July 27, 2024, 12:44 am
যমুনা নিউজ বিডি: নির্বাচনে কারচুপি ও গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়া বাধাগ্রস্ত করার পাশাপাশি দমনপীড়নের দায়ে আফ্রিকা মহাদেশের দুই দেশ জিম্বাবুয়ে ও উগান্ডার কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে ভিসা বিধিনিষেধ আরোপ করেছে যুক্তরাষ্ট্র। খবরে রয়টার্স।
সোমবার (৪ ডিসেম্বর) মার্কিন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এক বিবৃতিতে বিষয়টি নিশ্চিত করেছে। তবে নিষেধাজ্ঞা পাওয়া কোনো ব্যক্তির নাম উল্লেখ করা হয়নি।
প্রেস বিবৃতিতে মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি জে. ব্লিঙ্কেন এমন ঘোষণা দিয়ে বলেন, গণতন্ত্র ক্ষতিগ্রস্ত করায় আমি জিম্বাবুয়ের বিরুদ্ধে নতুন মার্কিন ভিসা নিষেধাজ্ঞা নীতি ঘোষণা করছি। যুক্তরাষ্ট্রের অভিবাসন ও জাতীয়তা আইনের ধারা ২১২(এ)(৩)(সি) অনুসারে, জিম্বাবুয়েতে গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়া ক্ষতিগ্রস্ত করায় জড়িত বা দায়ী ব্যক্তিদের ওপর এই ভিসা নিষেধাজ্ঞা কার্যকর হবে।
বিবৃতিতে আরও বলা হয়, নির্বাচনের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা ঘুষসহ দুর্নীতিমূলক কাজে জড়িত থাকতে পারেন যা নির্বাচনী প্রক্রিয়াকে দুর্বল করে। নির্বাচনী মামলার বিচারের সময় বিচার বিভাগের স্বাধীন কার্যক্রমে হস্তক্ষেপ করে থাকতে পারেন কিংবা জিম্বাবুয়েতে মানবাধিকারের অপব্যবহার বা লঙ্ঘন করতে পারেন। যে কেউ জিম্বাবুয়ের গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়াকে ক্ষুণ্ন করেন- সেটা জিম্বাবুয়েতে ২০২৩ সালের আগস্ট মাসের নির্বাচন চলাকালীন এবং তারপরে হলেও এই নীতির অধীনে মার্কিন ভিসার জন্য অযোগ্য বলে বিবেচিত হতে পারেন।
তবে মার্কিন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, যুক্তরাষ্ট্রের এই ভিসা নিষেধাজ্ঞা নীতি কেবল জিম্বাবুয়েতে ২০২৩ সালের আগস্টের নির্বাচনের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের ক্ষেত্রেই প্রযোজ্য হবে, দেশটির সর্বসাধারণ নাগরিকদের জন্য নয়।
একই দিনে উগান্ডার কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধেও ভিসা নিষেধাজ্ঞার নীতি আরও প্রসারিত করেছে। উগান্ডায় গণতন্ত্রকে ক্ষুণ্ন করার পাশাপাশি প্রান্তিক গোষ্ঠীগুলোর বিরুদ্ধে দমনপীড়ন চালানোর জন্য দায়ী কর্মকর্তাদের এই নীতির আওতায় আনা হয়েছে।
মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিংকেন সোমবার বলেন, ‘উগান্ডার গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়াকে দুর্বল করার জন্য বা প্রান্তিক বা দুর্বল জনগোষ্ঠীর সদস্যদের দমন করার লক্ষ্যে প্রণীত নীতি বা পদক্ষেপের জন্য দায়ী বা জড়িত উগান্ডার বর্তমান ও সাবেক কর্মকর্তা বা অন্যদের অন্তর্ভুক্ত করে ভিসা বিধিনিষেধ নীতির সম্প্রসারণ ঘোষণা করছি।’
রয়টার্স বলছে, উগান্ডার এলজিবিটিকিউ-বিরোধী আইনকে বিশ্বের সবচেয়ে কঠোর আইন হিসাবে বিবেচনা করা হয়। চলতি বছরের মে মাসে পূর্ব আফ্রিকার এই দেশটিতে এই আইন কার্যকর হয় এবং ‘সমকামিতার জন্য মৃত্যুদণ্ডের’ মতো শাস্তিও এতে অন্তর্ভুক্ত রয়েছে।
অবশ্য আইনটি পাস হওয়ার পর গত জুন মাসে মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তর উগান্ডার কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে ভিসা নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছিল।
এছাড়া মার্কিন স্টেট ডিপার্টমেন্ট এর আগেও ২০২১ সালে উগান্ডায় অনুষ্ঠিত নির্বাচনের পরে দেশটির কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে ভিসা বিধিনিষেধ আরোপ করেছিল। সেই নির্বাচনকে ‘ত্রুটিপূর্ণ’ বলে অভিহিত করেছিল যুক্তরাষ্ট্র।