October 14, 2024, 5:57 am
যমুনা নিউজ বিডি: পাসপোর্ট করা, পাসপোর্টের তথ্য সংশোধন ও পাসপোর্ট নবায়ন করতে ঘুষ লেনদেনের অভিযোগে দেশের চার পাসপোর্ট অফিসে একযোগে অভিযান চালিয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।
চাঁদপুর, ফেনী, নোয়াখালী ও রাজধানীর উত্তরা পাসপোর্ট অফিসে পরিচালিত অভিযানে অভিযোগের প্রাথমিক সত্যতা পাওয়া গেছে। একই সঙ্গে অভিযোগ সংশ্লিষ্ট ব্যক্তির মোবাইল ফোন জব্দ ও দালাল শনাক্ত করে টিমগুলো।
বৃহস্পতিবার (২৫ এপ্রিল) দুদকের প্রধান কার্যালয়, সমন্বিত জেলা কার্যালয় চাঁদপুর ও নোয়াখালী থেকে একযোগে চারটি যৌথ অভিযান পরিচালিত হয়।
জানতে চাইলে দুদকের জনসংযোগ কর্মকর্তা আকতারুল ইসলাম ঢাকা পোস্টকে বলেন, দুদক এনফোর্সমেন্ট ইউনিট থেকে একযোগে চারটি অভিযান পরিচালনা করা হয়েছে। চাঁদপুর, ফেনী ও নোয়াখালী আঞ্চলিক পাসপোর্ট অফিস এবং উত্তরা পাসপোর্ট পারসোনালাইজেশন সেন্টারের কতিপয় অসাধু কর্মচারীর বিরুদ্ধে জরুরি পাসপোর্ট, পাসপোর্টের তথ্য সংশোধন ও পাসপোর্ট নবায়ন করিয়ে দেওয়ার ঘুষ লেনদেন করার অভিযোগ ছিল। অভিযানে অভিযোগের প্রাথমিক সত্যতা পেয়েছে দুদক টিম।
দুদক সূত্রে জানা যায়, পাসপোর্ট পারসোনালাইজেশন সেন্টার, উত্তরা অফিসে পাসপোর্টের তথ্য সংশোধন ও নবায়ন করিয়ে দেওয়ার জন্য পরস্পর যোগসাজশে ঘুষ লেনদেন করার অভিযোগের ভিত্তিতে দুদক প্রধান কার্যালয় হতে এনফোর্সমেন্ট অভিযান পরিচালিত হয়। অভিযানকালে এনফোর্সমেন্ট টিম অভিযোগ সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিকে জিজ্ঞাসাবাদ করে এবং তার মোবাইল ফোন জব্দ করা হয়। জব্দ করা মোবাইল ফোনের তথ্য বিশ্লেষণে প্রাথমিকভাবে অভিযোগের সত্যতা পাওয়া যায়। এ বিষয়ে সংগৃহীত তথ্য ও জব্দ করা মোবাইল ফোন অধিকতর বিশ্লেষণ করে বিস্তারিত প্রতিবেদন কমিশন বরাবর দাখিল করা হবে।
অন্যদিকে চাঁদপুর জেলা কার্যালয় হতে একই অভিযোগে পরিচালিত এনফোর্সমেন্ট অভিযানে টিম ছদ্মবেশে কার্যক্রম পর্যবেক্ষণ ও তথ্য সংগ্রহ করে। পর্যবেক্ষণকালে অফিসের দুই জন আনসার সদস্য সেবা প্রদানে অতিরিক্ত অর্থ নেওয়ার প্রমাণ পাওয়া গেছে।
অভিযোগ সংশ্লিষ্ট ব্যক্তির মোবাইল ফোনে অস্বাভাবিক লেনদেন ও সন্দেহজনক তথ্য পাওয়ায় টিম মোবাইল ফোনটি জব্দ করে। এরই পরিপ্রেক্ষিতে অভিযানকালে সংগৃহীত রেকর্ডপত্র এবং জব্দকৃত মোবাইল ফোনের ফরেনসিক প্রতিবেদন পর্যালোচনা করে কমিশনে বিস্তারিত প্রতিবেদন দাখিল করবে বলে জানিয়েছে দুদক।
একই দিন নোয়াখালী দুদকের সমন্বিত জেলা কার্যালয়, হতে আঞ্চলিক পাসপোর্ট অফিসে পরিচালিত অভিযানকালে টিম ছদ্মবেশে সেবাগ্রহীতা এবং উক্ত অফিসের অন্যান্য কর্মচারীদের সঙ্গে গ্রাহক বেশে কথোপকথনের মাধ্যমে অভিযোগ সংশ্লিষ্ট তথ্য সংগ্রহ করে। প্রাথমিক পর্যবেক্ষণে স্থানীয় দালাল এবং অভিযোগ সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি ও প্রধান কার্যালয়ের কতিপয় কর্মচারী কর্তৃক পরস্পর যোগসাজশে অবৈধ আর্থিক লেনদেনের মাধ্যমে পাসপোর্ট সেবা প্রদান করা হয় বলে টিমের কাছে প্রতীয়মান হয়েছে। এ বিষয়ে টিম উক্ত অফিসের অফিস প্রধান ও অন্যান্য কর্মকর্তা-কর্মচারীদের সঙ্গে কথা বলে এবং সংশ্লিষ্ট রেকর্ডপত্র সংগ্রহ করে।
অন্যদিকে দুদকের নোয়াখালী অফিসের আর একটি এনফোর্সমেন্ট টিম ফেনী আঞ্চলিক পাসপোর্ট অফিসের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বিরুদ্ধে পাসপোর্ট সেবা প্রদানে গ্রাহক হয়রানি ও ঘুষ দাবির অভিযোগের অভিযান পরিচালিত করে। অভিযানকালে এনফোর্সমেন্ট টিম উক্ত অফিসের কতিপয় কর্মচারীর সঙ্গে দালালদের যোগসাজশের প্রাথমিক সত্যতা পায়। এ বিষয়ে অধিকতর বিশ্লেষণ করে অভিযোগ সংশ্লিষ্ট কয়েকটি মোবাইল ফোন জব্দ করা হয়। জব্দ করা মোবাইলের তথ্য বিশ্লেষণ করে কমিশন বরাবর পূর্ণাঙ্গ প্রতিবেদন দাখিল করবে বলে জানিয়েছে দুদক।