September 26, 2023, 11:29 pm
আদমদীঘি (বগুড়া) প্রতিনিধি: আদমদীঘি সান্তাহার-জয়পুরহাট সড়কের পাশে হেমতখালি নামক স্থানে ফেলানো সান্তাহার পৌরসভার আর্বজনার স্তপের দুর্গন্ধে একাকার হয়ে পরিবেশ মারাত্মক ভাবে দুষিত হচ্ছে। ফলে ওই সড়ক দিয়ে যাতায়াতকারি যানবাহন ও এলাকাবাসী অতিষ্ঠ হয়ে পড়েছে।
অবিলম্বে হেমতখালি থেকে দুর্গন্ধময় আবর্জনার স্তূপ অন্যত্র সরিয়ে নেয়ার দাবি ভুক্তভোগীদের। আদমদীঘি উপজেলার সান্তাহার পৌরসভা থেকে আক্কেলপুর জয়পুরহাট সড়কের পাশে হেমতখালি নামক স্থানে রয়েছে একটি কবরস্থান, বিভিন্ন কলকারখানা ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠান। এ সকল প্রতিষ্ঠানে কাজ করে কয়েক শ’ শ্রমিক। এখানে গড়ে উঠছে বসতবাড়ি।
এ রকম একটি জনবহুল স্থানে সান্তাহার পৌসভার বিভিন্ন ময়লা আবর্জনা ফেলে স্তূপ করে রাখা হচ্ছে দীর্ঘ দিন ধরে। এই সব ময়লা আবর্জনার ভাগার পঁচে দুর্গন্ধে একাকার হয়ে পরিবেশ মারাত্মক ভাবে দূষিত হচ্ছে। সান্তাহার ছাতিয়ানগ্রাম হয়ে জয়পুরহাট সড়কে যানবাহনে যাতায়াতকারি যাত্রী সাধারণ এই স্থানে এসে নাকে কাপড় দিয়ে পারাপার হয়ে থাকেন।
ভাগারের দুর্গন্ধে এলাকার কারখানায় কাজ করা শ্রমিক, জমিতে কাজ করা কৃষক ও বাসাবাড়িতে বসবাস করা কষ্টকর হয়ে পড়েছে। ভাগারের পাশে সরকারি খাস জায়গায় অবস্থিত কবরস্থানে মৃত ব্যক্তিদের দাফন কাজ করতে আসা মুসল্লিরা দুর্গন্ধে আক্রান্ত হন। জনগুরুত্বপূর্ণ ওই সড়ক দিয়ে যাতায়াতকারি পথচারিদের ভাগারের আশে পাশে এসে দুর্গন্ধে নাকে কাপড় দিয়ে অতিকষ্টে যাতায়াত করতে হয়।
এই দুর্গন্ধময় ভাগারের পাশের আবাদি জমির মালিক বেলাল হোসেন জানায় পৌরসভার ফেলা আবর্জনার পঁচা গন্ধে জমিতে চাষাবাদ করা কঠিন হয়ে পড়েছে। পাশের বশিপুর গ্রামের মনছুর রহমান জানান, ভাগারের কাছে একটি গোরস্থান রয়েছে, ধর্মীয় বিবেচনায় পৌরসভার ফেলানো ময়লা আবর্জনার ভাগার অন্য জায়গায় সরিয়ে নেয়া প্রয়োজন। ছাতিয়ানগ্রাম ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান আব্দুল হক আবু বলেন, তার এলাকার বেশির ভাগ মানুষ এই সড়ক দিয়ে চলাচল করে।
তারা এই সমস্যার বিষয়টি আমাকে জানিয়েছে কিন্তু এটি সান্তাহার পৌরসভার এলাকা হওয়ায় আমার পক্ষে কোন প্রতিকার করা সম্ভব হচ্ছে না। তবে তিনি দ্রুত আর্বজনার ভাগারটি অন্যত্র স্থানান্তরের প্রয়োজন বলে মনে করেন।
সান্তাহার পৌরসভার মেয়র তোফাজ্ঝল হোসেন ভুট্টু বলেন, বিষয়টি নিয়ে আমিও সমস্যায় রয়েছি। আর্বজনা রাখার জন্য পৌরসভার নিজস্ব জায়গা না থাকায় হেমতখালি খাসের জায়গায় আবর্জনা ফেলা হয়। সেখানে আবর্জনা ফেলা কমিয়ে বর্তমানে ইজারা নেয়া রেলওয়ের দুটি জায়গায় বেশির ভাগ ময়লা আবর্জনা ফেলা হচ্ছে।