April 20, 2024, 12:01 am

দাকোপে লেপ-তোষক তৈরিতে ব্যস্ত কারিগররা

খুলনা প্রতিনিধিঃ খুলনার দাকোপে শীতের আগমনে লেপ-তোষকের কারিগররা ব্যস্ত সময় কাটাছেন। বিভিন্ন হাট-বাজারে করিগররা বিক্রির জন্য লেপ-তোষক তৈরি করে মজুদও করছেন।
জানা গেছে, উপজেলার বটবুনিয়া বাজার, কালিনগর বাজার, নলিয়ান বাজার, বাজুয়া বাজার ও লাউডোব বাজারে লেপ-তোষক তৈরির জন্যে প্রায় ১৫/১৬টি দোকান গড়ে উঠেছে। এছাড়া উপজেলা সদর চালনা পৌর বাজারেও আরও ৫/৭টি দোকান রয়েছে। তাছাড়া এসময় বাহিরের কারিগররাও বাড়িতে বাড়িতে ব্যবহারের জন্য লেপ-তোষক তৈরি করতে আসছেন। এদিকে শীতের আগমনে কিছু সংখ্যক ব্যবসায়ী বাই সাইকেল ও ভ্যান গাড়ীতে করে গ্রামে গ্রামে লেপ-তোষক ফেরী করে বিক্রি করছেন। অপরদিকে প্রত্যেক বছর শীতের সময়ে উপজেলা প্রশাসন, বিভিন্ন সামাজিক প্রতিষ্টান ও সমাজে দানবীররাও এ সময়ে শীতার্ত মানুষের পাশে এগিয়ে আসেন এবং তাদের শীত কষ্ঠ কিছুটা লাঘব হয়। এবারও তারা এগিয়ে আসবেন বলে সচেতন মহল মনে করেন। এই উপজেলায় সাধারনত অগ্রহায়ন মাসের শুরুতে শীতের আমেজ লক্ষ্য করা যায়। ইতো মধ্যে ব্যাপক শীত পড়তে শুরু করেছে। রাত ৮টার পর থেকে সকাল পর্যন্ত বর্তমানে কনকনে ঠান্ডা অনুভূত হচ্ছে। এসময় গরম কাপড় ব্যবহার না করে রাতে কারোও ঘুমানোর উপায় নেই। তাই দিন যতই অতি বাহিত হচ্ছে শীতের তীব্রতা ততই বাড়ছে। সন্ধ্যার পর থেকে সকাল পর্যন্ত প্রচন্ড কুয়াশা ঝড়ছে। এলকার অবস্তা সম্পন্ন লোকজন নিজের ও পরিবারের সদস্যদের জন্য লেপ-তোষক সংগ্রহ করছেন। অপরদিকে নিন্ম আয়ের পরিবারের সদস্যদের লেপ-তোষকের সাধ থাকলেও অনেকের সাধ্য না থাকায় তাদের পরিবারের মহিলারা পুরানো শাড়ি, লুঈি ও অন্যানো কাপড় এবং রঙ-বেরঙের সুতা দিয়ে ক্যাথা তৈরি করে চলেছেন। এসময় গ্রাম্য কিছু মহিলারাও ক্যাথা তৈরির কাজে ব্যস্ত থাকেন। তারা প্রতিটি ক্যাথা তৈরি করতে ৮০০ টাকা থেকে শুরু করে ১৫০০ টাকা পর্যন্ত মুজরি নিচ্ছেন। গরম কাপড় তৈরিতে ব্যস্ত হয়ে ওঠায় ওই সব কাজে নিয়োজিত শ্রমিরাও ব্যস্ত সময়ে পার করছেন।
একাজে নিয়োজিত বটিয়াঘাটা উপজেলার টালিয়ামারী এলাকার শহীদ বিশ^াস বলেন, প্রতিটি লেপের মুজরি ১৫০ থেকে ২০০ টাকা। প্রতিদিন ৩জন মিলে ৬/৭টি লেপ তৈরি করেন।
চালনা বাজার লঞ্চঘাট এলাকার কারিগর ও দোকানদার নূর মোহাম্মদ জানান, বর্তমানে শীত একটু বেশী পড়ায় প্রতিদিন ৫/৬টি করে লেপ-তোষক বিক্রি করছেন। কিন্তু বর্তমানে মালামালের দাম বেশি হওয়ায় গত বছরের তুলনায় এবছর বেশি দামে বিক্রি করতে হচ্ছে। ফলে লাভ অনেক কম হচ্ছে।
উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা শেখ আব্দুল কাদের বলেন, প্রতি বছরের মতো এবারও সরকারের পক্ষ থেকে শীতবস্ত্র দেয়া হয়েছে। ইতি মধ্যে চালনা পৌরসভাসহ সব ইউনিয়নে কয়েক হাজার শীতবস্ত্র (কম্বল) বন্টন করা হয়েছে।

নিউজটি শেয়ার করুন

© All rights reserved © jamunanewsbd.com
Design, Developed & Hosted BY ALL IT BD