April 20, 2024, 12:56 am
এম আর শাইনঃ বগুড়ার বাজারে গত কয়েকদিনে চালের দাম সামান্য কমলেও অন্যান নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যের মূল্য আগের মতোই রয়েছে। বেড়েছে আলু দাম। বগুড়ার ফতেহ আলী বাজরের চাল ব্যবসায়ী প্রলয় জানান, এ সপ্তাহে চালের দাম কিছুটা কমেছে রনজিৎজাতের চাল ৫২ টাকা, কাটারী ভোগ ৭৫ টাকা, ইরি (২৮) ৫৫ টাকা, মিনিকেট ৬৮ টাকা, আতপ ১০৫ টাকা, গাইনজা ৬০ টাকা, খুদ ৫০ টাকা, মুড়ির চাল ৫২ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। বর্তমান বাজারে প্রচুর সবজি পাওয়া যাচ্ছে। গতকাল বুধবার বগুড়া ফতেহ আলী বাজার ঘুরে দেখা যায়, পেয়াজ ৪০ টাকা, আদা ১০০ টাকা, রশুন ১০০ টাকা, শশা প্রতি কেজি ৩০/৪০ টাকা, বেগুন ৪০ ঝিংগা ৩০ টাকা, কাকরোল ৪০ টাকা, কাঁচা মরিচ বিক্রি হচ্ছে ৬০ টাকা দরে, লাউ প্রতি পিস ৬০ টাকা, পটল ২৫ ঢেড়শ ১৫ টাকা, পেঁপে ৪০ টাকা, লাল গোল আলু ৩০ টাকা, সাদা গোল আলু ২৫ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে।
মাছের বাজার ঘুরে দেখা গেছে, ইলিশ মাছ আকার ভেঁদে কেজি ৮০০ থেকে ১৩০০ টাকা, রুই মাছ আকার ভেঁদে কেজি ২৬০ থেকে ৩২০ টাকা, কাতল মাছ আকার ভেদে ৩০০-৪৫০ টাকা, তেলাপিয়া ১৬০ টাকা, ব্রিগেড ২২০, মাগুর আকার ভেদে ৪০০-৬৫০,পাবদা ৪০০, চিংড়ি বড় ৮০০, শিং ৭০০, মলা ৪০০, পাঙ্গাস মাছ প্রতি কেজি ১৫০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। আবার মশলা জাতীয় জিনিসের দামও কিছুটা বাড়তি। মশুর ডাল ১১০ টাকা মুগ ডাল ১৪০ টাকা, চিনি কেজি প্রতি ৮০ টাকা, বুট ৭৫ টাকা, মোটর ডাল ৬৫ টাকা, আটা ৪২ টাকা, ময়দা ৬০টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
বাজারের উর্ধ্বমুখীর কারনে হিমশিম খেতে হচ্ছে জনসাধারনকে। অনেকে বাজার করতে এসে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন। চড়া দামের কারনে বিক্রেতা ও ক্রেতার মধ্যে কথা কাটাকাটিও দেখতে পাওয়া গেছে। অন্যদিকে ক্রেতাদের দাবী, অতিরিক্ত মুনাফার লোভে দাম বাড়ানো হচ্ছে। প্রশাসনের কাছে ক্রেতাদের জোর দাবী তারা যেনো বাজার মনিটরিং করেন।