March 28, 2024, 7:12 pm

বন্যায় ভেসে গেছে ৫শ’ মৎস্য খামার, ৩ কোটি টাকার ক্ষয়ক্ষতি

যমুনা নিউজ বিডিঃ  উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢল ও অব্যাহত ভারী বৃষ্টিপাতের কারণে সৃষ্ট বন্যায় কিশোরগঞ্জ জেলার ৫০০টি মৎস্য খামারের মাছ ভেসে গেছে। এ ছাড়া অবকাঠামোগত ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। ফলে খামারিদের ক্ষতি হয়েছে প্রায় ৩ কোটি টাকা। মঙ্গলবার (২১ জুন) এ তথ্য জানান জেলা মৎস্য কর্মকর্তা কৃষিবিদ রিপন কুমার পাল।

তিনি বলেন, এটি ক্ষতির প্রাথমিক হিসেব। প্রতিদিনই ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ বাড়ছে। প্রকৃত ক্ষতির পরিমাণ জানতে আরও সময় লাগবে।

জানা গেছে, জেলার ১৩ উপজেলার মধ্যে ৭টি উপজেলার মৎস্য খামারিদের বন্যার পানিতে বেশি ক্ষয়ক্ষতির হয়েছে। জেলার ইটনা, মিঠামইন, আষ্টগ্রাম, নিকলী, তাড়াইল, বাজিতপুর, ও ভৈরবে বন্যার পানিতে মাছের খামার ভেসে গেছে। মাছ ও অবকাঠামো গত ক্ষতিসহ জেলায় খামারিদের প্রায় ৩ কোটি টাকার মতো ক্ষতি হয়েছে।

অষ্টগ্রাম সদর উপজেলার চেয়ারম্যান সৈয়দ ফাইয়াজ হাসান জানান, আমার ডি এফ এস এস বহুমুখী ফার্মটি বন্যায় তলিয়ে গেছে। এখান থেকে প্রায় ৪ লাখ টাকার মাছও চলে গেছে। সব মিলিয়ে আমার এ খামারের ৫ লাখ টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। ইটনা উপজেলার এনায়েত, কবির, তাপশ রায়, শামীম হোসেন ও শানু মিয়ার পুকুর তলিয়ে গেছে। এ চারজনের পুকুর থেকে প্রায় ২০ লাখ টাকার মাছ চলে গেছে। ইটনার নূরু মিয়ার মাছের খামার এখন পর্যন্ত তলিয়ে না গেলেও কয়েক লাখ টাকার ক্ষয়ক্ষতির হয়েছে। পাড়ে জাল দিয়ে মাছ আটকে রাখার চেষ্টা করছেন। যে কোনো মুহূর্তে তলিয়ে যেতে পারে তার মাছের খামার। যদি নূরু মিয়ার মাছের খামার তলিয়ে যায় তাহলে তার কোটি টাকার ক্ষয়ক্ষতির হয়ে যাবে বলে জানান তিনি।

জেলা মৎস্য কর্মকর্তা কৃষিবিদ রিপন কুমার পাল জানান, ৫০০টির মতো পুকুরে মাছ, পোনামাছ এবং অবকাঠামোগত ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে জেলার মৎস্য খামারিদের। এ ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ প্রায় তিন কোটি টাকার মতো। আমরা এ বিষয়ে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সঙ্গে নিয়মিতই যোগাযোগ রাখছি। সরকারি কোনো সহায়তা পেলে উপজেলা ভিত্তিক দিয়ে দিব।

নিউজটি শেয়ার করুন

© All rights reserved © jamunanewsbd.com
Design, Developed & Hosted BY ALL IT BD