October 4, 2024, 12:40 pm
যমুনা নিউজ বিডিঃ ভারতের আসামে ভারী বর্ষণ ও বন্যায় নিহতের সংখ্যা বুধবার বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৮৯। বন্যা পরিস্থিতির অবনতি হওয়ায় রাজ্যটির ৩২টি জেলাজুড়ে ৫৫ লাখ মানুষ এখন পর্যন্ত ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
কর্মকর্তারা জানান, ব্রহ্মপুত্র ও বরাকসহ তাদের উপনদীগুলোর পানির স্তর বেড়েছে। বরাক ও কুশিয়ারা নদীর পানি বৃদ্ধির কারণে করিমগঞ্জ ও কাছাড় জেলা মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
কর্মকর্তারা আরও জানান, কাছাড়ে ৫০৬টি গ্রামে ২ দশমিক ১৬ লাখ মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। আর করিমগঞ্জে ৪৫৪টি গ্রামে ১ দশমিক ৪৭ লাখ মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
তারা বলেন, শিলচরের বেশ কিছু এলাকা পানির নিচে চলে গেছে। মোট ৪২৫ জনকে উদ্ধার করা হয়েছে এবং ৫৭টি শিবিরে ১০ হাজার ৪৬৮ জনকে আশ্রয় দেওয়া হয়েছে।
সর্বশেষ নিহতদের মধ্যে তিনজন কামরূপে এবং দাররাং, করিমগঞ্জ, তামুলপুর ও উদালগুড়িতে একটি করে মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে। কামরূপ থেকে একজন নিখোঁজও হয়েছেন।
বারপেটা সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত জেলা। সেখানে ১২ দশমিক ৫১ লাখ লোক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে, তারপরে ধুবরিতে ৫ দশমিক ৯৪ লাখ লোক ক্ষতিগ্রস্ত এবং দাররাংয়ে ৫ দশমিক ৪৭ লাখ লোক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
সব মিলিয়ে ২ দশমিক ৬২ লাখ মানুষ ৮৬২টি শিবিরে আশ্রয় নিয়েছে।
গত এক দিনে কামরূপ ও করিমগঞ্জ থেকে ভূমিধসের খবর পাওয়া গেছে। এএসডিএমএ জানায়, বন্যায় সাতটি বাঁধ ভেঙে গেছে, ৩১৬টি রাস্তা এবং ২০টি সেতু ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
এদিকে, বন্যা কবলিত নলবাড়ি এবং কামরূপ জেলায় আশ্রয় শিবির পরিদর্শন করে মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্বশর্মা বলেন, শিগগিরই একটি প্যাকেজ ঘোষণা করা হবে।
আসাম রাজ্য দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কর্তৃপক্ষের (এএসডিএমএ) তথ্য অনুযায়ী, রাজ্যের ৩৬টি জেলার মধ্যে ৩২টিতে ৫৫ লাখ ৪২ হাজার ৫৩ জন ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
সূত্র : ইন্ডিয়া টিভি