March 29, 2024, 1:11 pm

হোবার্টে অস্ট্রেলিয়ার রান উৎসব

ডেভিড ওয়ার্নারের হুমকিটা তাহলে ফাঁকা বুলি ছিল না। সিরিজ শুরুর আগেই বলেছিলেন, ওয়েস্ট ইন্ডিজকে কোনো দয়ামায়া দেখাবে না অস্ট্রেলিয়া। হোবার্টে প্রথম দিন শেষেই অস্ট্রেলিয়ান স্কোর বোর্ড যেভাবে ফুলে ফেপে উঠেছে, তাতে আসলেই মনে হচ্ছে, দয়ামায়া তো দূরের কথা, ওয়েস্ট ইন্ডিজকে রীতিমতো অত্যাচার করে যাবে স্টিভেন স্মিথের দল। ৮৯ ওভার খেলা হয়েছে, তাতেই অস্ট্রেলিয়ার স্কোরবোর্ডে জমা হয়েছে ৩ উইকেটে ৪৩৮ রান! পাঁচের কাছাকাছি রান রেট, ক্রিজে এখনো অপরাজিত দুই সেঞ্চুরিয়ান অ্যাডাম ভোজেস আর শন মার্শ। সন্দেহ নেই, প্রথম দিনেই শক্ত করে টেস্টের লাগাম ধরে ফেলেছে অস্ট্রেলিয়া।

ওয়ার্নারের সেই হুমকি পাত্তা না দিয়ে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বোলিং উপদেষ্টা স্যার কার্টলি অ্যামব্রোস আভাস দিয়েছিলেন, গল্পটা বদলে ফেলার সামর্থ্য আছে তাঁর দলের। হয়তো আছে। কিন্তু প্রথম দিনে অন্তত সেটির প্রমাণ দিতে পারলেন না ওয়েস্ট ইন্ডিয়ান বোলাররা। টস হেরে বল করতে নেমে শুরুটাই হলো খুব বাজে। দিনের প্রথম ঘন্টাতেই ১১ ওভারে ৭৫ রান, এর মধ্যে ৬৪ রান এল বাউন্ডারি থেকে! ওয়েস্ট ইন্ডিজের দুই ওপেনিং বোলার কেমার রোচ আর জেরোমি টেলর রান দিচ্ছিলেন ওভার প্রতি প্রায় ৭ করে!

হুমকি যিনি দিয়েছিলেন সেই ওয়ার্নারের ব্যাটেই ঝড়ের শুরু। ৪০ ওভারে ফিফটি পেয়ে গেলেন অস্ট্রেলিয়ান ওপেনার। তবে এই ঝড়ের পর লাঞ্চের আগেই জো বার্নস, স্টিভেন স্মিথ আর ওয়ার্নারকে ফিরিয়ে দিয়ে কিছুক্ষণের জন্য খেলায় ফিরেছিল ওয়েস্ট ইন্ডিজ। কে জানত আরও বড় ভোগান্তি অপেক্ষা করছে তাদের জন্য!
চতুর্থ উইকেটে মার্শের সঙ্গে জুটি বেঁধে অ্যাডাম ভোজেস নিলেন আক্রমণের দায়িত্ব। ভোজেসই একটু বেশি আক্রমণাত্মক ছিলেন। ৫৪ বলে ফিফটি, সেঞ্চুরি এসেছে ১০০ বলে। হোবার্টে এটাই টেস্টের দ্রুততম সেঞ্চুরি। এর আগে ১৯৯৯ সালে পাকিস্তানের বিপক্ষে ১১০ বলে সেঞ্চুরি করেছিলেন অ্যাডাম গিলক্রিস্ট।

ভোজেসের সেঞ্চুরির সময় মার্শের মাত্র ৪২ হয়েছে। কিন্তু সঙ্গীকে এতটা এগিয়ে যেতে দেখে তাঁরও যেন আক্রমণের নেশা পেয়ে বসল। শুরু করলেন পাল্লা দিয়ে রান করা। ক্যারিয়ারের তৃতীয় সেঞ্চুরিটা পেলেন ১৫০ বলে। দিন শেষে ভোজেস আছেন ডাবল সেঞ্চুরি থেকে ২৬ রান দূরে, মার্শ অপরাজিত ১৩৯ রানে। চতুর্থ উইকেটে দুজন মিলে মাত্র ৬৫.২ ওভারে তুলেছেন ৩১৭ রান। হোবার্টে যেকোনো উইকেট জুটিতে সবচেয়ে বেশি রানের রেকর্ডটা রিকি পন্টিং ও মাইকেল ক্লার্কের। ২০১০ সালে পাকিস্তানের বিপক্ষে এ দুজন মিলে করেছিলেন ৩৫২ রান। ভোজেস-মার্শ কিন্তু সেই রেকর্ডও ভেঙে দেওয়ার পথেই হাটছেন! স্টার স্পোর্টস।

নিউজটি শেয়ার করুন

© All rights reserved © jamunanewsbd.com
Design, Developed & Hosted BY ALL IT BD