April 26, 2024, 12:54 am

জাল মেরামতে ও শুকাতে ব্যস্ত জেলেরা

 

পাথরঘাটা প্রতিনিধিঃ গত শুক্রবার (৭ অক্টোবর) থেকে মা ইলিশ সংরক্ষণের জন্য সরকার ২২ নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে। তাই এ সময়ে ট্রলার, জাল, দড়ি ধুয়ে পরিষ্কার আর ছেড়া জাল মেরামতে ব্যস্ত সময় পাড় করছেন বরগুনার পাথরঘাটার জেলেরা। এ নিষেধাজ্ঞা শেষ হবে ২৮ অক্টোবর।

পাথরঘাটা উপজেলার জেলে পল্লীতে গিয়ে দেখা যায় বিষখালী ও বলেশ্বর নদী সংলগ্ন খালগুলোতে মাছধরা নৌকা, ট্রলার সারিবদ্ধভাবে নোঙর করে জাল ধুয়ে ময়লা আবর্জনা পরিষ্কার করছেন জেলেরা।
এর আগে ৬ অক্টোবর বৃহস্পতিবার রাতে সাগর ও নদী থেকে ঘাটে ফিরছেন জেলেরা। শুক্রবার ভোররাত থেকেই ট্রলার থেকে জাল নামিয়ে ট্রলারগুলো ধুয়ে পরিষ্কার করতে শুরূ করছেন। ২২ দিনের অবরোধ শেষে জেলেরা সাগর ও নদীসমুহে আটঘাট বেধে মাছ শিকাওে নামবেন।

পাথরঘাটা পৌর শহরের নিলিমা পয়েন্টে গিয়ে দেখা যায় ওয়াপদা বেরিবাঁধের ব্লকের উপর কয়েক লাখ মিটার জাল দড়ি শুকাতে ব্যাস্ত জেলেরা। নোয়াখালীর জেলে হোসেন আলী বলেন, আমরা সরকারের দেয়া সব আইন মানি। কিন্তু এই নিষেধাজ্ঞার সময়ে ভারতের জেলেরা বাংলাদেশের জল সীমায় অবৈধভাবে প্রবেশ করে মাছ ধরে নিয়ে যায়। আমরা মাছ না ধরে সরকারের আইন মেনে কষ্টে জীবন যাপন করি কিন্তু ভারতীয়রা নির্দিধায় মাছ শিকার করছে।

বরগুনা জেলা মৎস্যজীবী ট্রলার মালিক সমিতির সভাপতি গোলাম মোস্তফা চৌধুরী একমত পোষণ করেন জেলে হোসেন আলী দাবীর সাথে । তিনি জানান, বঙ্গোপসাগরে সীমানা রেখা না থাকায় ভারতীয়রা বাংলাদেশের উপকূলের কাছাকাছি এসে মাছ শিকার করছে। দেশে নিষেধাজ্ঞা থাকলেও বর্তমানে ভারতে কোন নিষেধাজ্ঞা নেই। ইলিশ সম্পদ আরো বৃদ্ধি করতে ভারত সরকারের সাথে একউ সময় নিষেধাজ্ঞা দেয়ার দাবি জানান তিনি। এছাড়াও নিষেধাজ্ঞার সময় জেলেদের চাল ও সহায়তা বাড়ানো দাবি জানান জেলা মৎস্যজীবী ট্রলার মালিক সমিতির সভাপতি গোলাম মোস্তফাচৌধুরী ।

পাথরঘাটা উপজেলা সিনিয়র মৎস্য কর্মকর্তা জয়ান্ত কুমার অপু জানান, নিষেধাজ্ঞা সময়ে জেলেরা নদীতে মাছ শিকার নামতে না পারে সে ক্ষেত্রে নৌপুলিশ ও কোষ্টগার্ডের সমন্বয়ে অভিযান চলছে। প্রথম দিনের অভিযানে দুই মন ইলিশ জব্দ করে এতিমখানায় বিতরণ করা হয়েছে। এছাড়াও ১১ জেলেকে ২২ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে।

নিউজটি শেয়ার করুন

© All rights reserved © jamunanewsbd.com
Design, Developed & Hosted BY ALL IT BD