October 16, 2024, 6:31 am
যমুনা নিউজ বিডি: মাছের ডিম খেতে সুস্বাদু। তাই অনেকেই এই খাবার পাতে রাখেন। এই ডিম নিয়ে নানান ধরনের মিথ রয়েছে। অনেকেই মনে করেন মাছের ডিম খেলে হৃদরোগের ঝুঁকি বাড়ে। আদৌ কি তাই? কী বলছেন চিকিৎসকরা?
মাছের ডিমের পুষ্টিগুণ
মাছের তেলে রয়েছে প্রাকৃতিক ওমেগা থ্রি ফ্যাটি অ্যাসিডের ভাণ্ডার। আর এই উপাদান হার্ট-ব্রেন সহ দেহের একাধিক অঙ্গের হাল ফেরানোর কাজে সিদ্ধহস্ত। শুধু তাই নয়, মাছের ডিম হল ভিটামিন বি১২, সেলেনিয়াম, ম্যাগনেশিয়াম, কোলিনের মতো উপকারী উপাদানের আঁতুরঘর। তাই মাঝে মধ্যে মাছের ডিম খেলে যে আদতে শরীরের উপকারই হবে, তা তো বলাই বাহুল্য।
মাছের ডিম কি হার্টের ক্ষতি করে?
এতে মজুত ওমেগা থ্রি ফ্যাটি অ্যাসিড হার্টের জন্য অত্যন্ত উপকারী। তবে একথাও জেনে রাখা দরকার যে, এক টেবিল চামচ মাছের ডিম থেকে প্রায় ২৪০ মিলিগ্রাম সোডিয়াম পাওয়া যায়। এমনকি এতে বেশ কিছুটা পরিমাণে ফ্যাটও উপস্থিত রয়েছে। আর এইসব উপাদানই হৃৎপিণ্ডের স্বাস্থ্যের জন্য অত্যন্ত ক্ষতিকর। তাই হার্টকে সুস্থ রাখতে চাইলে রোজ রোজ মাছের ডিম খাওয়ার অভ্যাস ছাড়তে হবে।
হার্টের অসুখে মাছের ডিম খেতে নেই
যারা ইতিমধ্যেই হার্ট অ্যাটাক, হার্ট ফেলিয়র, অ্যারিদমিয়া বা অন্য কোনও জটিল হৃদরোগের ফাঁদে পড়ে কষ্ট পাচ্ছেন, তারা যেন তেন প্রকারেণ মাছের ডিম খাওয়ার লোভ সামলে চলুন। তার পরিবর্তে আপনারা মুরগি বা হাঁসের ডিমের সাদা অংশ অনায়াসে খেতে পারেন। এই কাজটা করলেই প্রাণঘাতী বিপদের খপ্পরে পড়ার আশঙ্কা কমবে।
পিউরিন রিচ ফুড
মাছের ডিমে রয়েছে ভরপুর পরিমাণে পিউরিন যা কিনা শরীরে গিয়ে ইউরিক অ্যাসিডে পরিণত হয়। আর দেহে ইউরিক অ্যাসিড লেভেল বাড়লে যে গাঁটে গাঁটে ব্যথা এবং কিডনি স্টোনের খপ্পরে পড়ার আশঙ্কা বাড়বে, তা তো বলাই বাহুল্য। তাই হাইপারইউরেসেমিয়া বা গাউট আর্থ্রাইটিসে ভুক্তভোগীরা যত দ্রুত সম্ভব মাছের ডিম খাওয়া বন্ধ করুন।
মাছের ডিম বিষ নয়
যেকোনও সুস্থ-সবল মানুষ অল্প তেলে আলতো করে ভাজা মাছের ডিম মাসে ১ থেকে ২ বার খেতেই পারেন। এই নিয়মটা মেনে চললে খুব একটা সমস্যা হবে না। তবে ভুলেও এই হিসাবের বাইরে মাছের ডিম খাবেন না। তাতে আবার একাধিক জটিল রোগের ফাঁদে পড়ারই আশঙ্কা বাড়বে।