July 27, 2024, 12:16 am

বগুড়ায় শীতের তীব্রতায় ব্যাস্ত লেপ তৈরীর কারিগররা

মমিন রশীদ শাইন বগুড়া: শীতের তীব্রতা বাড়ছে আর বাড়ছে বাড়তি শীতের পোষাকের। অন্যান্য পোষাকের সাথে বেড়েছে লেপ-তোষকেরও কদর। দেশের উত্তরাঞ্চলে  শীতের তব্রিতা বাড়ছে। তাই বগুড়ায় লেপ-তোষকের কারিগররা এখন ব্যস্ত সময় পার করছেন।

ব্যবসায়ীরাও দোকান সাজিয়ে বিক্রি শুরু করেছেন শীতের গরম কাপড়। শীত মোকাবিলায় গ্রামের মানুষ আগেই লেপ-তোষক জোগাড় শুরু করেছেন। তাই শীতকে সামনে রেখে কারিগরদের এখন যেন বিশ্রাম নেওয়ার সময় নেই।

বগুড়া শহরের ২নং রেল ঘুমটি লাইন বাজারে লেপ-তোষকের ১০-১২টি দোকান আছে। বৌ বাজার, চৌকি পট্টি সহ বিভিন্ন বাজারে লেপ-তোষকের দোকান রয়েছে। এসকল দোকানে অর্ডারী লেপ-তোষকের পাশাপাশি তৈরী লেপ-তোষক সারি সারি সাজিয়ে রেখেছে। এসব দোকানগুলো ঘুরে দেখা গেছে এমন দৃশ্য।

মালিক-শ্রমিক সবাই লেপ-তোষক তৈরি, সেলাইয়ের কাজে ব্যস্ত সময় পার করছেন। আকার ও তুলা ভেদে বিভিন্ন দামে লেপ-তোষক বিক্রি করা হচ্ছে। এ বছর বিভিন্ন পণের মূল্য পাওয়ায় জেলায় একেকটি লেপ বিক্রি হচ্ছে ১২০০ থেকে ১৮০০ টাকায়। তোষক বিক্রি হচ্ছে ৮ শত টাকা থেকে ১০০০ হাজার টাকা। বছরের এ সময় ক্রেতাদের ভিড় বাড়ে। বছরের ৮ মাস অলস সময় পার করলেও শীতের চার মাস লেপ-তোষক কারিগরদের ব্যস্ততা বেড়ে যায়। কাক ডাকা ভোর থেকে গভীর রাত পর্যন্ত চলে লেপ-তোষক তৈরির কাজ।

রেল লাইন বাজারে কয়েকজন ক্রেতা জানান, এ বছর দামটা একটু বেশি মনে হচ্ছে। একজন বলেন, কয়েক বছর আগে একটা লেপ তৈরি করেছিলাম। সেটা পুরাতন হয়ে গেছে। সে জন্য নতুন করে লেপ তৈরি করতে এসেছি। তবে দাম অনেক বেশি বলছে কারিগরা।

বিক্রেতা শফিকুল ইসলাম জানান, আধুনিক যন্ত্রে উৎপাদিত কম্বল, মেট্রেস সহজে পাওয়া যাওয়ায় বর্তমানে লেপ-তোষকের চাহিদা কমে গেছে। লেপ-তোষক তৈরিতে খরচ বেড়ে গেছে। একটি লেপ-তোষক বিক্রি করে তাদের ২০০ থেকে ৩০০ টাকা লাভ হয়। লাভ কম হলেও কাজে ব্যস্ত থাকায় তারা এখন খুশি।

লেপ তোষক তৈরির কারিগর রহমান বলেন, প্রতি বছরই শীতের সময় আমরা লেপ তোষক তৈরির কারিগররা ব্যস্ত সময় পার করি। তবে আমাদের মুজুরি সে ভাবে বাড়েনি। চলতি মৌসুমে জিনিসপত্রের দাম বাড়ায় স্বাভাবিক ভাবেই লেপ-তোষক তৈরিতে খরচ বেড়ে গেছে। কাপড় ও তুলার মান বুঝেই লেপ-তোষকের দাম নির্ধারণ করা হয়। ৪-৫ হাত লেপের দাম পড়ছে ১২০০ থেকে ১৮০০ টাকা। আর তোষক তৈরিতে দাম পড়ছে ৮০০ থেকে ১০০০ টাকা। তবে প্রতিগজ কাপড়ে ১০ থেকে পনের টাকা দাম বেড়েছে। তুলায় বেড়েছে ২০ থেকে ২৫ টাকা। গার্মেন্টের সাদা ঝুট, ফোমের কাটা অংশ কিনতে হচ্ছে বেশি দাম দিয়ে। শীত এখন শুরু। তবে শীতের তীব্রতা বাড়লে লেপ-তোষকের চাহিদা বাড়তে পারে।

নিউজটি শেয়ার করুন

© All rights reserved © jamunanewsbd.com
Design, Developed & Hosted BY ALL IT BD