October 3, 2023, 3:02 pm
কুড়িগ্রাম প্রতিনিধি: কুড়িগ্রামের চিলমারী উপজেলার প্রাণকেন্দ্রে অবস্থিত থানাহাট বাজারের প্রধান সড়কসহ বিভিন্ন গলি রাস্তার বেহাল দশা দেখা দিয়েছে।
পানি নিষ্কাশনের পথ না থাকায় সামান্য বৃষ্টিতে রাস্তাগুলোতে জলাবদ্ধতাসহ কাঁদা-পানি জমে চলাচলের অনুপোযোগী হয়ে পড়েছে। এতে চরম দুর্ভোগে পড়েছে কয়েকশত ব্যবসায়ীসহ প্রায় লক্ষাধিক বাজারগামী মানুষ। স্থানিয় সরকার প্রকৌশল বিভাগের তত্বাবধানে কোটি টাকা ব্যয়ে একটি ড্রেন নির্মাণ করলেও রাস্তার সাথে সংযোগ না দেয়ায় তা কাজে আসছে না।
জানা গেছে,উপজেলা সদরের প্রাণকেন্দ্রে অবস্থিত থানাহাট বাজারের প্রধান সড়কসহ বিভিন্ন গলি রাস্তাগুলি বর্তমানে জন দুর্ভোগের কারন হয়ে দাড়িয়েছে। উপজেলার মাটিকাটা মোড়,থানা মোড়,এলএসডি মোড় হতে সন্তোষ ডাক্তারের মোড় পর্যন্ত এবং বীরবিক্রম সড়কসহ বিভিন্ন গলি সড়ক মানুষ চলাচলের অনুপোযোগী হয়ে পড়েছে।
সামান্য বৃষ্টিতে পানি জমে স্থান গুলোতে খানা-খন্দের সৃষ্টি হওয়ায় প্রতিনিয়ত ঘটছে বিভিন্ন দুর্ঘটনা। সব মিলিয়ে উপরোক্ত রাস্তাগুলো যেন কাঁদা আর খানাখন্দের শহরে পরিনত হয়েছে। বছর দুয়েক আগে থানাহাট বাজারের ভীতরে এলজিইডির তত্বাবধানে কোটি টাকা ব্যয়ে একটি ড্রেন নির্মাণ করা হলেও রাস্তার সাথে সংযোগ না দেয়ায় তা কাজে আসছে না।
ড্রেনটি নির্মাণের পর এটি পানি নিষ্কাষনের উপযোগী না করায় ড্রেনের ভিতরে মাটি ও ময়লা জমে বন্ধ হয়ে আছে। ফলে প্রধান সড়কসহ বিভিন্ন গলি রাস্তাগুলোতে কাঁদা ও পানি জমে থাকায় ব্যবসায়ী,পথচারী,স্কুল-কলেজ পড়–য়া ছাত্র-ছাত্রীসহ বাজারগামী প্রায় লক্ষাধিক মানুষের দুর্ভোগ চরমে উঠেছে।
ভ্যান চালক চাদ মিয়া ও ইদ্রিস আলী জানান,ভাঙা আর কাঁদার রাস্তায় জীবনের ঝুকি নিয়ে ভ্যান গাড়ী চালাতে হচ্ছে। প্রায়ই আমরা দুর্ঘটনার শিকার হচ্ছি। থানাহাট পাইলট বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের ছাত্রী মৌলী ও তাপ্তি জানায়,রাস্তার বেহাল দশায় তাদের স্কুল যেতে অনেক কষ্ট হয়। প্রায় সময়ই কাদায় তাদের জুতা ও জামা কাপড় নষ্ট হয়ে যায়।
এছাড়াও রাস্তায় সৃষ্ট খানা খন্দে পড়ে যাওয়ার ভয় থাকে।কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মিত ড্রেনটি পানি নিষ্কাষনের উপযোগী করা হলে জন দুর্ভোগ কিছুটা লাঘব হতো বলে সচেতন মহলের দাবী। উপজেলা প্রকৌশলী মো.ফিরোজুর রহমান জানান,রাস্তা গুলোর কাজ প্রক্রিয়াধিন রয়েছে,অল্প সময়ের মধ্যে সমস্যার সমাধান হবে।
উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান মো.রুকুনুজ্জামান শাহীন বলেন,স্থানীয় সরকার প্রকৌশল বিভাগের কর্তৃপক্ষের সাথে কথা হয়েছে অতি দ্রুত রাস্তাগুলোর কাজ করা হবে।