফ্লাইট চালালেও এখন মাত্র ১টি ফ্লাইট চালাচ্ছে।

আর কুয়েত এয়ারলাইন্স আগে ১২টি ফ্লাইট চালালেও এখন চালাচ্ছে ১০টি। মালয়েশিয়া এয়ারলাইন্স ইতোমধ্যে বাংলাদেশ থেকে ফ্লাইট পরিচালনা স্থগিতের পরিকল্পনা করছে। বর্তমানে এয়ারলাইন্সটির ৪০০ কোটি টাকার বেশি অর্থ বাংলাদেশে আটকে আছে। সংকট নিরসনে আন্তর্জাতিক সিভিল এভিয়েশন অর্গানাইজেশনের (আইএটিএ) দ্বারস্থ হয়েছে এয়ারলাইন্সগুলো। আইএটিএ এ বিষয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করে বাংলাদেশ সরকারকে চিঠি দিয়েছে। একইভাবে উদ্বেগ প্রকাশ করে বেসামরিক বিমান চলাচল ও পর্যটন মন্ত্রণালয়কে চিঠি দিয়েছে অ্যাসোসিয়েশন অব ট্রাভেল এজেন্ট অব বাংলাদেশ (আটাব)।

নিয়ম অনুযায়ী বিদেশি এয়ারলাইন্সগুলো বাংলাদেশে যে অর্থ আয় করছে, সেই অর্থ ডলারে রেমিট্যান্স আকারে বিদেশে পাঠানোর কথা। কিন্তু গত বছরের নভেম্বর থেকে এই অর্থ ফেরত পাঠানো একদমই বন্ধ হয়ে গেছে। এভিয়েশন বিশেষজ্ঞরা বলেছেন, ফ্লাইটের সংখ্যা হ্রাস অব্যাহত থাকলে ভয়াবহ বিপর্যয়ের মুখে পড়ার আশঙ্কা রয়েছে আন্তর্জাতিক যাত্রী পরিবহণ।

এদিকে টিকিট বিক্রির অর্থ অনির্দিষ্টকাল বাংলাদেশে আটকে থাকার কারণে বিদেশি এয়ারলাইন্সগুলো এই অর্থের ‘কস্ট অব ফান্ড’ সমন্বয়ে টিকিটের মূল্য বাড়িয়ে দিয়েছে। এ কারণে হুহু করে বাড়ছে আন্তর্জাতিক গন্তব্যের টিকিটের দাম।

সংশ্লিষ্টরা জানান, ডলার সংকটের কারণে বিদেশি এয়ারলাইন্সের ফ্লাইট কমে গেলে প্রবাসী কর্মী পরিবহণে মারাত্মক অচলাবস্থার সৃষ্টি হবে। এতে শ্রমিক বিদেশে যাওয়া কমে যাবে এবং প্রবাসী রেমিট্যান্সের ওপর বিরূপ প্রতিক্রিয়া দেখা দেবে। ধস নামবে পর্যটন খাতে।

উৎস:যুগান্তর

নিউজটি শেয়ার করুন

© All rights reserved © jamunanewsbd.com
Design, Developed & Hosted BY ALL IT BD