September 24, 2023, 4:40 am
ষ্টাফ রিপোর্টারঃ হ্যান্ডিক্রাফট, কাপড় সেলাই, ব্লক বাটিক, প্রিন্ট, হ্যান্ড পেইন্ট বা আধুনিক পোশাক ডিজাইন, যা করেছেন তাতেই সুনাম কুড়িয়েছেন বগুড়ার গৃহবধূ লুবনা। আগে আশপাশের বাসিন্দাদের কাছেই শুধু ছিল পরিচিতি, এখন ইন্টারনেটের যুগে সে কাজের পরিসর বেড়েছে আরো বেশি, এসেছে সফলতাও। ধীরে ধীরে নাম লিখিয়েছেন সফল উদ্যোক্তার তালিকায়।
বগুড়া শহরের নূরানী মোড়ের নারী উদ্যোক্তা লুবনা জাহান। রুচিশীল ও আধুনিকতার ছোঁয়ায় একটু ব্যতিক্রমী পণ্য নিয়ে কাজ করেন তিনি। এমন পণ্য তৈরির চেষ্টা করেন যা আধুনিক ও রুচিশীলতার পরিচয় বহন করবে। স্বামীর নেয়া ঋণ কাজে লাগিয়ে বড় করেছেন নিজের ব্যবসা। এখন সে ব্যবসা ঘুরিয়ে দিয়েছে লুবনার ভাগ্যের চাবি। লুবনা বলেন, ‘শখের বশে কলেজে পড়ার সময় নিজের সব জামা নিজেই ডিজাইন এবং সেলাই করতাম। তখনই ধীরে ধীরে তা সবার নজরে আসে। একসময় আত্মীয় স্বজনের গণ্ডি ছাড়িয়ে ক্রেতার সংখ্যা ছড়িয়ে পড়ে দূর-দুরান্তে।’
শুরুতে নিজ হাতে সব সেলাই করলেও কাজের চাপ বাড়ায় একসময় দুজন কর্মী নিয়োগ দেন লুবনা। তার সঙ্গে যোগ দেন স্বামী ঈমামুল হুদা বিপ্লব। চিত্রশিল্পী বিপ্লব অনেক কাপড়ের ডিজাইন ও হ্যান্ড পেইন্ট করে দিতে শুরু করেন। তার করা হ্যান্ড পেইন্টও খুব পছন্দ করতেন ক্রেতারা। এখন লুবনার জন্য কাজ করেন পাঁচজন কর্মী।
লুবনা বলেন, ‘২০১৫ সালে আমি অধুনা নামে ফেসবুক পেজ খুলি। সুচি শিল্প ও রঙ-তুলির পাশাপাশি হাজার বছরের বাঙালি ঐতিহ্য এবং কৃষ্টির অনুপ্রেরণায় তাঁত শিল্প নিয়ে কাজ শুরু করলাম। সবসময় ভাবতাম আমার কাজের পরিমাণ কম হলেও রুচিশীল পোশাক তৈরি করব। ক্রেতার শখ, সাধ্য আর আস্থায় থাকতে চেয়েছি সবসময়। চেষ্টা করি দেশীয় যেসব ডিজাইন বিলুপ্তির পথে সেগুলো নিয়ে কাজ করার। সে জায়গা থেকে একসময় শুরু করি রিকশা পেইন্ট নিয়ে কাজ করা।’
তাঁতের সুতি শাড়ি, থ্রি পিস, তাঁতের উন্নতমানের সুতায় বোনা হাফসিল্ক শাড়ি ও থ্রি পিস, গামছা, চেকের ব্লাউজ পিস, নিজের ডিজাইন করা হাতের তৈরি, বাটিক থ্রি পিস, চাদর, গুজরাটি কাজের জামা, ওড়না এবং শিশুদের জন্য সুতির আরামদায়ক সুঁই, সুতা ও হ্যান্ড পেইন্ট পোশাক রয়েছে লুবনার সংগ্রহে।