April 26, 2024, 9:59 am

আদমদীঘি হাসপাতালে ডাক্তারসহ গুরুত্বপূর্ণ ৮৫ পদই শূন্য

আদমদীঘি (বগুড়া) প্রতিনিধি : বগুড়ার আদমদীঘি উপজেলা ৫০ শয্যা বিশিষ্ট হাসপাতাল ও ৫টি উপ-স্বাস্থ্য কেন্দ্র গুলোতে বর্তমানে সার্জারি, মেডিসিন, চক্ষু, অর্থোপেডিক, কুক/মশালচী, নিরাপত্তা প্রহরী, আয়া, মালি, সুইপারসহ ২২৮ পদের মধ্যে গুরুত্বপূর্ণ ৮৫টি পদশূন্য রয়েছে। চতুর্থ শ্রেণীর কর্মচারী সংকটে হাসপাতালে পরিস্কার পরিচ্ছন্নতার অভাবে অপরিচ্ছন্ন পরিবেশ বিরাজ করছে। চিকিৎসক সংকটে উপজেলার সাড়ে চার লাধিক মানুষ সু-চিকিৎসা সেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। হাসপাতালে জরুরি বিভাগে রোগী এলেই নামেমাত্র প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে অধিকাংশ রোগিকে জেলা সদর হাসপাতালে স্থানান্তর এবং অধিকাংশ নার্স স্থানীয় হওয়ায় তাদের অসৌজন্য আচরণে রোগিরা প্রকৃত সেবা পান না বলে অভিযোগ রয়েছে। বগুড়ার আদমদীঘি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সটি ২০০৩ সালের ১৯ অক্টোবর ৩১ শয্যা থেকে ৫০ শয্যা হাসপাতালে উন্নীত করা হয়। এছাড়া ছাতিয়ানগ্রাম, নশরতপুর, কুন্দগ্রাম, চাঁপাপুর ও সান্তাহার উপ-স্বাস্থ্য কেন্দ্র রয়েছে। উপজেলার প্রায় সাড়ে ৪ লাধিক লোকের স্বাস্থ্য সেবা নিশ্চিত করতে ৫০ শয্যা হাসপাতাল চালুর পর লোকবল ও বেড সংখ্য বৃদ্ধিসহ যাবতীয় যন্ত্রপাতি সরবরাহ করা হলেও বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকসহ লোকবল সংকটের কারনে যন্ত্রপাতি ব্যবহার না করায় সেগুলো মরিচা ধরে নষ্ট হচ্ছে। হাসপাতাল ও উপ-স্বাস্থ্য কেন্দ্র মিলে মোট ২২৮ পদের মধ্যে ৮৫টি গুরুত্বপূর্ণ পদশূন্যই রয়েছে। হাসপাতালে গুরুত্ব¡পূর্ণ ২২ পদের মধ্যে সার্জারি, মেডিসিন, চক্ষু, অর্থোপেডিক, মেডিকাল অফিসারসহ ১৩ জন চিকিৎসক পদ শূন্য রয়েছে। এছাড়া প্রধান হিসাব রক্ষক, স্টোর কিপার, কম্পিউটার অপারেটরসহ তৃতীয় শ্রেণীর, ১১১ পদের মধ্যে ৩৩টি পদ শূন্য এবং হাসপাতালে অতীব প্রয়োজনীয় ৪র্থ কর্মচারীদের মধ্যে নিরাপত্তা প্রহরী, কুক/বাবুর্চি, আয়া, মালি, সুইপার, ওয়ার্ডবয়সহ ৩৮ পদের মধ্যে ৩১টি পদই শূন্য রয়েছে। বিশেষ করে সুইপার ৫টি পদের মধ্যে ৪টি পদই শূন্য থাকায় হাসপাতাল পরিস্কার পরিচ্ছন্নতা মারাত্মক ভাবে ব্যাহত হচ্ছে। কুক/বাবুর্চি না থাকায় ভর্তি রোগিদের রান্নায় সমস্যা হচ্ছে। তেমনি নিরাপত্তা প্রহরি, ঝাড়ুদার ও সুইপার না থাকায় পুরো হাসপাতাল রয়েছে নোংরা ও আবর্জনায় ভরপুর। দুর্গন্ধে রোগিদের ঘরে থাকায় হয়েছে দুরুহ। ভর্তিকৃত রোগীরা জানায়, ময়লা ও আবর্জনার কারনে ঘরে অবস্থান করাসহ টয়লেট ব্যবহার করা যায় না। পাইকপাড়া গ্রামের রোগির স্বজন ছামসুল হক জানান, অধিকাংশ নার্স স্থানীয় হওয়ায় তারা রোগিদের সেবা করার পরিবর্তে রুঢ আচরণ করে। এই হাসপাতালে ৪র্থ শ্রেণীর লোকবল সংকটের কারনে নিরাপত্তা ও অপরিচ্ছন্নতায় এখন হাসপাতালই রোগাক্রান্ত হয়ে পড়েছে। বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক সংকটে উপজেলার সাড়ে ৪ লক্ষাধিক মানুষ স্বাস্থ্য সেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন। অনেক রোগী হাসপাতালে না এসে কিনিক মুখি হচ্ছেন। উপজেলা স্বাস্থ্য ও পঃপঃ কর্মকর্তা ডাঃ ফজলে রাব্বি জানান, শূন্যপদে লোকবল চেয়ে প্রতি মাসের প্রতিবেদন প্রেরণ করা হচ্ছে। ৪র্থ শ্রেণীর কর্মচারী সংকটের কারনে হাসপাতাল পরিস্কার পরিচ্ছণতার সমস্যা রয়েছে।

নিউজটি শেয়ার করুন

© All rights reserved © jamunanewsbd.com
Design, Developed & Hosted BY ALL IT BD