March 28, 2024, 1:09 pm

এএমআর সম্পর্কে গণসচেতনতা সৃষ্টির বিকল্প নেই : প্রধানমন্ত্রী

যমুনা নিউজ বিডিঃ অ্যান্টিমাইক্রোবিয়াল রেজিস্ট্যান্স (এএমআর) সম্পর্কে গণসচেতনতা সৃষ্টির বিকল্প নেই বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। বৃহস্পতিবার (২২ সেপ্টেম্বর) নিউইয়র্কের একটি হোটেলে এএমআর-বিষয়ক এক অনুষ্ঠানে তিনি কথা বলেন।

অ্যান্টিমাইক্রোবিয়াল রেজিস্ট্যান্স বলতে মূলত অ্যান্টিবায়োটিক রেজিস্ট্যান্সকে বোঝানো হয়। মাত্রাতিরিক্ত বা নিয়ম না মেনে অ্যান্টিবায়োটিক গ্রহণের ফলে শরীরে জীবাণু বা ব্যাকটেরিয়া ওষুধ প্রতিরোধী হয়ে ওঠে। ফলে পরে শরীরে ওই অ্যান্টিবায়োটিক আর কার্যকর হয় না।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, একটি বড় ধরনের সংকটে পরিণত হওয়ার আগেই এএমআর ঠেকাতে টেকসই রাজনৈতিক সদিচ্ছা ও পদক্ষেপ গ্রহণ করা প্রয়োজন।

তিনি বলেন, এএমআর এমন একটি সমস্যা যা সংকটে রূপ নিতে পারে। এর কারণে বিশ্বব্যাপী লাখ লাখ প্রাণহানি হতে পারে। তাই, এএমআর সম্পর্কে গণসচেতনতা সৃষ্টির বিকল্প নেই।

শেখ হাসিনা বলেন, বিশ্ব নেতৃবৃন্দের এই গ্রুপ থেকে বিষয়টিকে তুলে ধরার জন্যে কাজ চলছে, কিন্তু এটি স্পষ্ট যে এই ব্যাপারে আরো কিছু করা প্রয়োজন।

তিনি আরও বলেন, কৌশলগত অগ্রাধিকারগুলো যথাযথভাবে চিহ্নিত করা হয়েছে। আমাদের নিশ্চিত করতে হবে যে সেগুলো সঠিকভাবে বাস্তবায়িত হয়েছে। আমাদের একটি ‘অভিন্ন স্বাস্থ্য পদ্ধতি’তে স্থিত হওয়া প্রয়োজন।

সরকারপ্রধান বলেন, ইতোমধ্যে প্রায় ১৫০টি দেশের এএমআর বিষয়ে তাদের জাতীয় কর্মপরিকল্পনা রয়েছে। নিম্ন ও মধ্যম আয়ের দেশে এগুলো বাস্তবায়নের জন্য অর্থপূর্ণ সহায়তা প্রয়োজন।

তিনি বলেন, আন্তর্জাতিক উন্নয়ন সহযোগিতায় এএমআর গুরুত্ব পাওয়া উচিত এবং ২০১৯ সালে প্রতিষ্ঠিত মাল্টি-পার্টনার ট্রাস্ট ফান্ড পছন্দের হাতিয়ার হতে পারে।

শেখ হাসিনা বলেন, এএমআরের জন্য বিশ্ব ও জাতীয় পর্যায়ে একটি শক্তিশালী বিনিয়োগ পরিস্থিতি তৈরি করা দরকার। এএমআরের দায়িত্ব ও প্রতিক্রিয়া বোঝার জন্যে নজরদারি গুরুত্বপূর্ণ। বাংলাদেশ ২০১৯ সাল থেকে গ্লাস প্ল্যাটফর্মে রিপোর্ট করে আসছে।

তিনি বলেন, সংশ্লিষ্ট সকল অংশীদারের জড়িত হওয়া অত্যাবশ্যকীয় এবং একটি রোগী-কেন্দ্রিক দৃষ্টিভঙ্গি গুরুত্বপূর্ণ। প্রাথমিক স্বাস্থ্যসেবা পদ্ধতির সঙ্গে যোগসূত্রের মাধ্যমে শুরুতেই রোগ নির্ণয় নিশ্চিত করা যেতে পারে।

নতুন এএমআরের ভ্যাকসিন ও অন্যান্য চিকিৎসার জন্য গবেষণা ও উদ্ভাবনের অভাবকে উদ্বেগের মূল কারণ হিসেবে উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, এ জন্যে বেসরকারি খাতের যথাযথ প্রণোদনা প্রয়োজন।

তিনি বলেন, কিছু জটিল প্যাথোজেনের জন্য এএমআরের বিকাশের ঝুঁকি রয়েছে। এই বিষয়ে সংগৃহীত প্রমাণ এবং তথ্য উপাত্ত বেশ চোখ খুলে দেওয়ার মত।

শেখ হাসিনা বলেন, এএমআর সম্পর্কে গণসচেতনতা সৃষ্টির কোনো বিকল্প নেই এবং এ জন্যে নভেম্বরে বার্ষিক বিশ্ব সচেনতা সপ্তাহ একটি উপযুক্ত উপলক্ষ।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, সংশ্লিষ্ট সূচকগুলোর ওপর প্রতিবেদন প্রকাশ মানবস্বাস্থ্য, প্রাণীস্বাস্থ্য, খাদ্য ব্যবস্থা এবং পরিবেশকে প্রভাবিত করে এমন এএমআর নীতি তৈরিতে সাহায্য করতে পারে।

সূত্র : বাসস

নিউজটি শেয়ার করুন

© All rights reserved © jamunanewsbd.com
Design, Developed & Hosted BY ALL IT BD