July 27, 2024, 8:26 am

বগুড়ায় বন্যা পূর্বাভাস অনুধাবন ব্যাখ্যা ও প্রচার বিষয়ক প্রশিক্ষণ অনুষ্ঠিত

ষ্টাফ রিপোর্টারঃ বগুড়ায় বন্যা পূর্বাভাস অনুধাবন ব্যাখ্যা ও প্রচার বিষয়ক প্রশিক্ষণ গতকাল বৃহস্পতিবার দিনব্যাপী মমইন কনভেনশন সেন্টারে অনুষ্ঠিত হয়। ইউএসআইডি এবং ইউরোপিয়ান ইউনিয়ন সিভিল প্রটেকশন এন্ড হিউম্যানিটারিয়ান এইড অপারেশন এর অর্থায়নে কেয়ার বাংলাদেশ ও কন্সার্ন ওয়ার্ল্ডওয়াইডের কারিগরি সহযোগিতায় এসকেএস ফাউন্ডেশন সুফল-২ ও রাইমস’র এসএমএলসি যৌথভাবে প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করছে। প্রশিক্ষক হিসেবে অংশ নেন এমআইএম ডিডিএম ডিরেক্টর নিতাই চন্দ্র সরকার, এএমআইএসডিপি (ডিএই) প্রজেক্ট ডিরেক্টর ডা: শাহ কামাল খান, এফএফডব্লিউসিডিডব্লিউডিবি এর নির্বাহী প্রকৌশলী সরকার উদয় রায়হান। প্রশিক্ষণে সভাপতির বক্তব্য রাখেন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) বগুড়া মোহাম্মদ আল মারুফ। তিনি বলেন, আবহাওয়া পূর্বাভাসের মাধ্যমে বন্যার আগাম বার্তা পৌঁছে দিচ্ছে এসকেএস ফাউন্ডেশনের সুফল প্রকল্প। বগুড়ার সারিয়াকান্দি একটি বন্যাপ্রবণ এলাকা। প্রতি বছরই বন্যায় বিপুল ক্ষয়ক্ষতি হয়। প্রকল্পটি আবহাওয়া পূর্বাভাসের মাধ্যমে বন্যার আগাম বার্তা পৌঁছে দিয়ে জনগণকে সতর্ক করছে। আবহাওয়া পর্যবেক্ষণ কেন্দ্র থেকে প্রতিদিন আবহাওয়ার পূর্বাভাস এ প্রক্ল্পটি নিয়ে থাকে। পূর্বাভাস অনুযায়ী, বন্যার সম্ভাবনা থাকলে সুফল প্রকল্পের কর্মীরা স্থানীয় জনগণকে সতর্ক করে দেয়। তারা মাইকিং, লিফলেট বিতরণ, এবং ব্যক্তিগতভাবে যোগাযোগের মাধ্যমে বন্যার পূর্বাভাস পৌঁছে দেয়। তাদের এ উদ্যোগটি জনগণের মধ্যে ব্যাপক প্রশংসা পেয়েছে। অনেকেই বলেছেন যে এই উদ্যোগটি বন্যার ক্ষয়ক্ষতি কমাতে সাহায্য করবে।

সুফল প্রকল্পের কর্মীরা বলেন, আমরা আমাদের আবহাওয়া পর্যবেক্ষণ কেন্দ্রের মাধ্যমে বন্যার আগাম বার্তা পাওয়ার চেষ্টা করি। এ বার্তাগুলি আমরা জনগণের কাছে পৌঁছে দিয়ে তাদের সতর্ক করে থাকি। এ উদ্যোগটি অন্যান্য সংস্থার জন্যও অনুপ্রেরণা হতে পারে। এই উদ্যোগের মাধ্যমে বন্যার ক্ষয়ক্ষতি কমাতে অনেকটাই সহায়ক হিসেবে কাজ করবে।
প্রশিক্ষণে অংশগ্রহণকারীরা তাদের মতামত ব্যক্ত করতে গিয়ে বলেন, বন্যা ও দুর্যোগ পূর্ববর্তী প্রস্তুতির মাধ্যমে বন্যা ও দুর্যোগের ক্ষয়ক্ষতি কমানো সম্ভব। বন্যার পূর্ববর্তী প্রস্তুতির মধ্যে রয়েছে, নিরাপদ আশ্রয়ের ব্যবস্থা, বন্যা ও দুর্যোগের সময় পরিবারের সদস্যদের নিরাপদ আশ্রয়ে নেয়া, খাদ্য ও ওষুধপত্রের মজুদ করা, মূল্যবান সম্পদ সরিয়ে নেয়া। যেমন গহনা, নগদ টাকা, গুরুত্বপূর্ণ কাগজপত্র ইত্যাদি। প্রত্যেককে বন্যা ও দুর্যোগ পূর্ববর্তী প্রস্তুতির গুরুত্ব সম্পর্কে সচেতন হতে হবে।

বন্যা ও দুর্যোগ পূর্ববর্তী প্রস্তুতির জন্য কিছু পরামর্শ: আপনার এলাকার বন্যার ঝুঁকি সম্পর্কে জানতে হবে। বন্যার ঝুঁকিপূর্ণ এলাকায় বসবাস করলে অতিরিক্ত সতর্কতা অবলম্বন করা উচিত। বাংলাদেশ সরকার বন্যা ও দুর্যোগ পূর্ববর্তী প্রস্তুতির জন্য বিভিন্ন পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে। এর মধ্যে রয়েছে: বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধ ও অন্যান্য অবকাঠামো নির্মাণ, বন্যা ও দুর্যোগ মোকাবিলায় জনসচেতনতা বৃদ্ধি, বন্যা ও দুর্যোগ মোকাবিলার জন্য প্রশিক্ষণ ও সরঞ্জাম প্রদান। সরকারের এই পদক্ষেপগুলো বাস্তবায়িত হলে বন্যা ও দুর্যোগের ক্ষয়ক্ষতি কমানো সম্ভব। আলোচনায় অংশ নেন জনস্বাস্থ্য অধিদপ্তরের নির্বাহী প্রকৌশলী গোলাম কিবরিয়া, এলজিইডি’র নির্বাহী প্রকৌশলী মোহাম্মদ ইউনুস হোসাইন বিশ্বাস, জেলা প্রাণী সম্পদ কর্মকর্তা ডাঃ মোঃ মোশাররফ হোসেন, জেলা সমাজসেবা কর্মকর্তা আবু সাঈদ মোহাম্মদ কাউছার রহমান, পানি উন্নয়ন বোর্ড এর এসডিই হুমায়ুন কবির, রাইমস’র সাকিব ইমতিয়াস, সাবরিনা, এসকেএস ফাউন্ডেশন সুফল প্রকল্পের প্রজেক্ট ম্যানেজার প্রদীপ কুমার সাহা, সহকারী প্রজেক্ট ম্যানেজার সাবাহ শবনম, প্রজেক্ট অফিসার গৌতম কুমার সরকার সহ সরকারী দপ্তরের কর্মকর্তা ও বিভিন্ন ইউনিয়নের জনপ্রতিনিধিবৃন্দ। দুর্যোগ মোকাবেলাকালীন সময়ে সহায়তার জন্য জনপ্রতিনিধিদের মাঝে ম্যাগাফোন প্রদান করা হয়।

নিউজটি শেয়ার করুন

© All rights reserved © jamunanewsbd.com
Design, Developed & Hosted BY ALL IT BD