April 26, 2024, 5:42 pm

বর্ষার আগমনে সারিয়াকান্দীতে নৌকা তৈরির ধুম

এম আর শাইনঃ বর্ষার আগমনে বগুড়ার সারিয়াকান্দীর যমুনা নদীতে আসছে বন্যার পানি। নদী ও বিল এলাকার মানুষ বন্যা মোকাবিলায় নতুন নৌকা তৈরি ও পুরোনো নৌকা মেরামতের কাজে ব্যস্ত হয়ে পড়েছেন। তাদের তৈরি ছোট বড় নৌকা বিক্রি হচ্ছে বিভিন্ন হাটবাজারে।

জেলার যমুনা তীরবর্তী তিনটি উপজেলা সোনাতলা, সারিয়াকান্দী ও ধুনট এর অধিকাংশ এলাকাই বন্যাপ্রবণ। ফলে বর্ষা মৌসুমে তলিয়ে যায় এসব এলাকার অধিকাংশ রাস্তাঘাট। তখন চলাচলের একমাত্র মাধ্যম হয় নৌকা। এ সময় নদী ও চলনবিলের মানুষ নৌকা দিয়ে একস্থান থেকে অন্য স্থানে যাতায়াত করে থাকেন। তাছাড়া যমুনা ও বাঙ্গালী নীতে মাছ শিকারের জন্য ছোট ছোট ডিঙি নৌকা ব্যবহার হয়ে থাকে। তাই বর্ষা মৌসুম আসার আগে থেকেই নৌকা তৈরি ও মেরামতের হিড়িক পড়ে যায়।

বিভিন্ন কাঠ দিয়ে ১০-১২ হাত নৌকা তৈরি করতে খরচ পড়ে প্রায় ৩ হাজার টাকা থেকে ৫ হাজার টাকা। যা ব্যবহার হয় মাছ শিকার ও কম মানুষ পারাপারের জন্য। এছাড়াও দূরে ভ্রমণ ও মালামাল বহনের জন্য তৈরি করা হয় ডিজেল চালিত শ্যালো নৌকা বা বড় নৌকা। এই ধরনের নৌকা তৈরি করতে লাখ টাকা খরচ হয় বলে নদী পাড়ের মানুষ জানান।

সারিয়াকান্দী কালিতলা ঘাট এলাকার নৌকা তৈরির কারিগর আজিমুদ্দিন বলেন, আমরা নৌকা তৈরির কাজ বাণিজ্যিকভাবেই করে থাকি। গ্রাহকের কাছ থেকে কাজের অর্ডার নিয়ে কাঠ কিনে নৌকা তৈরি করে বিক্রি করি।
উপজেলার মধুরাপাড়া হাটের নৌকা বিক্রেতা রফিকুল ইসলাম বলেন, বিভিন্ন কারখানায় তৈরি করা নৌকা কিনে এনে হাটে হাটে বিক্রি করি। বন্যার সময় নদী এলাকায় নৌকার চাহিদা প্রচুর।

নৌকা ক্রেতা গ্রামের শফিকুল ইসলাম জানান, বন্যায় নিচু সড়ক ডুবে যায় তাই পরিবারের সদস্যদের পারাপার করার জন্য ছোট নৌকা ২ হাজার ৬০০ টাকা দিয়ে কিনেছেন। যমুনা নদী তীরবর্তী মধুরাপাড়া এলাকার জেলে শাহ আলী বর্ষা মৌসুমে নদীতে মাছ শিকারের জন্য ১২ হাত লম্বা একটি নতুন নৌকা তৈরি করছেন প্রায় ১০ হাজার টাকা খরচ করে। তিনি এক কাঠ মিস্ত্রিকে আড়াই হাজার টাকা চুক্তিতে নৌকাটি তৈরি করার কাজ দেন। মাত্র চার দিনে নৌকা তৈরির কাজ শেষ করেছেন সেই মিস্ত্রি।

নিউজটি শেয়ার করুন

© All rights reserved © jamunanewsbd.com
Design, Developed & Hosted BY ALL IT BD