June 4, 2023, 5:51 pm
সিরাজগঞ্জ প্রতিনিধিঃ সিরাজগঞ্জে এবার অধিকাংশ ইটভাটার নানা অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে। সেই সাথে ইট ভাটায় কয়লার পরিবর্তে অবাধে কাঠ পোড়ানো হচ্ছে। এতে কালো ধোঁয়ায় দূষিত হচ্ছে পরিবেশ এবং উজাড় হচ্ছে এলাকার গাছপালা।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, জেলার ৯টি উপজেলার বিভিন্ন স্থানে ১৪০টি ইটভাটা গড়ে উঠেছে। শুধুমাত্র রায়গঞ্জ উপজেলায় রয়েছে ৬৪টি ইটভাটা। এরমধ্যে ৩১টি ইটভাটার নেই কোনো অনুমোদন। জেলার অন্যান্য স্থানে ৭৬টি ইটভাটার মধ্যে ৪৬টি ইটভাটার পরিবেশ অধিদপ্তরের ছাড়পত্র রয়েছে এবং বাকিগুলো চলছে ছাড়পত্র ছাড়াই। এছাড়া জেলা প্রশাসনের তথ্য অনুযায়ী ইট পোড়ানোর লাইন্সেস থাকলেও অনেক ইটভাটা মালিক নবায়ন করেনি। ফসলি জমির উপরিভাগের মাটি কেটে তৈরি হচ্ছে ইট। এতে জমির উর্বর শক্তি হারাচ্ছে।
এদিকে স্থানীয় প্রভাবশালীদের ছত্রছায়ায় নানা অজুহাতে জেলার অধিকাংশ ইটভাটায় কয়লার পরিবর্তে পোড়ানো হচ্ছে কাঠ এবং ইটভাটার নির্গত ধোঁয়ায় স্বাস্থ্যঝুঁকিতে পড়ছে শিশুসহ সব বয়সের মানুষ।
এ বিষয়ে জেলা ইটভাটার মালিক সমিতির সভাপতি মোস্তফা সরকার বলেন, ইটভাটায় জ্বালানি হিসেবে কয়লা পোড়ানোর বিধান থাকলেও এখন কয়লার মূল্য বৃদ্ধি ও সংকটের কারণে কাঠ পোড়াতে বাধ্য হচ্ছি। প্রতি বছর মৌসুমি প্রচুর পরিমাণে ইট তৈরি করা হয় এবং প্রতি মৌসুমে ৮/৯ লাখ ইট পোড়াতে প্রায় ১৩০/১৩৫ টন কয়লা লাগে। এক হাজার টন কয়লার দাম আগে ছিল ৯০/৯২ লাখ টাকা। সেই কয়লা কিনতে হচ্ছে প্রায় ২কোটি টাকায় এবং ইট পোড়ানো কয়লা এখন পাওয়া যাচ্ছেনা।
অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) মো. মোবারক হোসেন বলেন, জেলার বিভিন্ন স্থানে অবৈধ ইটভাটা গুলোর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে। বিভাগীয় কমিশনারের নির্দেশে ইতিমধ্যেই তদন্ত কমিটি গঠন করা হচ্ছে এবং এ কমিটি তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা নেবে। এছাড়া অবৈধ ইটভাটা ও জ্বালানি হিসেবে কাঠ পোড়াচ্ছে তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নিচ্ছে সংশ্লিষ্ট প্রশাসন। জেলা প্রশাসক মীর মোহাম্মাদ মাহবুবুর রহমান বলেন, ইটভাটায় কয়লার পরিবর্তে কাঠ পোড়ানোসহ অন্যান্য অনিয়মের বিষয়ে কঠোর ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে বলে উল্লেখ করেন তিনি।