December 7, 2023, 3:33 am
ষ্টাফ রিপোর্টারঃ রাজশাহীর জেলার সবচেয়ে বড় আমের হাট পুঠিয়া উপজেলার বানেশ্বর বাজারে। এখানে হাট থেকে আম কিনে বিভিন্ন মোকামে নিয়ে যান পাইকাররা। এই মোকাম গুলোতে মোট ১২৬ জন ব্যবসায়ী রয়েছেন। দীঘদিন থেকে এই ব্যবসায়ীরাই সিন্ডিকেট করে স্থানীয় আমচাষি ও বিক্রেতাদের ঠকাচ্ছে। চক্রটি কয়েক বছর ধরেই ঢলন ও শোলাপ্রথার নামে চাষিদের নানান ভাবে ঠকাচ্ছে। কিন্তু একাধিকবার সমাধানের জন্য আলোচনা করেও সিন্ডিকেটের লাগাম টেনে ধরতে পারছে না খোদ প্রশাসনও।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, প্রশাসন তাদের বিরুদ্ধে কঠোর হলে সিন্ডিকেট আম কেনা বন্ধ রাখেন। কৃষক গাছে থেকে হাটে আম নিয়ে আসে কিন্তু পাইকারা হাটে আসে না। র্দীর্ঘ সময় রোদে পুড়ে হাটে বসে থাকেন কৃষক। দুপুরের পরে ও বিকেলে পাইকার বাজারে এসে অল্প দামে চওড়া ঢলন প্রথায় আম নিয়ে যায় তারা। এদিকে গত বছর করোনার অজুহাতে চক্রটি প্রতি মণে ১০ কেজি বেশি আম নিয়েছে। এই নিয়মকে তারা বলছেন ‘ঢলন’। এবার আরও এক কেজি বাড়িয়ে নেওয়া হচ্ছে ১১ কেজি। যেখানে ৪০ কেজিতে একমণ ধরা হয় সেখানে ৫১ কেজিতে ১ মন আম কৃষকদের কাছে থেকে নিচ্ছেন এই সিন্ডিকেট।
হাটে আম বিক্রি করতে আসা চাষিরা জানাচ্ছেন, বাজারের আম ব্যবসায়ীদের কাছে আমরা জিম্মি। বিষয়টি বাজার কমিটি ও উপজেলা প্রশাসনকে একাধিকবার জানিয়েও কোনো লাভ হয়নি।
এ ব্যাপারে জানতে চাইলে বানেশ্বর বাজারের ব্যবসায়ী ও হাট ইজারদার ওসমান আলী বলেন,‘আম কাঁচামাল এটার কিছু ভর্ভুকি তো আছে। এই অজুহাতে ব্যবসায়ীরা মণ হিসেবে অতিরিক্ত কিছু আম নেন। আর এই কারণে ঢলনপ্রথা তুলে দিতে আমরা ব্যবসায়ীদের অনুরোধ করি মণে নয়, তারা যেন যত কেজি আম কেনেন তত কেজির দাম দেন। বিভিন্নভাবে বোঝানোর পরও সেটা কার্যকর হচ্ছে না।’
পুঠিয়া উপজেলা নির্বাহী অফিসার নূরুল হাই মোহাম্মদ আনাস পিএএ জানান, এই সমস্যা শুধু বানেশ্বর আমের হাটেই না। চাঁপাইনবাগঞ্জ, নওঁগা জেলাতেও এই প্রথা চালু আছে। বানেশ্বরে এই সমস্যা অনেক দিনের। গত বছর স্থানীয় প্রশাসন ও আইন শৃঙ্খলা বাহিনী ব্যবসায়ীদের সাথে আমরা আলোচনা করেছিলাম। তাদের বলার পরে কিছুদিন ব্যবসায়ীরা মণ প্রতি কম রেখেছিলো। এইবারও তাদের বলা হয়েছে ঢলন প্রথা বাদে আম কিনতে। বিষয়টি নিয়ে আবারো বলবো আলোচনা করবো আশাকরি তাদের এই প্রথা বাদে সঠিক ভাবে আম কিনেবে।