October 3, 2023, 3:23 pm

বেলকুচিতে ওসি’র অপসারণ চেয়ে মানববন্ধন

বেলকুচি (সিরাজগঞ্জ) প্রতিনিধি : একের পর এক জনপ্রতিনিধিদের উপর সন্ত্রাসী হামলা ও মিথ্যা অভিযোগের মামলায় জর্জরিত বেলকুচি উপজেলার চেয়ারম্যান, মেয়র ও মেম্বারবৃন্দ। গতকাল রবিবার (৪ জুন) বিকেলে হামলা ও মামলার প্রতিবাদে বেলকুচি উপজেলা চত্ত্বরে বেলকুচি উপজেলা জনপ্রতিনিধি ফোরামের আয়োজনে পৌর কাউন্সিলর মাহাবুবুল আজাদ তারেকের ওপর এমপি মমিন মন্ডলের সন্ত্রাসী বাহিনীর হামলার ঘটনায় এখনও আসামি গ্রেফতার না করায় মানববন্ধন করে। মানববন্ধনে উপজেলা চেয়ারম্যানগণ ও পৌর কাউন্সিলরগণ উপস্থিত ছিলেন।

মানববন্ধন কর্মসূচিতে স্থানীয় সরকারের জনপ্রতিনিধি ফোরাম সভাপতি ও বড়ধুল ইউপি চেয়ারম্যান আছের উদ্দিন মোল্লার সভাপতিত্বে বক্তরা বলেন, প্রায় ৬ মাস হলো বেলকুচি থানায় ওসি আসলাম হোসেন যোগাদানের পর থেকে বেলকুচিতে স্থানীয় এমপির রাজনৈতিক ফায়দা হাসিলের কর্মকান্ডে লিপ্ত হয়ে পড়েন। তিনি থানায় যোগদানের ৬ মাসে উপজেলা ও পৌর সভার ৬ জন জনপ্রতিনিধির উপর এমপির সন্ত্রাসীর বাহিনীর হামলার শিকার হয়েছে। এ সকল ঘটনার বিষয়ে থানায় মামলা পর্যন্ত নেয়া হয়নি। উপরন্ত এ সকল ঘটনায় জনপ্রতিনিধিদের ওপর মিথ্যা অভিযোগের মামলা সাজিয়ে হয়রানি করা হচ্ছে। এসময় বক্তারা উল্লেখ করে বলেন, গত ৬ মাসে ভাঙ্গাবাড়ি ইউপি চেয়ারম্যান জহুরুল ভূইয়া, প্যানেল চেয়ারম্যান আব্দুল কাদের, বেলকুচি উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান মোহাম্মদ আলী আকন্দ, রাজাপুর ইউপি চেয়ারম্যান সোনিয়া সবুর আকন্দসহ পৌর প্যানেল মেয়র মাহবুবুল আজাদ তারেক হামলার শিকার হয়। অথচ এখন পর্যন্ত কোন ঘটনায় সঠিক আইনি বিচার পাইনি।

এসময় বেলকুচি উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান নুরুল ইসলাম সাজেদুল বলেন, আমরা আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। বর্তমান এমপি মমিন মন্ডল তার রাজনৈতিক ফায়দা হাসিলের জন্য বিভিন্ন সময় জনপ্রতিনিধিদের ওপর হামলা চালিয়েছেন। হামলার ঘটনায় প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে ওসি আসলাম হোসেন জড়িত। তার সম্মুখে আমাদের ওপর হামলা হলেও আমাদের মামলা না নিয়ে উল্টো আমাদের নামে মিথ্যা অভিযোগে মামলা নিয়ে হয়রানি করে আসছেন। ওসি’র এমন ক্ষমতার অপ্রব্যবহারে বেলকুচিতে আইন-শৃঙ্খলার অবনতি হচ্ছে। তিনি আরও অভিযোগ করে বলেন, বর্তমান ওসি এর আগেও এমপির কোম্পানির সাথে যুক্ত ছিলেন। এখন ওসি হয়ে এমপির বেআইনি কর্মকান্ডকে আইনে রুপ দিচ্ছেন।

এ ব্যাপারে বেলকুচি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আসলাম হোসেন বলেন, আমারা ঘটনা শোনার সঙ্গে সঙ্গেই পুলিশ পাঠিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনি। তবে কাউন্সিলর তারেকের ঘটনাটি ঘটার দুই দিন পর একটি অভিযোগপত্র দায়ের করেছে। আমরা বিভিন্ন স্থানে তল্লাশি চালাচ্ছি। ইতিপূর্বে যে সকল ঘটনা ঘটেছে সেই ঘটনাগুলো বিচ্ছিন্ন ঘটনা। একটির সঙ্গে আরেকটির যোগ সূত্র নেই। আমি কারও দ্বারা প্রভাবিত না হয়ে আইন অনুযায়ী কাজ করে যাচ্ছি।

মানববন্ধনে বেলকুচি পৌর মেয়র সাজ্জাদুল হক রেজা, উপজেলা পরিষদের মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান রত্না বেগম, সদর ইউপি চেয়ারম্যান মীর্জা সোলায়মান হোসেন, প্যানেল চেয়ারম্যান হাসমত আলী, প্যানেল চেয়ারম্যান মোহাম্মদ ভুট্টু, ইউপি সদস্য মাহমুদুল হাসান, রফিকুল ইসলাম রফিকসহ অন্যন্যা জনপ্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।

নিউজটি শেয়ার করুন

© All rights reserved © jamunanewsbd.com
Design, Developed & Hosted BY ALL IT BD