May 29, 2023, 1:13 pm
যমুনা নিউজ বিডিঃ সিলেট-সুনামগঞ্জের পর এবার হবিগঞ্জের আজমিরীগঞ্জ ও নবীগঞ্জে দেখা দিয়েছে বন্যা। দুদিনের টানা বৃষ্টি আর উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলে কালনি-কুশিয়ারাসহ বিভিন্ন নদ-নদীর পানি দ্রুত বাড়ছে। প্রতিনিয়ত প্লাবিত হচ্ছে নতুন নতুন এলাকা। এরই মধ্যে পানিবন্দি হয়ে পরেছে জেলার দুই উপজেলার ৪০টি গ্রামের হাজারো পরিবার। শুক্রবার ভোর থেকে হবিগঞ্জে মুষলধারে বৃষ্টি শুরু হয়। একদিকে বৃষ্টি অন্যদিকে পাহাড়ি ঢলের পানি ঢোকায় কালনি-কুশিয়ারাসহ জেলার প্রধান প্রধান নদ-নদীর পানি দ্রুত বাড়তে থাকে। এদিন বিকেলে কুশিয়ারার বাঁধ ডুবে হাওরে ঢুকতে থাকে পানি। একই সঙ্গে প্লাবিত নতুন এলাকা। রাতভর বৃষ্টির কারণে নদীর পানি আরো বাড়তে থাকে। শনিবার সকালে পাহাড়পুর-মারকুলি সড়কের নিখলির ঢালা ও পিরোজপুর-বদলপুর সড়কের কৈয়ার ঢালায় কুশিয়ারা নদীর বাঁধ ভেঙে যায়। ফলে পানি ঢোকে লোকালয়ে। প্লাবিত হতে থাকে একের পর এক গ্রাম।
নবীগঞ্জ উপজেলার ইনাতগঞ্জ ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. নোমান হোসেন বলেন, এ ইউনিয়নের ১০টি গ্রাম প্লাবিত হয়েছে। এছাড়া পানি দ্রুত বাড়ায় পুরো ইউনিয়ন প্লাবিত হওয়ার শঙ্কা দেখা দিয়েছে। এরই মধ্যে ৩শ’ মানুষকে আশ্রয়কেন্দ্রে পাঠানো হয়েছে। বাকিদের আশ্রয়কেন্দ্রে নেয়ার কাজ চলছে। একই অবস্থা দিঘলবাগ ইউনিয়নের। সেখানেও বেশকিছু গ্রাম প্লাবিত হয়েছে। বাসিন্দাদের নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নেয়ার কাজ করছেন স্থানীয় জনপ্রতিনিধি ও প্রশাসনের লোকজন।
হবিগঞ্জ পানি উন্নয়ন বোর্ডের উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী মিনহাজ আহমেদ শোভন বলেন, টানা বৃষ্টি ও উজানের ঢলে কুশিয়ারা-কালনি ও খোয়াই নদীর পানি ব্যাপকভাবে বাড়ছে। আজমিরীগঞ্জ ও নবীগঞ্জে বাঁধ উপচে পানি লোকালয়ে ঢুকছে। এছাড়া আজমিরীগঞ্জে সড়ক ভেঙে ঢুকছে পানি।
আজমিরীগঞ্জ উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) শফিকুল ইসলাম বলেন, পানি বৃদ্ধি ও বানবাসীদের পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করা হচ্ছে। উপজেলার সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানকে আশ্রয়কেন্দ্র ঘোষণা করা হয়েছে। এছাড়া উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে বন্যার্তদের উদ্ধার ও খাবারের ব্যবস্থা করা হচ্ছে।
এদিকে, বন্যাকবলিত মানুষের জন্য ৪০ হাজার প্যাকেট শুকনো খাবার প্রস্তুত করেছে জেলা প্রশাসন। এর মধ্যে পাঁচ হাজার প্যাকেট পাঠানো হয়েছে সুনামগঞ্জ জেলায়, সমপরিমাণ পাঠানো হবে সিলেটেও। বাকি ৩০ হাজার প্যাকেট খাবার হবিগঞ্জে বন্যার্তদের মাঝে বিতরণ করা হবে।
হবিগঞ্জের জেলা প্রশাসক ইশরাত জাহান বলেন, বন্যা পরিস্থিতি মোকাবিলায় নানা ধরনের প্রস্তুতি নেয়া হয়েছে। যে কারো জরুরি ভিত্তিতে খাবার প্রয়োজন হলে ৩৩৩-এ কল দিলে জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে খাবার পৌঁছে দেওয়া হবে।