April 25, 2024, 6:44 am

সুপ্রিমকোর্ট প্রাঙ্গণেও সংঘর্ষ ছাত্রলীগ-ছাত্রদলের

যমুনা নিউজ বিডিঃ জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের সঙ্গে ছাত্রলীগের সংঘর্ষ ঘটে চলছে দুইদিন ধরে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদ মিনার এলাকা, কার্জন হল, চানখারপুল, ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ এলাকায় এসব সংঘর্ষ সীমাবদ্ধ থাকলেও এবার সে সংঘর্ষ ছড়িয়ে পড়েছে দেশের সর্বোচ্চ আদালত সুপ্রিমকোর্ট প্রাঙ্গণে। আদালত প্রাঙ্গণে সংঘর্ষের পর সমালোচনার শুরু হয়েছে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে। আদালত প্রাঙ্গণে সংঘর্ষের ঘটনায় ছাত্রলীগ-ছাত্রদলের নেতাকর্মীরা পাল্টাপাল্টি অভিযোগ জানায়।

প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা যায়, পূর্বঘোষিত কর্মসূচি অনুযায়ী ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে বিক্ষোভ মিছিল নিয়ে আসে ছাত্রদল। হাইকোর্ট মোড় পার হয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কার্জন হল এলাকায় আসলে সেখানে ছাত্রলীগের সঙ্গে সংঘর্ষ বাধে ছাত্রদলের। এসময় সংঘর্ষের মুখে ছাত্রদলের কিছু নেতা-কর্মী সুপ্রিম কোর্ট প্রাঙ্গণে প্রবেশ করে। সেখানেও দুই দলের মধ্যে সংঘর্ষ হয়।

ছাত্রদল অভিযোগ করে, বৃহস্পতিবার দুপুর বারোটার দিকে সুপ্রিমকোর্ট অঙ্গনে প্রবেশ করে ছাত্রদলের কয়েকজন নেতাকর্মীকে এলোপাতাড়ি কোপায় ছাত্রলীগ। এ ঘটনায় দুইজন আইনজীবী এগিয়ে গেলে তাদেরকেও এলোপাতাড়ি কোপায় ছাত্রলীগ।

এ ঘটনায় তাৎক্ষণিক মিছিল ও প্রতিবাদ সমাবেশ করেন বিএনপিপন্থী আইনজীবীরা। এতে নেতৃত্ব দেন বিএনপির কেন্দ্রীয় আইন বিষয়ক সম্পাদক ব্যারিস্টার কায়সার কামাল। সুপ্রিম কোর্ট বারের সাবেক সম্পাদক ব্যারিস্টার রুহুল কুদ্দুস কাজল।

সংঘর্ষ এবং অভিযোগের বিষয়ে ছাত্রলীগের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সাধারণ সম্পাদক সাদ্দাম হোসেন বলেন, ‘ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার পরিবেশ বিঘ্নিত করার জন্য ছাত্রদল অপচেষ্টা করেছে। তারা রাজনৈতিক কর্মসূচির নামে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে সন্ত্রাসের আধিপত্য কায়েম করতে চায়। বিষয়টি সাধারণ শিক্ষার্থীরা মানতে পারেনি। সেজন্য সাধারণ ছাত্ররা জোটবদ্ধ হয়েছে। ছাত্রদল ক্যাম্পাসে প্রবেশের আগেই জোটবদ্ধ সাধারণ শিক্ষার্থীরা তা প্রতিহত করেছে। আমরা বরাবরের মতো সাধারণ শিক্ষার্থীদের পক্ষে সংহতি প্রকাশ করছি।’

ছাত্রলীগের কোন নেতা-কর্মী হাইকোর্ট প্রাঙ্গণে যায়নি দাবি করে সাদ্দাম হোসেন বলেন, সুপ্রিম কোর্টের মত একটি পবিত্র জায়গাকেও তারা ছাড় দেয়নি। তারা সেখানে প্রবেশ করেছে, সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড চালিয়েছে। যেখানে মানুষ বিচারের জন্য যায়, সেখানেও তারা সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড ঘটিয়েছে।’ অস্ত্র-শস্ত্র নিয়ে তথাকথিত রাজনৈতিক কর্মসূচি কেন হাইকোর্টের মোড় থেকে শুরু হবে- প্রশ্ন রাখেন সাদ্দাম।

এদিকে ছাত্রদলের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখার আহ্বায়ক আক্তার হোসেন বলেন, ‘ছাত্রলীগের ফ্যাসিবাদী চরিত্র এমন পর্যায়ে গিয়ে দাঁড়িয়েছে যে, তারা দেশের সর্বোচ্চ বিচারালয়কেও অবমাননা করতে ছাড়েনি।’

নিউজটি শেয়ার করুন

© All rights reserved © jamunanewsbd.com
Design, Developed & Hosted BY ALL IT BD