July 27, 2024, 3:50 am

পিরোজপুরে ৫০টি ঘূর্ণিঝড় আশ্রয়কেন্দ্র নির্মাণের কাজ শেষ পর্যায়ে

যমুনা নিউজ বিডিঃ উপকূলীয় জেলা পিরোজপুরে ৩১৯ কোটি ৫০ লাখ টাকা ব্যয়ে আধুনিক সুযোগ-সুবিধায় সজ্জ্বিত ৫০টি ঘূর্ণিঝড় আশ্রয়কেন্দ্র নির্মাণের কাজ এখন শেষ পর্যায়ে। চলতি বছরের ডিসেম্বরেই শেষ হতে যাচ্ছে।

সামুদ্রিক ঘূর্ণিঝড়ের তান্ডব, জলোচ্ছ্বাস এবং বন্যা থেকে উপকূলীয় এলাকার লাখ-লাখ মানুষের জান-মাল রক্ষার্থে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরকার ২০১৯-২০২০ অর্থবছরে এ ভবনগুলোর নির্মাণ কাজ শুরু করে, যা সমাপ্ত হবার সময় হচ্ছে ২০২৩-২০২৪।

পিরোজপুর সদর উপজেলায়- ৪টি, নাজিরপুরে ৪টি, নেছারাবাদে ৬টি, ভান্ডারিয়ায় ৭টি, ইন্দুরকানিতে- ৭টি, কাউখালীতে ৫টি এবং মঠবাড়িয়ায় ১৭টি ঘুর্ণিঝড় আশ্রয়কেন্দ্রের প্রতিটির ৩ তলা ভবন নির্মাণ কাজ শেষ পর্যায়ে রয়েছে।

আই ও এল প্যাটার্নের এসব ভবনের কোনটির ফ্লোর ৩ হাজার ৪১০ বর্গফুট এবং কোনটির ফ্লোর ৩ হাজার ৬১৮ বর্গফুট করা হয়েছে। এই ঘুর্ণিঝড় আশ্রয়কেন্দ্রগুলোর গ্রাউন্ড ফ্লোর বা ১ম তলা সম্পূর্ণ খোলা রাখা হয়েছে। ২য় তলায় আশ্রয় নিতে আসা এলাকাবাসীদের গবাদীপশু, হাঁস-মুরগী রাখার ব্যবস্থা রয়েছে। এখানে গবাদী পশু হেটে ওঠার জন্য র‌্যাম সিস্টেম করা হয়েছে। ৩য় তলায় দেড় হাজার থেকে ২ হাজার নারী-পুরুষ-শিশু আশ্রয় নিতে পারবে। এখানে আধুনিক সুযোগ-সুবিধাও রয়েছে। রয়েছে গর্ভবতী মায়েদের সন্তান প্রসবের জন্য ডেলিভারি কক্ষ, মালামাল রাখার ব্যবস্থা রয়েছে এবং ৩য় তলায় কমোটসহ ৬টি বাথরুম রয়েছে।

এ ছাড়া সাবমার্সিবল পাম্প এবং রেইন ওয়াটার হার্ভেস্টিং এর মাধ্যমে সুপেয় পানি সরবরাহের সু-ব্যবস্থা করা হয়েছে। পর্যাপ্ত আলোর জন্য সোলার সিস্টেম বসানো হচ্ছে। রয়েছে আধুনিক বজ্র প্রতিরোধ ব্যবস্থা। স্বাভাবিক সময় এই ভবনগুলোর ৩য় তলায় প্রাথমিক বিদ্যালয় হিসেবে পরিচালিত হবে। এছাড়া ১ম ও ২য় তলায় স্থানীয় এলাকাবাসী বিভিন্ন সামাজিক অনুষ্ঠান, সচেতনতামূলক কর্মকান্ড পরিচালনা করতে পারবে। ঘূর্ণিঝড় আশ্রয়কেন্দ্র প্রকল্পের পিরোজপুরের সহকারী প্রকৌশলী মো. জিয়াউন্নবী জানান- এ সব ভবনে প্রাকৃতিক দূর্যোগের শিকার মানুষজন আশ্রয় নেয়ার পাশাপাশি বহুমূখী কর্মকা- পরিচালিত হবে।

স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরের পিরোজপুরের নির্বাহী প্রকৌশলী আব্দুস সাত্তার হাওলাদার জানান প্রাথমিকভাবে প্রতিটি ভবন ৩ তলা বিশিষ্ট করা হলেও পরবর্তীতে প্রয়োজনে এখানে ৮ তলা পর্যন্ত ভবন নির্মাণ করা যাবে। তিনি বলেন এ ভবনগুলোর কাজ দ্রুত শেষ করা হচ্ছে এবং উপকূলীয় মানুষ সামুদ্রিক ঘূর্ণিঝড়, জলোচ্ছ্বাসসহ বিভিন্ন প্রাকৃতিক দূর্যোগের কবল থেকে এ ভবনগুলোতে আশ্রয় নিয়ে জান-মাল বাঁচাতে পারবে।

নাজিরপুরের শেখ মাটিয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আতিয়ার রহমান চৌধুরী নান্নু তার ইউনিয়নের গড়ঘাটায় একটি আশ্রয়কেন্দ্র নির্মিত হওয়ায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে কৃতজ্ঞতা জানিয়ে বলেন, এ এলাকার মানুষ এখন প্রাকৃতিক দুর্যোগের কবল থেকে নিরাপদে থাকতে পারবে।

নিউজটি শেয়ার করুন

© All rights reserved © jamunanewsbd.com
Design, Developed & Hosted BY ALL IT BD