April 18, 2024, 12:46 pm

ইভিএম নয়: নির্বাচনকালীন সরকার চাই

আসলে ইভিএম কোনো বিষয় নয়। এটা জাতিকে একটা গোলক ধাধায় ব্যস্ত রাখার কৌশল। তবে আশ্চর্যের বিষয় হচ্ছে চাটুকাররা বেশ জোরেসোরেই মাঠে নেমেছে।  হটাৎ করে ইভিএম নিয়ে এত হৈচৈ কেনো? একজন নির্বাচন কমিশনারের দশ লক্ষ ডলার পুরস্কার ঘোষনা! একজন অধ্যাপকের নির্লজ্জ ছাফাই গাওয়া!
প্রশ্ন হচ্ছে এদের এ সব আবোল তাবোল কে বলতে বলেছে? এরা কার পক্ষে উকালতি করছে? এসব কীসের আলামত?জনগন এ সব খাবে না। এবার দিনে ভোট হবে। আর ইভিএম দিয়ে ভোট হবে। মোদ্দা কথা হচ্ছে: দিনে ভোটের সাথে ইভিএম শর্ত জুড়ে দিচ্ছেন কেনো? এতে জনগনের মনে প্রশ্ন উঠা স্বাভাবিক যে এভাবে ক্ষমতায় টিকে থাকার নতুন কোনো ফন্দি ফিকির থাকতে পারে। আর তাছাড়া, এখনই ভোটের প্রশ্ন আসছে কেনো? আজকে যখন গত দুটো ইলেকশনে ক্ষমতাসীনদের নানা ধরনের কলা কৌশল জনগনের সামনে পরিষ্কার। রাতের ভোটের সরকার কথাটিও আজকে দিবালোকের মত স্পট। তাহলে এই ধরনের একটি সরকারের অধীনেই আর একটি অবাধ ও নিরপেক্ষ নির্বাচন কীভাবে আশা করা যেতে পারে? যাদের নিজেদের বৈধতা নেই। জনগনের ম্যান্ডেট নেই। তারা কীভাবে নির্বাচন পরিচালনা করবে।
সুতরাং এই মুহূর্তে ইভিএম নয়। নির্বাচন নয়। নির্বাচনকালীন সরকারের রুপরেখা নিয়ে কথা বলুন। আলোচনা করুন। বর্তমান সরকারের উচিত হবে যত দ্রুত সম্ভব জনগনের নিকট ক্ষমতা ছেড়ে দেওয়া এবং দেশ ও জনগনের স্বার্থে যত শীঘ্র সম্ভব রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দের সাথে আলাপ আলোচনার মাধ্যমে নিরপেক্ষ তত্ত্বাবধায়ক সরকার পুনপ্রতিষ্ঠিত করে জনকাঙ্কিত অবাধ ও সুষ্ঠ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হওয়ার পথ সুগম করা।
আমাদের স্মরণ রাখতে হবে: জনগনের ভোটাধিকার প্রতিষ্ঠাত হলে কেউ আর কিয়ামত পর্যন্ত সিংহাসনে আঁকড়ে থাকার আকাঙ্খী হবে না। দেশে জবাবদিহিতা ও সুশাসন প্রতিষ্ঠিত হবে। লুটপাট, লাগামহীন দূর্নীতির পথ রুদ্ধ হবে। দেশ এগিয়ে যাবে। জেগে উঠো বাংলাদেশ।

ড আ ম ম আরিফ বিল্লাহ
সাবেক চেয়ারম্যান ফার্সী ভাষা ও সাহিত্য বিভাগ
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়।

নিউজটি শেয়ার করুন

© All rights reserved © jamunanewsbd.com
Design, Developed & Hosted BY ALL IT BD