April 1, 2023, 3:31 am
যমুনা নিউজ বিডিঃ বিনা টিকিটে ট্রেন ভ্রমণের দায়ে রেলমন্ত্রীর তিন আত্মীয়কে জরিমানা করায় ওই ট্রেনের টিটিই শফিকুল ইসলামের বরখাস্তের ঘটনার তদন্ত প্রতিবেদন জমা দিয়েছে কমিটি। প্রতিবেদনে নির্দোষ প্রমাণিত হয়েছেন টিটিই শফিকুল ইসলাম। আর এ ঘটনায় দোষী প্রমাণিত হয়েছেন ওই ট্রেনের গার্ড শরিফুল ইসলাম। বিনা টিকিটের যাত্রী রেলমন্ত্রীর স্ত্রীর আত্মীয় ইমরুল কায়েস প্রান্তকে প্ররোচনা দিয়ে টিটিই শফিকুলের বিরুদ্ধে অভিযোগ করিয়েছিলেন গার্ড শরিফুল। তাই তাকে শাস্তি প্রদান এবং যাত্রী প্রান্তকে গণমাধ্যমের সামনে এসে ক্ষমা চাওয়ার সুপারিশ করা হয়েছে প্রতিবেদনে।
সোমবার (১৬ মে) বেলা ১১টার দিকে নিজ কার্যালয়ে প্রতিবেদন জমা নেন পাকশী বিভাগীয় রেলওয়ের ব্যবস্থাপক (ডিআরএম) শাহিদুল ইসলাম। পাকশী বিভাগীয় রেলওয়ে সহকারী পরিবহন কর্মকর্তা (এটিও) সাজেদুল ইসলামের নেতৃত্বে তিন সদস্যের কমিটি ৪৭ পৃষ্ঠার এ প্রতিবেদন জমা দেন।
এ বিষয়ে শাহিদুল ইসলাম জানান, প্রতিবেদনে ৯ জনের স্বাক্ষর গ্রহণ করা হয়েছে। টিটিই শফিকুলের সঙ্গে ওই যাত্রীদের কোনো বাগবিতণ্ডা হয়নি। গার্ড শরিফুল ইসলাম ব্যক্তিগত শত্রুতায় শফিকুলকে ফাঁসাতে চেয়েছিলেন। ঢাকায় গিয়ে ওই যাত্রীদের ফুসলিয়ে শফিকুলের বিরুদ্ধে অভিযোগ করান। তাকে জিজ্ঞাসাবাদে এমন তথ্য মিলেছে।
রেলমন্ত্রীর স্ত্রী ও রেলওয়ে বাণিজ্যিক কর্মকর্তা (ডিসিও) নাসির উদ্দিনের বিষয়ে তিনি বলেন, রেলমন্ত্রী মহোদয়ের স্ত্রীর বিষয়টি যেহেতু নাসির উদ্দিনের সঙ্গে সম্পৃক্ত, সেহেতু এই প্রতিবেদনে সেটা উঠে আসেনি। কারণ, নাসির উদ্দিনকে শোকজ করা হয়েছে। তাকে সাত দিনের মধ্যে জবাব দিতে বলা হয়েছে। সেই জবাব পেলে এ বিষয়ে (রেলমন্ত্রীর স্ত্রীর সংশ্লিষ্টতা) বলা সম্ভব হবে।
তদন্ত কমিটির প্রধান সহকারী পরিবহন কর্মকর্তা (এটিও) সাজেদুল ইসলাম বলেন, কোনো চাপ ছাড়াই আমরা তদন্ত কার্যক্রম পরিচালনা করেছি এবং প্রতিবেদন তৈরি করেছি। গার্ড শরিফুল টিটিই শফিকুলের ওপর ব্যক্তিগতভাবে ক্ষুব্ধ ছিলেন, এ কারণে ওই যাত্রীকে দিয়ে তিনি অভিযোগ করান। সংশ্লিষ্ট সবাইকে জিজ্ঞাসাবাদে টিটিই শফিকুলের কোনো ত্রুটি পাওয়া যায়নি। তার বিরুদ্ধে সব অভিযোগের সত্যতা মেলেনি, তাই তাকে নির্দোষ হিসেবে প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে।
তিনি আরও জানান, অভিযোগকারী যাত্রী ইমরুল কায়েস প্রান্তর বক্তব্য গ্রহণযোগ্য হয়নি। তাই তার বক্তব্য আমলে নেওয়া হয়নি। আর ঘটনায় সংশ্লিষ্ট বাকি দুই যাত্রী অপ্রাপ্তবয়স্ক। এ জন্য তাদের জিজ্ঞাসাবাদ প্রতিবেদনে সম্পৃক্ত করা হয়নি।