July 26, 2024, 11:59 pm
নন্দীগ্রাম (বগুড়া) প্রতিনিধিঃ বগুড়ার নন্দীগ্রামে চোরাই গরু উদ্ধার,আন্তঃবিভাগীয় গরু চোর চক্রের মূলহোতাসহ কুখ্যাত তিন গরু চোরকে গ্রেপ্তার করেছে থানা নন্দীগ্রাম পুলিশ। তাদের কাছ থেকে ৪টি চোরাই গরু ও রশি, হাতুরি ও ¯øাইসহ বিভিন্ন সরঞ্জাম উদ্ধার করা হয়েছে। মঙ্গলবার (১২ ডিসেম্বর) দুপুরে নন্দীগ্রাম থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আজমগীর হোসাইন স্থানীয় সাংবাদিকদের সাথে প্রেস বিফ্রিং করে এতথ্য নিশ্চিত করেন। গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন- আন্ত:বিভাগীয় কুখ্যাত গরু চোর সিরাজগঞ্জ জেলার কামারখন্দ থানার চরকুরা গ্রামের নূর মোহাম্মদ (৪০), রায়গঞ্জ থানার জাংকীগাতি গ্রামের ছামেদুল ইসলাম (৩৮) ও নাটোর জেলার সিংড়া উপজেলার নিনগৈড় গ্রামের শহিদুল ইসলাম (৪৮)। পুলিশ জানায়, দীর্ঘদিন ধরে চক্রটি বিভিন্ন স্থানে গবাদি পশু চুরি করে আসছিল। তারা চুরির স্থান নির্ধারণ করে, চোরাই গরু ট্রাকে করে এক জেলা থেকে অন্য জেলায় স্থানান্তর করে এবং চোরাই গরু বিক্রির সাথেও সম্পৃক্ত থাকে। গোপন তথ্যের ভিত্তিতে পুলিশ জানতে পারে, গরু চোর চক্রের মূল হোতা নূর মোহাম্মদের নেতৃত্বে চোরাই গরু চুরি করে সিরাজগঞ্জ অঞ্চলে লুকিয়ে রেখে একটি বাড়িতে আত্মগোপন করে আছে।
এ তথ্যে পুলিশ সদস্যরা প্রথমে কামারখন্দ থেকে দুটি গরুসহ তাকে গ্রেপ্তার করে। পরবর্তীতে তার স্বীকারোক্তি মোতাবেক সিংড়ার নিনগৈড় গ্রামের শহিদুল ইসলাম ও রায়গঞ্জের জাংকীগাতি গ্রামের ছামেদুল ইসলামকে গ্রেপ্তার করে। এদের স্বীকারোক্তি মোতাবেক সিরাজগঞ্জ সদর এলাকায় কুখ্যাত গরু চোর মোতালেব হোসেনকে গ্রেপ্তার করতে গেলে পুলিশের উপস্থিতি টেরপেয়ে সে পালিয়ে যায়। পরে তার বাড়ি থেকে আরও দুটি চোরাই গরু উদ্ধার করে। গত শনিবার রাতে নন্দীগ্রাম পৌরসভার বেলঘরিয়া গ্রামের জহুরুল ইসলামের বাড়ি থেকে দুটি গরু চুরি হয়। পরে জহুরুল ইসলাম বাদী হয়ে নন্দীগ্রাম থানায় একটি মামলা করে। সেই মামলায় তাদের গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে। এবিষয়ে নন্দীগ্রাম থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আজমগীর হোসাইন জানান, চোরাই দুটি গাভী ও দুটি বাছুর গরুসহ আন্ত:বিভাগীয় কুখ্যাত তিনজন চোরকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তারা গরু চুরি করার সত্যতা স্বীকার করেছেন। জেলা পুলিশ সুপার সুদীপ কুমার চক্রবর্ত্তী,বিপিএম, পিপিএম (বার) এর সার্বিক দিক নির্দেশনায় ও নন্দীগ্রাম সার্কেলের সহকারি পুলিশ সুপার ওমর আলী এর তত্ত¡াবধানে এবং নন্দীগ্রাম থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আজমগীর হোসেনের নেতৃত্বে পৃথক পৃথক ভাবে এসব অভিযান পরিচালনা করেন থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) জামিরুল ইসলাম, এসআই বিকাশ চক্রবর্ত্তী, মজিবর রহমান, এএসআই আবুল কালাম আজাদ, এএসআই মিন্টুর রহমান, এএসআই হাসান আলী প্রমুখ। এই অভিযান পরিচালনা কালে গুরুত্বর আহত হয়েছে নন্দীগ্রাম থানার এসআই বিকাশ চক্রবর্ত্তী ও এসআই জিয়াউর রহমান।