October 13, 2024, 1:28 am
স্টাফ রিপোর্টার: বগুড়া সদর থানা মোড়ে বগুড়া সরকারি আজিজুল হক কলেজের রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের অবসর প্রাপ্ত অধ্যাপক রেজাউল করিম পান্না হত্যাকাণ্ডের কথা স্বীকার করেছে ঘাতক খাইরুল সম্রাট মেহেন্দি(৪৭) ।
জমি জমা নিয়ে বিরোধের জের হিসেবে সে তাকে ছুরিকাঘাতে খুন করে বলে পুলিশের জিজ্ঞাসাবাদে স্বীকার করে। তবে মামলার বাদি শহরের ফুলবাড়ী এলাকার বাসিন্দা নিহত অধ্যাপক পান্নার ছেলে আবু রেজা আল মামুন ওরফে মুন বলেছেন সম্রাটের সাথে তার বাবার জমি-জমা নিয়ে কোন বিরোধ ছিল না। সে মিথ্যা বলছে। পরিকল্পিতভাবে তার বাবাকে হত্যা করা হয়েছে।
এ ব্যাপারে পুলিশকে আরো খতিয়ে দেখা প্রয়োজন। এ হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় শুক্রবার রাতেই সদর থানায় সম্রাট কে আসামি করে মামলা দায়ের করেন বাদী । মামলায় উল্লেখ করা হয় অধ্যাপক পান্না (৬৫) ফুলবাড়ী মধ্যপাড়ায় বসবাস করেন। সম্রাট তার প্রতিবেশী। ঈদের আগের দিন শুক্রবার রাত ৯ টার দিকে তার বাবা নিউমার্কেটে পরিবারের সদস্যদের জন্য নতুন জামা কাপড় কিনতে যান। এরপর সেখান থেকে রাত ১২ টার দিকে নিউ মার্কেট থেকে সাত মাথার দিকে যাচ্ছিলেন। এ সময় থানা মোড়ে সম্রাট অতর্কিতভাবে তার বাবার ওপর হামলা চালিয়ে তাকে উপর্যুপরি ভাবে ছুরিকাঘাত করে পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে।
এ সময় তাকে ধরার জন্য ডিবি পুলিশের দুই সদস্য সোলেমান কিবরিয়া ও শাহাদত হোসেন এগিয়ে গেলে সে তাদেরকেও ছুরি মারে। তখন এক পথচারীও আহত হয়। পরে থানা পুলিশ সম্রাটকে চাকুসহ গ্রেফতার করে। বিষয়টি নিশ্চিত করে বগুড়া সদর থানার ইন্সপেক্টর তদন্ত বাবু কুমার সাহা আরো বলেন, জমি জমা নিয়ে পূর্ব বিরোধের জের ধরেই অধ্যাপক পান্না কে খুন করা হয়েছে বলে সম্রাট স্বীকারোক্তি দিয়েছে। স্বীকারোক্তিতে সম্রাট পুলিশের কাছে দাবি করে বলেছে তাদের অনেক জমি ছিল। কিন্তু সে জমিগুলো দখল করেছে অধ্যাপক পান্না। সেই ক্ষোভ থেকে সে তাকে খুন করেছে। তবে সম্রাটের দেওয়া তথ্য খতিয়ে দেখা হচ্ছে। সম্রাট কে আদালতে পাঠানোর প্রস্তুতি চলছে।