October 13, 2024, 2:08 am

News Headline :
খালেদা জিয়াকে হত্যাচেষ্টার অভিযোগে শেখ হাসিনার নামে মামলা রোহিঙ্গা সংকট একটি তাজা টাইম বোমা: ড. ইউনূস বগুড়ায় মাদক ব্যবসা ও অসামাজিক কার্যকলাপ বন্ধের দাবিতে এলাকাবাসীর মানববন্ধন উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়কে গণমানুষের বিশ্ববিদ্যালয়ে পরিণত করতে হবে-উপাচার্য ওবায়দুল ইসলাম নন্দীগ্রামে বিএনপির মামলায়  যুবলীগ নেতাসহ গ্রেপ্তার ৪  বগুড়ায় হেল্প ব্লাড ডোনেশন গ্রুপের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী ও স্বেচ্ছাসেবী মিলন মেলা অনুষ্ঠিত ভারত ছাড়ছেন শেখ হাসিনা তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধ দ্বারপ্রান্তে: ট্রাম্প আজ ঢাকায় আসছেন মালয়েশিয়ার প্রধানমন্ত্রী রাষ্ট্র সংস্কারে ৫ কমিশনের পূর্ণাঙ্গ কমিটি গঠন করে প্রজ্ঞাপন

বগুড়ায় ঐতিহ্যবাহী নিশানের মেলায় এক মিষ্টির ওজন ১০ কেজি

ষ্টাফ রিপোর্টারঃ বগুড়া সদর উপজেলার নুনগোলা ইউনিয়নের দাড়িয়াল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের মাঠে প্রতিবছর জ্যৈষ্ঠ মাসের দ্বিতীয় রবিবার বসে ঐতিহ্যবাহী নিশানের মেলা। মেলায় ঘুড়ি, তৈজস, মসলা, ফল, আসবাবসহ হরেক রকমের পণ্যের পসরা সাজিয়ে বসেন দোকানিরা। তবে এবারের মেলার অন্যতম আকর্ষণ মাছের অবয়বে বানানো ১০ কেজি ওজনের মিষ্টি।

১০ কেজি ওজনের এমন তিনটি মিষ্টি বানিয়েছেন মেলার দোকানি মেঘা দই-মিষ্টি ঘরের মালিক মিলন হোসেন। তিনি জানান, মাছমিষ্টি প্রতি কেজি ৪০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। যাঁরা শ্বশুরবাড়িতে প্রথমবার আসেন, মূলত তাঁরাই এই মিষ্টির ক্রেতা। এই বিক্রেতা আরো জানান, এবারই প্রথম ১০ কেজি ওজনের মিষ্টি বানিয়েছেন তিনি। এর আগে সর্বোচ্চ দুই থেকে তিন কেজি ওজনের মিষ্টি বানিয়েছেন।

মেলায় মিলনের দোকান থেকে ১০ কেজি ওজনের একটি মিষ্টি কিনেছেন আব্দুর রাজ্জাক নামের এক ব্যবসায়ী। তিনি বলেন, ‘আমার শ্বশুরবাড়ি দাড়িয়াল গ্রামে। প্রথমবার সেখানে যাচ্ছি। এলাকার ঐতিহ্য অনুযায়ী প্রথমবার শ্বশুরবাড়িতে গেলে এই মিষ্টি নিয়ে যেতে হয়। তাই চার হাজার টাকায় একটি মিষ্টি কিনেছি।’

স্থানীয়রা জানায়, আশপাশের অন্তত ২৫টি গ্রামের লোকজন শত বছরের পুরনো এই মেলায় অংশ নেয়। মেলার এক পাশে থাকে রংবেরঙের ঘুড়ির দোকান। ঘুড়ি কিনে মেলা প্রাঙ্গণেই ঘুড়ি ওড়ায় ক্রেতারা। অন্য পাশে বসে তৈজসপত্রের দোকান। আর মেলার মাঝখানে বসে মিষ্টি আর ফলের দোকান।

পীড়াপাট গ্রামের বাসিন্দা আজমল হোসেন (৭৫) জানান, শৈশব থেকেই মেলাটি দেখে আসছেন তিনি। বাবা-দাদার মুখেও এই মেলার কথা শুনেছেন। মেলার আয়োজক কমিটির সদস্য নুনগোলা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান বদরুল আলম বলেন, আগের দিনে ঢোল বাজিয়ে গ্রামে গ্রামে এই মেলার প্রচার চালানো হতো। মেলার দিন সকালে মাঠে ওড়ানো হতো নিশান। তখন থেকেই এটি স্থানীয়দের কাছে নিশানের মেলা নামে পরিচিত।

নিউজটি শেয়ার করুন

© All rights reserved © jamunanewsbd.com
Design, Developed & Hosted BY ALL IT BD