April 26, 2024, 2:48 am
নরসিংদীতে বিএনপির দুই গ্রুপের সংঘর্ষে আহত ৫
যমুনা নিউজ বিডিঃ নরসিংদীতে বিএনপির বিক্ষোভ সমাবেশে চেয়ারে বসাকে কেন্দ্র করে বিএনপির দুই গ্রুপের হাতাহাতি, ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া ও সংঘর্ষে সমাবেশ পন্ড হওয়ার ঘটনা ঘটেছে।
রবিবার সন্ধ্যার দিকে সদর উপজেলার চিনিশপুরের দলীয় কার্যালয়ের সামনে দুই পক্ষের কর্মী-সমর্থকদের মধ্য এই সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।
জানা গেছে, পূর্ব ঘোষণা অনুযায়ী জেলা বিএনপি কার্যালয়ে তেল, গ্যাস ও নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যের মূল্য বৃদ্ধির প্রতিবাদে রবিবার বিকেলে বিক্ষোভ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হচ্ছিল। এ সময় বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব খায়রুল কবির খোকন ও জেলা বিএনপির সদস্য সচিব মনজুর এলাহীসহ জেলা বিএনপির অন্যান্য নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।
পুলিশ ও বিএনপির স্থানীয় নেতাকর্মীদের সূত্রে জানা গেছে, সমাবেশের একপর্যায়ে মাধবদী পৌর ছাত্রদলের সাবেক আহবায়ক আনোয়ার হোসেন আনুর বক্তব্য দেওয়া শেষ হলে মঞ্চে বক্তব্য দিতে মঞ্চে আসেন ছাত্রদলের সাবেক সাধারণ সম্পাদক আবদুর রউফ ফকির রনি। এ সময় আবদুর রউফ ফকিরের অনুসারীরা আনোয়ার হোসেনের কয়েকজন কর্মীকে মঞ্চের পেছনের সাড়ির চেয়ার ছেড়ে মঞ্চ খালি করতে বলেন।
এ নিয়ে আবদুর রউফ ফকিরের অনুসারী ও আনোয়ার হোসেনের অনুসারীদের মাঝে তর্কাতর্কি ও হাতাহাতি শুরু হয়। পরে তাদের মধ্যে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটে এবং একপর্যায়ে তা সংঘর্ষে রূপ নেয়। এ সময় লাঠি ও প্লাস্টিকের চেয়ারের আঘাতে দুই গ্রুপের অন্তত ৫ জন আহত হন। পরে তাদের স্থানীয় বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হয়।
সংঘর্ষের সময় মঞ্চে দাঁড়িয়ে দুই পক্ষকে থামানোর চেষ্টা করছিলেন বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব খায়রুল কবির খোকন ও জেলা বিএনপির সদস্য সচিব মনজুর এলাহী। পরে ব্যর্থ হয়ে সমাবেশ শেষ হওয়ার আগেই ব্যক্তিগত গাড়িতে করে ঘটনাস্থল ত্যাগ করেন খায়রুল কবির খোকন ও মনজুর এলাহী। এ সময় অন্যান্য নেতারাও যার যার মত ঘটনাস্থল ত্যাগ করেন।
জানতে চাইলে বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব খায়রুল কবির খোকন জানান, দুঃখজনক এই ঘটনা যখন ঘটে, তখন আমরা মঞ্চে অবস্থান করছিলাম। মঞ্চের চেয়ারে বসা নিয়ে সাবেক দুই ছাত্রদল নেতার কর্মী-সমর্থকদের মধ্যে এই সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। আহতরা বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়ে এরই মধ্যে বাড়িতে ফিরেছেন।
নরসিংদী মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ফিরোজ তালুকদার জানান, বিএনপির বিক্ষোভ সমাবেশে নেতা-কর্মীরা নিজেদের মধ্যে সংঘর্ষে লিপ্ত হয়। তাদের সংঘর্ষে যেন সাধারণ মানুষের জানমালে ক্ষতি না হয় সেজন্য পুলিশ সতর্ক ছিল। এই ঘটনায় অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
