March 29, 2024, 2:56 pm

‘গণহত্যার আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি চাই’- অধ্যক্ষ ঝুনু

প্রেস বিজ্ঞপ্তি: ২৫ মার্চ জাতীয় গণহত্যা দিবস উপলক্ষে শনিবার (২৫ মার্চ) বেলা সাড়ে ১১টায় বগুড়া পুলিশ লাইন্স স্কুল অ্যান্ড কলেজের শিক্ষক মিলনায়তনে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। আলোচনা সভায় সভাপতিত্ব করেন পুলিশ লাইন্স স্কুল অ্যান্ড কলেজের অধ্যক্ষ শাহাদৎ আলম ঝুনু। আলোচনা সভায় আরও বক্তব্য রাখেন অত্র প্রতিষ্ঠানের জ্যেষ্ঠ প্রভাষক নাছিমা খাতুন, জ্যেষ্ঠ প্রভাষক শহীদুল ইসলাম, প্রভাষক আশীষ কুমার সরকার, সহকারি শিক্ষক রাকিব মন্ডল, হাবিবুর রহমান। আলোচনা সভায় স্বাগত বক্তব্য রাখেন স্কুল শাখা শিক্ষক প্রতিনিধি আনজুয়ারা খাতুন। সহকারী শিক্ষক মেহেদী হাসানের সঞ্চালনায় আলোচনা সভায় কবিতা আবৃত্তি করেন সহকারী শিক্ষক ফুলবর রহমান, আল আমিন, গান পরিবেশন করেন প্রভাষক আবুল বাশার, সহকারী শিক্ষক রিপন কুমার সরকার।
গণহত্যার আন্তর্জাতিক স্বীকৃতির দাবি জানিয়ে সভাপতির বক্তব্যে অধ্যক্ষ শাহাদৎ আলম ঝুনু বলেন, ‘বাঙালি জাতির স্বাধীনতার আকাঙ্খা মুছে দিতে ১৯৭১ সালের ২৫ মার্চ রাতে নির্মম গণহত্যা চালিয়েছিল পাকহানাদার বাহিনী। ১৯৭০-এর সাধারণ নির্বাচনে সংখ্যাগরিষ্ঠ ভোটে জয়লাভ করার পরেও আওয়ামী লীগের কাছে পাকিস্তানিরা ক্ষমতা হস্তান্তর না করার ফলে রাজনৈতিক অচলাবস্থা দেখা দেয়। সেই অচলাবস্থা নিরসনের প্রক্রিয়া চলাকালে পাকিস্তানি সেনারা কুখ্যাত ‘অপারেশন সার্চ লাইট’ নাম দিয়ে নিরীহ বাঙালি বেসামরিক লোকজনের ওপর গণহত্যা শুরু করে। এই অভিযানের নির্দেশনামা তৈরি করে পাকিস্তানের দুই সামরিক কর্মকর্তা মেজর জেনারেল খাদিম হোসেন রাজা ও মেজর জেনারেল রাও ফরমান আলী। নির্দেশনামার কোনো লিখিত নথি রাখা হয়নি। গণহত্যার সেই পুরো নির্দেশ মুখে মুখে ফরমেশন কমান্ডার বা সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের জানানো হয়। ১৯৭১ সালের পয়লা মার্চ থেকে ২৫ মার্চ রাত পর্যন্ত ১ লাখেরও বেশি মানুষের জীবননাশ  করা হয়েছিল তা পূর্ব পাকিস্তানের সঙ্কট সম্পর্কে যে শ্বেতপত্র পাকিস্তান সরকার মুক্তিযুদ্ধ চলাকালে প্রকাশ করেছিল তাতে উল্লেখ রয়েছে।  গণহত্যার স্বীকৃতি খোদ পাকিস্তান সরকার প্রকাশিত দলিলেও রয়েছে। পরবর্তী বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বে রক্তক্ষয়ী ৯ মাস মহান মুক্তিযুদ্ধের মধ্যে দিয়ে আমাদের স্বাধীন সার্বভৌম বাংলাদেশের জন্ম হয়। সেই বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলা এগিয়ে যাচ্ছে স্মার্ট বাংলাদেশের পথে। বাবা দিয়েছেন বাঙালি জাতিকে স্বাধীনতা আর তার কন্যার হাতধরে অর্থনৈতিক মুক্তির দিকে এগিয়ে যাচ্ছে দেশ। তাই এই নির্মমতম গণহত্যার আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি চাই।’
আলোচনা সভায় শ্রদ্ধা প্রদর্শনপূর্বক আলোচকগণ বলেন, ২৫ মার্চের এই নৃশংসতা বিশে^র ইতিহাসে বিরল ঘটনা। পৃথিবীর কোথাও একরাতে এত নিরস্ত্র মানুষকে হত্যার নজির নাই। সংগত কারণে আমরা গণহত্যার আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি চাই।
আলোচনা সভা শেষে ২৫ মার্চ গণহত্যা, মহান মুক্তিযুদ্ধে শহীদদের আত্মার মাগফিরাত এবং দেশ ও জাতির সমৃদ্ধি কামনা করে দোয়া পরিচালনা করেন সহকারী শিক্ষক খ.ম মাহমুদুল হাসান।

নিউজটি শেয়ার করুন

© All rights reserved © jamunanewsbd.com
Design, Developed & Hosted BY ALL IT BD