October 3, 2023, 3:22 pm
কুড়িগ্রাম প্রতিনিধিঃ কুড়িগ্রামের চিলমারীতে ব্রহ্মপুত্র নদে চিলমারী-রৌমারী নদী পথে দ্বিগুন নৌকা ভাড়া আদায়ের অভিযোগ উঠেছে। যাত্রীদের অভিযোগ বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌ-পরিবহন কর্তৃপক্ষ(বিআইডিব্লউটিএ) এর ইজারাদার কর্তৃক ১০টাকার টোল টিকেটে নেয়া হচ্ছে ২০০টাকা। ঈদ উপলক্ষে বাড়তি ভাড়া আদায় করা হলেও বিআইডিব্লউটিএ কর্তৃপক্ষের দাবী ঘাট টোলের সাথে নৌকা ভাড়ার কোন সম্পর্ক নাই।
জানা গেছে,উপজেলার চিলমারী নদী বন্দর ঘাটটি বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌ-পরিবহন কর্তৃপক্ষ(বিআইডিব্লউটিএ) এর মাধ্যমে ইজারা দেয়া হলে রেমেলিয়া ট্রেড লিংক নামে একটি প্রতিষ্ঠান ইজারা নেয়।
চিলমারীর রমনা ঘাট থেকে নিয়মিত রৌমারী ও রাজিবপুরের নৌকা ভাড়া নেয়া হত যথাক্রমে ১০০টাকা ও ১২০টাকা। ঈদ উপলক্ষে সড়ক ও রেলপথ যাত্রায় ভীড় ও ব্যয়বহুল হওয়ায় ঢাকা গামী স্বল্প আয়ের অনেক যাত্রী নৌপথে রৌমারী/রাজিবপুর হয়ে ঢাকায় চলে যান।
ঢাকা গামী যাত্রী সংখ্যা বৃদ্ধি পাওয়ায় চিলমারী ঘাট থেকে রৌমারী ও রাজিবপুর টোলসহ নৌকা ভাড়া নেয়া হচ্ছে ২০০টাকা যা পূর্বের ভাড়ার দ্বিগুন।এতে নৌপথের যাত্রীদের মাঝে মিশ্র প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি হয়েছে।অতিরিক্ত ভাড়ার সাথে সাথে অতিরিক্ত যাত্রী নিয়ে নদী পাড়াপাড়ে যে কোন সময় দুর্ঘটনা ঘটতে পারে বলে স্থানীয়দের অভিযোগ।
সরেজমিনে আজ বৃহস্পতিবার সকালে রমনা ঘাট এলাকায় গিয়ে দেখা যায়,রমনা ঘাট পয়েন্টে বিআইডিব্লউটিএ এর অফিসের জানালায় যাত্রীরা লাইনে দাড়িয়ে টিকেট সংগ্রহ করছেন।যাত্রীদের হাতে বন্দর টোল প্রতিজন ১০টাকা লেখার টিকেট দিয়ে নেয়া হচেছ ২০০টাকা। এসময় ইমন ও হৃদয় নামের ২যাত্রী জানান,১০টাকা টোল লেখার টিকেট দিয়ে ২০০টাকা নেয়া হচ্ছে। নুর কালাম নামের রৌমারীর এক ব্যাক্তি পরিবার নিয়ে বেড়াতে গিয়েছিলেন নিলফামারী।
তিনি দুঃখ করে জানান, নৌকার ভাড়া ১০০টাকা,আজ ৬টা টিকেট ১,২০০ টাকা নিলো বাবা। গরিব মানুষ কোথায় যাবে? শেরপুরের বাসিন্দা নুর নবী জানান, রৌমারী থেকে কুড়িগ্রাম আসছিলাম ১২০টাকায় আর এখান থেকে রাজিবপুরের ভাড়া চাচ্ছে ২০০টাকা,ভাড়া বেশী হলো না ? ভূরুঙ্গামারী এলাকার মোস্তফা,নাগেশ্বরী এলাকার মাসুদ রান এবং উলিপুর এলাকার নুরুজ্জামান,ওমর ফারুক, চাদ মিয়া ও উম্মে কুলছুম এরা প্রত্যেকে ঢাকায় গার্মেন্টেস এ কাজ করেন।
ঈদ পরবর্তী অফিস করার জন্য তারা অল্প ভাড়ায় নদী পথকে বেছে নিয়েছেন। এ পথে এসে মাত্র ১০/১২কিলোমিটার নদী পথের জন্য নৌকা ভাড়া নেয়া হচেছ ২০০টাকা বলে জানান তারা। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একজন নৌকার মাঝি জানান,রমনা ঘাট থেকে নৌকা রাজিবপুর গিয়ে যাত্রী নামিয়ে দেয়া পর্যন্ত ভাড়া ৫হাজার টাকা। যাত্রী প্রতি ২০০টাকা ভাড়া হিসাবে যা হয় তার পুরোটাই ইজারাদারের। তার নৌকায় প্রায় ২০০ থেকে ২৫০জন যাত্রী উঠতে পারেন বলে জানান তিনি।
রেমেলিয়া ট্রেড লিংকের স্বত্বাধিকারী ঘাট ইজারাদার শহীদুল্লাহ কায়সার ইমু বলেন,সাধারনত আমরা রৌমারীর ভাড়া ১০০টাকা থেকে ১০টাকা এবং রাজিবপুরের ভাড়া ১২০টাকা থেকে ১০টাকা টোল পাই। ঈদের দুইদিন পর থেকে ভাড়া ২০০টাকা করে নিচ্ছে,এখানে ১০টাকা আমার বাকীটা নৌকার মালিকদের।
১০টাকা টিকেট দিয়ে ২০০টাকা নেয়ায় পাবলিকের মধ্যে মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখা দিয়েছে,আসলে এখানে আমার কিছু নেই। যাত্রী গ্যাদারিং বেশী হওয়ায় আমরা বিষয়টি নিয়ন্ত্রন করছি মাত্র। চিলমারী নদী বন্দর পোর্ট অফিসার মো.আসাদুজ্জামান ইমন জানান,নৌকা ভাড়ার সাথে আমাদের কোন রিলেশন নেই। ইজারাদার কিভাবে তার নৌকার ব্যবস্থা করবে সেটা তার বিষয়।