April 23, 2024, 2:34 pm

বগুড়ায় কৃষক ফ্রন্টের মিছিল ও সমাবেশ অনুষ্ঠিত

প্রতিমণ ধাণের দাম ১৫০০ টাকা নির্ধারণ করে খোদ কৃষকের কাছ থেকে ধান ক্রয় করা, প্রতি ইউনিয়নে কমপক্ষে ১টি সরকারি ক্রয়কেন্দ্র খোলা, কৃষি উপকরণের দাম কমানো ও কৃষি ফসলের লাভজনক দাম নিশ্চিত করা এবং গ্রাম শহরের গরিব মানুষকে আর্মিরেটে রেশন দেওয়া, আসন্ন জাতীয় বাজেটে উন্নয়ন বরাদ্দের ৪০% কৃষি খাতে বরাদ্দের দাবিতে- আজ ২৮ মে ২০২৩ বিকাল: ৪:০০ টায় সমাজতান্ত্রিক ক্ষেতমজুর ও কৃষক ফ্রন্ট বগুড়া জেলা শাখার উদ্যোগে সাতমাথায় মিছিল-সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন সংগঠনের জেলা সভাপতি বাসদ বগুড়া জেলা সদস্য মাসুদ পারভেজ, বক্তব্য রাখেন বাসদ কেন্দ্রীয় কমিটির সংগ্রামী সাধারণ সম্পাদক কমরেড বজলুর রশিদ ফিরোজ, বাসদ বগুড়া জেলা আহŸায়ক কমরেড এ্যাড.সাইফুল ইসলাম পল্টু, বাসদ নওগাঁ জেলা আহŸায়ক জয়নাল আবেদীন মুকুল, কৃষক ফ্রন্ট জেলা সাধারণ সম্পাদক শহিদুল ইসলাম, কৃষক নেতা দেলোয়ার হোসেন, শাজাহান আলী প্রমূখ নেতৃবৃন্দ।


কমরেড বজলুর রশিদ ফিরোজ বলেন, আমাদের দেশ কৃষি প্রধান দেশ। মোট গ্রামীন শ্রম শক্তির ৬০ ভাগের বেশি নিয়োজিত কৃষিতে। পুরো করোনাকালে অন্যান্য সবকিছু স্থবির হয়ে পড়লেও কৃষক তার উৎপাদনের চাকা সচল রেখেছে এবং গোটা দেশের মানুষের মুখের আহার যুগিয়েছে। এমনিতেই কৃষি উপকরণের লাগামহীন মূল্যবৃদ্ধি, ফসলের ন্যায্য মূল্য না পাওয়া ইত্যাদির ফলে গোটা কৃষিব্যবস্থা চরম সংকটের মধ্যে আছে। অথচ কৃষক আজ নানামূখি সংকটে জর্জরিতে। একদিকে সার, বীজ, কীটনাশক, ডিজেলের দাম দিন দিন বাড়ছে। অন্য দিকে অসাধু মুনাফাভোগী ব্যবসায়ীরা এই সকল কৃষি উপকরণে দিচ্ছেন ভেজাল। কৃষক ফসলের ন্যয্য দাম পাচ্ছে না। সহজ শর্তে সরল সুদে কৃষি ঋনের ব্যবস্থা নেই। ক্ষেতমজুরদের সারা বছর কাজ নেই। কৃষি ভিত্তিক শিল্প স্থাপন করে বেকার সমস্যা সমাধানের সরকারি উদ্যোগ নেই, নেই গ্রামীন গরীব মানুৃষের জন্য রেশনিং ব্যবস্থা। অপরিকল্পিতভাবে ইটভাটা, রাস্তাঘাট, ঘর বাড়ি, আবাসন কলকারখানা নির্মাণের ফলে প্রতিবছর ১ শতাংশ হারে কৃষি জমি অকৃষি খাতে চলে যাচ্ছে। এতে দেশের খাদ্য নিরাপত্তা মারাত্মক হুমকীর মুখে পড়ার সম্ভাবনা ক্রমেই বাড়ছে। তাই তিনি অবিলম্বে এই সকল সংকট নিরশন করতে সমাজতান্ত্রিক ক্ষেতমজুর ও কৃষক ফ্রন্টের আশু ৫দফা দাবি বাস্তবায়নের অহŸান জানান।

সমাবেশে অন্যন্য নেতৃবৃন্দ বলেন, দ্রব্যমূল্যের ক্রমবর্ধমান উর্ধ্বগতিতে উদ্বেগ প্রকাশ করে বলা হয়, সরকার ১ কোটি মানুষকে কার্ডের মাধ্যমে টিসিবি’র পণ্য সরবরাহের কথা বলছে, যা খুবই অপ্রতুল এবং দুর্নীতি, অনিয়ম ও স্বজপ্রীতিতে ভরা। ফলে প্রকৃত অর্থে যাদের স্বল্পমূল্যে নিত্যপণ্য পাওয়ার কথা অধিকাংশ ক্ষেত্রে তারা পাচ্ছে না। প্রস্তাবে কার্ডের সংখ্যা ও পণ্যের পরিমাণ বৃদ্ধি করে অনিয়ম-স্বজনপ্রীতিমুক্তভাবে স্বল্পমূল্যে পণ্য সরবরাহের দাবি জানানো হয়। একই সাথে গ্রাম-শহরে গরিব মানুষের জন্য রেশনিং ও ন্যায্য মূল্যের দোকান চালুর দাবি জানানো হয়। -খবর বিজ্ঞপ্তী

নিউজটি শেয়ার করুন

© All rights reserved © jamunanewsbd.com
Design, Developed & Hosted BY ALL IT BD