October 13, 2024, 12:59 am
যমুনা নিউজ বিডিঃ জেলা প্রশাসকের প্রতি অসন্তোষ প্রকাশ করে আদালত বলেছেন, ডিসিরা নিজেরা রাজত্ব কায়েম করেছেন। আদালতের আদেশ তারা মানেন না। তাহলে এই আদেশ দিয়ে কী লাভ?
বারবার সময় দেওয়ার পরও বরিশালের সন্ধ্যা নদী দখলমুক্ত করে প্রতিবেদন না দেওয়ার ঘটনায় অসন্তোষ প্রকাশ করেন হাইকোর্ট।
রোববার (২৮ মে) প্রতিবেদন দাখিলের জন্য ডিসির পক্ষে রাষ্ট্রপক্ষ সময় চাইলে বিচারপতি কে এম কামরুল কাদের ও বিচারপতি মোহাম্মদ শওকত আলী চৌধুরীর হাইকোর্ট বেঞ্চ এ কথা বলেন।
আদালতে রাষ্ট্রপক্ষে সময় আবেদন করেন সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল জুলফিয়া আক্তার। রিটের পক্ষে শুনানি করেন অ্যাডভোকেট মনজিল মোরসেদ।
জুলফিয়া আক্তার আদালতে প্রতিবেদন দাখিলের জন্য ডিসির পক্ষে আবারও সময় চান। তিনি বলেন, আমাদের সর্বশেষ আরও একটু সময় দিন, আমরা জেলা প্রশাসকের সঙ্গে যোগাযোগ করব।
রিটকারী আইনজীবী মনজিল মোরসেদ বলেন, ডিসিরা আদেশ নিয়ে এক ধরনের খেলা করেন। তখন আদালত বলেন, যা দেখবে তাই তো শিখবে। সচিবরাও তো তাই করে। আদালত অবমাননার হাজার হাজার মামলা পড়ে আছে।
এ সময় রাষ্ট্রপক্ষের কাছে প্রতিবেদন না দেওয়ার কারণ জানতে চান হাইকোর্ট। সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল বলেন, শেষবারের মতো আমাদের আরও একটু সময় দিন।
শেষবারের মতো সময় চাওয়ায় আদালত বলেন, আপনি যদি একশ বছরও সময় নেন লাভ হবে না। দেশ এটাই, এখানেই থাকতে হবে। লুট করে আমেরিকা নিয়ে যাবেন, সব রেখে দেব। জেলা প্রশাসককে ভালো করে বুঝিয়ে বলেন। সম্মানের জায়গাটা ঠিক রাখতে বলবেন। না হলে জবাব দিতে হবে।
এরপর আদালত প্রতিবেদন দাখিলের জন্য ১৮ জুন দিন ধার্য করেন।
পরে আইনজীবী মনজিল মোরসেদ বলেন, সন্ধ্যা নদীর ভেতরে গুচ্ছগ্রাম দখল করা হচ্ছিল মাটি ভরাট করে। বিষয়টি আমরা চ্যালেঞ্জ করে রিট করেছিলাম। হাইকোর্ট অনেকগুলো নির্দেশনা দিয়েছিলেন। তার একটিও বাস্তবায়ন হয়নি। তারা প্রতিবেদন না দেওয়ায় ৫ বছর পর আদালতে আবেদন করেছিলাম। রোববার প্রতিবেদন দেওয়ার দিন ধার্য ছিল। কিন্তু আজও প্রতিবেদন না দেওয়ায় আদালত অসন্তোষ প্রকাশ করেন।